ঢাকা ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট সংস্কার সাতক্ষীরা উপকূলে বিশ্ব জলবায়ু ধর্মঘট কর্মসূচী পালিত বালিয়াকান্দিতে এ্যাসেডের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচী পালিত ভোলা প্রেসক্লাবে গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মত বিনিময়  আত্রাইয়ে মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ নাগেশ্বরী উপজেলা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের কমিটি গঠন পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম

৬ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস

শাহানুর ইসলাম রানা-বিশেষ প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৬:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ৬৯ বার পঠিত

১৯৭১ সালের এইদিনে বাংলার দামাল ছেলেরা সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে পাক সেনাদের হটিয়ে কুড়িগ্রামকে হানাদার মুক্ত করেছিল। স্বাধীনতা যুদ্ধের চুড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হলেও এ অঞ্চলে সেদিন ওড়ানো হয় স্বাধীন বাংলার পতাকা।

জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ৬ ও ১১ নম্বর সেক্টরের অধীনে ছিল গোটা কুড়িগ্রাম অঞ্চল। শুধুমাত্র ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন রৌমারী ছিল মুক্তাঞ্চল। সেখানেই চলত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষন। নভেম্বরের প্রথম থেকেই মিত্র বাহিনীর সাড়াশী আক্রমন তীব্র হতে থাকে। একে একে পতন হতে থাকে পাক সেনাদের শক্ত ঘাঁটিগুলো। মুক্ত হয় জেলার ভুরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরী, চিলমারী, উলিপুরসহ বিভিন্ন এলাকা। এরপর পাকসেনারা শক্ত ঘাঁটি গড়ে তোলে কুড়িগ্রাম শহরে। কুড়িগ্রামকে মুক্ত করতে মিত্র বাহিনীর বিমান হামলায় বেসামাল হয়ে পড়ে পাক সেনারা।

৫ ডিসেম্বর থেকে মিত্র বাহিনীর সাড়াশী আক্রমনে পিছু হটতে শুরু করে তারা। এরপর আসে সেই ৬ ডিসেম্বরের মাহেন্দ্রক্ষণ। কুড়িগ্রাম হয় হানাদার মুক্ত। সেদিনের সেই মুক্তির কথা মনে পড়লে এখনও আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন বীর জীবিত মুক্তিযোদ্ধাগণ। স্মৃতিচারণ করেন তাদের স্মৃতিবিজড়িত অনুভুতিগুলো।

এ বিষয়ে কথা হয় মোঃ আব্দুল হাই সরকার (বীর প্রতীক) এর সঙ্গে। তিনি বলেন, ৬ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস। আমি সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে কুড়িগ্রাম আসি। নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী ও চিলমারী পাকবাহিনীর দখলে ছিল। এখানে প্রায় সব অপারেশনে আমি ছিলাম। ৩ তারিখে আমার কোম্পানির উপর অ্যাটাক করেন তারা।

তিনি আরও বলেন, ৬ তারিখ সকালে বিমানবাহিনী কুড়িগ্রামে টহল দিয়ে ব্রাশ ফায়ার চালান। পরে তারা বিকেলে পায়ে হেঁটে ও ট্রেন যোগে পালিয়ে যায়।তখন আমরা কুড়িগ্রাম ঢুকে প্রথমে আমি পানির টাংকির উপর স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করি।

মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাগত জানাতে হাজারও মুক্তিকামী মানুষ মিলিত হয় বিজয় মিছিলে। দেশ স্বাধীন হয়েছে এদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধারাও পেয়েছেন তাদের সম্মান।

ট্যাগস :

৬ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস

আপডেট সময় : ০৯:৫৬:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩

১৯৭১ সালের এইদিনে বাংলার দামাল ছেলেরা সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে পাক সেনাদের হটিয়ে কুড়িগ্রামকে হানাদার মুক্ত করেছিল। স্বাধীনতা যুদ্ধের চুড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হলেও এ অঞ্চলে সেদিন ওড়ানো হয় স্বাধীন বাংলার পতাকা।

জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ৬ ও ১১ নম্বর সেক্টরের অধীনে ছিল গোটা কুড়িগ্রাম অঞ্চল। শুধুমাত্র ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন রৌমারী ছিল মুক্তাঞ্চল। সেখানেই চলত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষন। নভেম্বরের প্রথম থেকেই মিত্র বাহিনীর সাড়াশী আক্রমন তীব্র হতে থাকে। একে একে পতন হতে থাকে পাক সেনাদের শক্ত ঘাঁটিগুলো। মুক্ত হয় জেলার ভুরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরী, চিলমারী, উলিপুরসহ বিভিন্ন এলাকা। এরপর পাকসেনারা শক্ত ঘাঁটি গড়ে তোলে কুড়িগ্রাম শহরে। কুড়িগ্রামকে মুক্ত করতে মিত্র বাহিনীর বিমান হামলায় বেসামাল হয়ে পড়ে পাক সেনারা।

৫ ডিসেম্বর থেকে মিত্র বাহিনীর সাড়াশী আক্রমনে পিছু হটতে শুরু করে তারা। এরপর আসে সেই ৬ ডিসেম্বরের মাহেন্দ্রক্ষণ। কুড়িগ্রাম হয় হানাদার মুক্ত। সেদিনের সেই মুক্তির কথা মনে পড়লে এখনও আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন বীর জীবিত মুক্তিযোদ্ধাগণ। স্মৃতিচারণ করেন তাদের স্মৃতিবিজড়িত অনুভুতিগুলো।

এ বিষয়ে কথা হয় মোঃ আব্দুল হাই সরকার (বীর প্রতীক) এর সঙ্গে। তিনি বলেন, ৬ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস। আমি সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে কুড়িগ্রাম আসি। নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী ও চিলমারী পাকবাহিনীর দখলে ছিল। এখানে প্রায় সব অপারেশনে আমি ছিলাম। ৩ তারিখে আমার কোম্পানির উপর অ্যাটাক করেন তারা।

তিনি আরও বলেন, ৬ তারিখ সকালে বিমানবাহিনী কুড়িগ্রামে টহল দিয়ে ব্রাশ ফায়ার চালান। পরে তারা বিকেলে পায়ে হেঁটে ও ট্রেন যোগে পালিয়ে যায়।তখন আমরা কুড়িগ্রাম ঢুকে প্রথমে আমি পানির টাংকির উপর স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করি।

মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাগত জানাতে হাজারও মুক্তিকামী মানুষ মিলিত হয় বিজয় মিছিলে। দেশ স্বাধীন হয়েছে এদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধারাও পেয়েছেন তাদের সম্মান।