দুর্গাপূজা উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে টানা ছয় দিন বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারতের রপ্তানিকারক ও কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা এই সিদ্ধান্ত নেন।
বুধবার (৯ অক্টোবর) থেকে আগামী ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত এই বন্দরের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। তবে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে এই সময়ে বৈধ পাসপোর্ট-ভিসায় যাত্রীরা পারাপার করতে পারবেন।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী জানান, দুর্গাপূজা বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে। ফলে ভারতের আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা ছয় দিন হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিষয়টি তারা আমাদের জানিয়েছেন। এ জন্য এই ছয়দিন বন্দরে আমদানি-রপ্তানি হবে না। ১৫ অক্টোবর থেকে পুনরায় শুরু হবে। তবে ভারত থেকে আমদানি হয়ে আসা পণ্য ছুটির দিন ছাড়া ব্যবসায়ীরা খালাস করে নিতে পারবেন।
হিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহিনুর ইসলাম মণ্ডল জানান, ৯-১৪ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধের বিষয়টি ভারতের হিলি এক্সপোর্টার্স অ্যান্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি রাজেশ আগরওয়ালা একটি পত্রের মাধ্যমে আমাদের জানিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে আমরাও বন্দর সংশ্লিষ্ট সকলের বন্ধ থাকার বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি।
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের একটি সূত্র জানায়, পূজায় সরকারি ছুটির দিন ছাড়া কাস্টমসের কার্যক্রম অন্যান্য দিনে মতো স্বাভাবিক থাকবে। ব্যবসায়ীরা চাইলে তাদের পণ্য সরকারী ট্যাক্স পরিশোধ করে বন্দরের ওয়্যারহাউজ থেকে খালাস করে নিতে পারবেন।
এদিকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বদিউজ্জামান জানান, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিলি বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এই ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বৈধ পাসপোর্ট-ভিসা নিয়ে যাত্রীরা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারাপার করতে পারবেন। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ইমিগ্রেশনের সকল কার্যক্রম চালু থাকবে।