অক্টোবর মাসের ৯ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় দুর্গোৎসব শারদীয় দূর্গাপুজা।
সীমান্তবর্তী উপজেলা দিনাজপুরের হাকিমপুরে শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরির কারিগররা। কোনো কোনো মন্ডপে প্রতিমার তৈরীর কাজ প্রায় শেষ।
চলছে রংতুলি ও প্যান্ডেল তৈরীর কাজ। দু-একদিনের মধ্যে শরিরে রংতুলির আচঁড়ের কাজ শেষ হবে। তবে কারিগড়দের দাবী কাজ করলেও কাঙ্খিত পারিশামিক পাচ্ছেন না তারা। বাপ দাদার পেশা হওয়ায় তাদের কাজ করতে হচ্ছে বাধ্যতামুলুক।
এদিকে পুজাকে কেন্দ্র করে মন্ডপে কঠোর নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে জানান উপজেলা প্রশাসন।
গোহাড়া পুজা মন্ডপ কমিটির সভাপতি জর্নাধন মন্ডল বলেন, আগামী ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে সনাতন ধর্মাম্বলীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার। শেষ হবে ১২ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে। তাই মন্ডপগুলোতে প্রতিমা তৈরীতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন কারীগররা। ইতোমধ্যে কোনো কোনো মন্ডপে প্রতিমার মাটির কাজ শেষ করেছেন তারা। এখন চলছে শরিরে রংতুলির আচঁড়। আবার কোনো কোনো মন্ডপে রংয়ের কাজও শেষ। তারপর আবার অলংকার দিয়ে প্রতিমাকে সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করবেন কারিগররা। হিলিতে এবারে ২১টি মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। কারিগররা তাদের নিপুণ হাতে তৈরি করেছেন প্রতিটি প্রতিমাগুলো। এখন রঙয়ের কাজ শেষ করবেন বলে তারা জানিয়েছেন। এরপর নানান পোশাকে সাজিয়ে তুলবেন প্রতিমাগুলোকে।
প্রতিমা তৈরির কারিগড়রা বলেন, একেক জন কারিগরের দল একাধিক প্রতিমা তৈরির কাজ হাতে নিয়েছেন। বর্তমান তাদের হাতে অনেক কাজ,তাই তাদের ব্যস্ত সময় পার করছেন শেষ সময়ে তারা। সকাল থেকে রাত ১ টা পর্যন্ত কাজ করছেন তারা। দম ফেলার সুযোগ নেই। তবে তাদের দাবী, তারা প্রতিমা তৈরিতে ন্যায্য পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না বলে জানান। বাপ দাদার পেশা হওয়ায় তাদের কাজ করতে হচ্ছে বাধ্যতামুলুক।
হাকিমপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সুজন মিয়া বলেন, হাকিমপুরে এবার ২১ টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গাপুজা হচ্ছে। আগামী ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে সনাতন ধর্মাম্বলীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার। শেষ হবে ১২ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে।
এদিকে মন্ডপগুলোতে কেউ যেন বিশৃঙ্খলা ঘটাতে না পারে সে জন্য পুলিশ প্রশাসন সর্বদা দায়িত্ব পালন করবে।
হাকিমপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার অমিত রায় বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় দুর্গোৎসব শারদীয় দূর্গাপুজা উপলক্ষে নিরাপত্তা জোরদার থাকবে। সেই সাথে পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীও মাঠে থাকবে। যাতে করে কোন ধর্মীয় উৎসব পালন করতে বিগ্ন না ঘটে।