ঢাকা ০৫:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নাগেশ্বরী উপজেলা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের কমিটি গঠন পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ

১০ মাস ধরে বন্ধ বাঁধের কাজ, ঢল আতঙ্ক

শেখ সাঈদ আহমেদ সাবাব-শেরপুর:
  • আপডেট সময় : ০৪:৫১:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০২৩ ৭৯ বার পঠিত

শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌর শহরের উত্তর গড়কান্দার ভোগাই নদীতে শহররক্ষা বাঁধের কাজ বন্ধ প্রায় ১০ মাস ধরে। এতে ঢল আতঙ্কে ওই এলাকার বাসিন্দাসহ
আশেপাশের এলাকার মানুষ। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে জিও ব্যাগে ভরা বালুর দাম নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে ঝামেলায় কাজে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে।

নালিতাবাড়ী পৌর শহরের উত্তর গড়কান্দায় গিয়ে দেখা যায়, বাঁধের ভাঙন অংশে নদীতে গাছের গুঁড়ি পুঁতে পাইলিং করা হয়েছে। জিও ব্যাগও ফেলার জন্য
প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কিন্তু বাঁধের ভাঙন অংশের পাশে জিও ব্যাগ ফেলে রাখায় ব্যাগগুলো বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালে ভোগাই নদীর ঢলে শহরের উত্তর গড়কান্দা এলাকায় নদীর
১০০ মিটার বাঁধ ভেঙে যায়। এই ভাঙন অংশ দিয়ে ঢলের পানি প্রবেশ করে চারটি মহল্লার প্রায় ৭০০ পরিবারের বাড়িঘরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এ সময় বাঁধের
সামনে বাগানবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিও বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

এতে ভুক্তভোগী অনেক পরিবার স্কুলের বারান্দায় এবং নিজ বাড়ি ছেড়ে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নেন।

পরে ২০২২ সালে বাঁধটি সংস্কারে পাউবোর পক্ষ থেকে নেয়া হয় উদ্যোগ। ৩৮ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয় ১১০ মিটার বাঁধ নির্মাণে। এ কাজের দায়িত্ব পায় রিফাত
এন্টার প্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

বাঁধ সংস্কারে গত বছরের ৪ মে কাজ শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু সময়মতো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু না করায় গত বছরের ১৭ জুন ফের পাহাড়ি ঢলে ওই
ভাঙন অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে। এতে উত্তর গড়কান্দা, গড়কান্দা, গুনাপাড়া ও শিমুলতলা মহল্লায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এ সময় উত্তর গড়কান্দা এলাকায়
৫০০ মিটার সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ায় সকলে দুর্ভোগ পোহায়। এছাড়া ৭০০ পরিবারের বাড়িঘরে এবং থাকার ঘরে হাঁটু সমান পানি ঢোকায় সেখানকার লোকজন
দুর্ভোগে পড়েন। নদীতে পানি কমে যাওয়ায় এক দিন পর বাড়িঘর থেকে ঢলের পানি নেমে যায়।

পরে গত বছরের ২৩ জুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নদীতে পাইলিং করতে ১১০ মিটার জুড়ে ভাঙনের সংস্কারের কাজের পাইলিং করতে গাছের গুঁড়ি পোঁতাসহ
৪ হাজার ৩৫০টি জিও ব্যাগ প্রস্তুত করা হয় ১০ মাস আগে। এ দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না পাওয়ায় বাঁধে জিও ব্যাগ ফেলার কাজে দেরি হয়। গত
বছরের জুন ও জুলাই মাসে বাঁধ সংস্কারের ৭০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করা হয়।
কিন্তু এরপর থেকে সংস্কার কাজ ফেলে রেখে ঠিকাদার লাপাত্তা হয়ে যান।

সময় পেরিয়ে গেলেও ভাঙন অংশ সংস্কার না হওয়ায় এ বছর ফের পাহাড়ি ঢলের আশঙ্কায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ভুক্তভোগী স্থানীয় বাসিন্দারা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ ফেলে রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা দ্রুত বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

৫৫ বছরের চাতাল শ্রমিক খোদেজা বেগম বলেন, ‘চাতালে কাম কইরা দিনে ২০০ টেহা পাই। স্বামী অসুস্থ কামে যাইবার পায় না। কত কষ্ট কইরা দিন চালাই। শেষ সম্বল বাড়ি ভিডাটাও এর আগেরবার নদীয়ে ভাইঙ্গা নিয়া গেছে গা। গাছের খুডি আর ব্যাগ গুলা কতদিন থাইক্কা ফেলাই রাখছে কাম তো করেই না আরও নষ্ট
হইতাছে। বাঁধ না দিলে তো এইবারও ভাইঙ্গা নিয়া যাবো গা। এইবার বাড়ি ভাইঙ্গা নিয়া গেলে আর কই থাকমু।’

ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত ইউসুফ আলী বলেন, ‘মেলাদিন থাইক্কা ঠিকাদার অর্ধেক কাম কইরা আর কোনো খোঁজ খবর নেই না। তহন যদি জিও ব্যাগ ফালানো অইত, তাইলে আমগর বাড়ি-ঘর ভাঙতো না। অহন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে রাইত কাটাইতে অইতাছে। বাঁধ ঠিক না হওয়ায় আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। এইবার পাহাড়ি ঢল আইলে কই থাকমু কই যামু।’

রিফাত এন্টার প্রাইজের মালিক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘ইতোমধ্যে বাঁধ সংস্কারের ৮০ শতাংশ কাজ শেষ করা হয়েছে। স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে জিও
ব্যাগে ভরা বালুর দাম নিয়ে কিছুটা ঝামেলা হয়েছে। এই কারণে কাজটি শেষ করতে দেরি হয়েছে। আশা করছি সামনের সপ্তাহে বাকি কাজ শুরু করা হবে।’

এ ব্যাপারে পৌরসভার মেয়র আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘কাজটা তাড়াতাড়ি করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমি একাধিকবার
যোগাযোগ করেছি। সামনে বর্ষা-বৃষ্টির সময় তাই দ্রুত কাজ শেষ করা না হলে ওই এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়বেন।’

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শাহজাহান বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে কাজটি বন্ধ রয়েছে। তাকে একাধিকবার চিঠি দেয়া হয়েছে কাজ শেষ করার জন্য। গত বছরের জুন মাসে বাঁধ সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

আগামী সাতদিনের মধ্যে কাজ শুরু করবে বলে কথা দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি তবুও কাজটি না করলে তার কাজ বাতিল, জরিমানা ও লাইসেন্স কালো তালিকাভুক্ত করা হবে।’

ট্যাগস :

১০ মাস ধরে বন্ধ বাঁধের কাজ, ঢল আতঙ্ক

আপডেট সময় : ০৪:৫১:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০২৩

শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌর শহরের উত্তর গড়কান্দার ভোগাই নদীতে শহররক্ষা বাঁধের কাজ বন্ধ প্রায় ১০ মাস ধরে। এতে ঢল আতঙ্কে ওই এলাকার বাসিন্দাসহ
আশেপাশের এলাকার মানুষ। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে জিও ব্যাগে ভরা বালুর দাম নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে ঝামেলায় কাজে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে।

নালিতাবাড়ী পৌর শহরের উত্তর গড়কান্দায় গিয়ে দেখা যায়, বাঁধের ভাঙন অংশে নদীতে গাছের গুঁড়ি পুঁতে পাইলিং করা হয়েছে। জিও ব্যাগও ফেলার জন্য
প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কিন্তু বাঁধের ভাঙন অংশের পাশে জিও ব্যাগ ফেলে রাখায় ব্যাগগুলো বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালে ভোগাই নদীর ঢলে শহরের উত্তর গড়কান্দা এলাকায় নদীর
১০০ মিটার বাঁধ ভেঙে যায়। এই ভাঙন অংশ দিয়ে ঢলের পানি প্রবেশ করে চারটি মহল্লার প্রায় ৭০০ পরিবারের বাড়িঘরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এ সময় বাঁধের
সামনে বাগানবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিও বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

এতে ভুক্তভোগী অনেক পরিবার স্কুলের বারান্দায় এবং নিজ বাড়ি ছেড়ে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নেন।

পরে ২০২২ সালে বাঁধটি সংস্কারে পাউবোর পক্ষ থেকে নেয়া হয় উদ্যোগ। ৩৮ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয় ১১০ মিটার বাঁধ নির্মাণে। এ কাজের দায়িত্ব পায় রিফাত
এন্টার প্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

বাঁধ সংস্কারে গত বছরের ৪ মে কাজ শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু সময়মতো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু না করায় গত বছরের ১৭ জুন ফের পাহাড়ি ঢলে ওই
ভাঙন অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে। এতে উত্তর গড়কান্দা, গড়কান্দা, গুনাপাড়া ও শিমুলতলা মহল্লায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এ সময় উত্তর গড়কান্দা এলাকায়
৫০০ মিটার সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ায় সকলে দুর্ভোগ পোহায়। এছাড়া ৭০০ পরিবারের বাড়িঘরে এবং থাকার ঘরে হাঁটু সমান পানি ঢোকায় সেখানকার লোকজন
দুর্ভোগে পড়েন। নদীতে পানি কমে যাওয়ায় এক দিন পর বাড়িঘর থেকে ঢলের পানি নেমে যায়।

পরে গত বছরের ২৩ জুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নদীতে পাইলিং করতে ১১০ মিটার জুড়ে ভাঙনের সংস্কারের কাজের পাইলিং করতে গাছের গুঁড়ি পোঁতাসহ
৪ হাজার ৩৫০টি জিও ব্যাগ প্রস্তুত করা হয় ১০ মাস আগে। এ দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না পাওয়ায় বাঁধে জিও ব্যাগ ফেলার কাজে দেরি হয়। গত
বছরের জুন ও জুলাই মাসে বাঁধ সংস্কারের ৭০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করা হয়।
কিন্তু এরপর থেকে সংস্কার কাজ ফেলে রেখে ঠিকাদার লাপাত্তা হয়ে যান।

সময় পেরিয়ে গেলেও ভাঙন অংশ সংস্কার না হওয়ায় এ বছর ফের পাহাড়ি ঢলের আশঙ্কায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ভুক্তভোগী স্থানীয় বাসিন্দারা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ ফেলে রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা দ্রুত বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

৫৫ বছরের চাতাল শ্রমিক খোদেজা বেগম বলেন, ‘চাতালে কাম কইরা দিনে ২০০ টেহা পাই। স্বামী অসুস্থ কামে যাইবার পায় না। কত কষ্ট কইরা দিন চালাই। শেষ সম্বল বাড়ি ভিডাটাও এর আগেরবার নদীয়ে ভাইঙ্গা নিয়া গেছে গা। গাছের খুডি আর ব্যাগ গুলা কতদিন থাইক্কা ফেলাই রাখছে কাম তো করেই না আরও নষ্ট
হইতাছে। বাঁধ না দিলে তো এইবারও ভাইঙ্গা নিয়া যাবো গা। এইবার বাড়ি ভাইঙ্গা নিয়া গেলে আর কই থাকমু।’

ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত ইউসুফ আলী বলেন, ‘মেলাদিন থাইক্কা ঠিকাদার অর্ধেক কাম কইরা আর কোনো খোঁজ খবর নেই না। তহন যদি জিও ব্যাগ ফালানো অইত, তাইলে আমগর বাড়ি-ঘর ভাঙতো না। অহন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে রাইত কাটাইতে অইতাছে। বাঁধ ঠিক না হওয়ায় আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। এইবার পাহাড়ি ঢল আইলে কই থাকমু কই যামু।’

রিফাত এন্টার প্রাইজের মালিক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘ইতোমধ্যে বাঁধ সংস্কারের ৮০ শতাংশ কাজ শেষ করা হয়েছে। স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে জিও
ব্যাগে ভরা বালুর দাম নিয়ে কিছুটা ঝামেলা হয়েছে। এই কারণে কাজটি শেষ করতে দেরি হয়েছে। আশা করছি সামনের সপ্তাহে বাকি কাজ শুরু করা হবে।’

এ ব্যাপারে পৌরসভার মেয়র আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘কাজটা তাড়াতাড়ি করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমি একাধিকবার
যোগাযোগ করেছি। সামনে বর্ষা-বৃষ্টির সময় তাই দ্রুত কাজ শেষ করা না হলে ওই এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়বেন।’

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শাহজাহান বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে কাজটি বন্ধ রয়েছে। তাকে একাধিকবার চিঠি দেয়া হয়েছে কাজ শেষ করার জন্য। গত বছরের জুন মাসে বাঁধ সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

আগামী সাতদিনের মধ্যে কাজ শুরু করবে বলে কথা দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি তবুও কাজটি না করলে তার কাজ বাতিল, জরিমানা ও লাইসেন্স কালো তালিকাভুক্ত করা হবে।’