ঢাকা ১২:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

হিলিতে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট এলাকাবাসী

মোঃ ওয়াজ কুরনী- দিনাজপুর:
  • আপডেট সময় : ০৫:২২:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১০২ বার পঠিত

দিনাজপুরের হিলিতে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট হয়ে উঠছেন এলাকাবাসী। ২৪ ঘণ্টায় ১০ থেকে ১২ বার বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করছে। একদিকে প্রচন্ড গরমে ছোট শিশুসহ নাজাহালে পড়ছে সব বয়সের মানুষরা। গরমে রাতে ঘুমাতে পারছেন না সাধারণ জনগন। অতি লোডশিডিংয়ে ফ্রিজ, টিভি, ফ্যান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন এলাকাবাসী। অপর দিকে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলছে, চাহিদার চেয়ে বরাদ্দ কম পাওয়ায় এই লোডশেডিং হচ্ছে। তবে অচিরেই সমাধান হবে।

কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, গত দুই তিন মাস থেকে হিলিতে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং চরম আকার ধারণ করেছে। একদিকে তীব্র গরম আর বিদ্যুতের বারবার যাওয়া-আসাতে বিদ্যুৎ চালিত জিনিসপত্র, টিভি, ফ্রিজ নিয়ে খুব বিপদে আছে সাধারণ জনগন। মাঝে মধ্যে ফ্রিজে সমস্যা দেখা দিচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকায় রবফ গলে পানি বের হচ্ছে।’ বিদ্যুৎতের লোডশেডিংয়ের কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বেশিভাগ কম বয়সের শিশুদের। ২৪ ঘণ্টায় ১০ থেকে ১২ বার বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করছে।

বৈগ্রাম গ্রামের করিম উদ্দিন বলেন, একদিকে তীব্র গরম অন্যদিকে বিদ্যুতের ভেলকিবাজির কারণে রাতে ঘুমানো যায় না। ছোট বাচ্চাদের সারারাত পাখা দিয়ে বাতাস করতে হচ্ছে। একবার বিদ্যুৎ গেলে এক থেকে দেড় ঘন্টার পর আসে। কোনো কোনো দিন আবার সারা রাতেও খবর নেই। যদি আসে তাও আবার আধা ঘণ্টা পর চলে যায়। ছোট ডাংগাপাড়ার ছাত্র শরিফ বলেন,অতি লোড শেডিংয়ের কারনে আমাদের ঠিকমতো লেখাপড়া হচ্ছেনা। যেই সময় আমরা পড়তে বসবো।

সেই সময়ই বিদ্যুৎ চলে যায়। এতে ছাত্র ছাত্রীদের পড়ালেখার ক্ষতি হচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকার কারনে বর্ডার এলাকায় রাতে বাহিরে ঘুড়াফেরা করছে তারা। এতে ছেলে মেয়েরা খারাপ হচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের। পেয়াজ আমদানিকারক শরিফ বলেন, এদিকে অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারনে কাচাঁ পন্য পেয়াজ গরমে পচেঁ যাচ্ছে কিন্তু ‘মাস শেষে আবার বিল পরিশোধ না করলে লাইন কেটে দিয়ে যায়। তারপরও তারা চাহিদা মতো বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগিদের। বিদ্যুৎ না থাকার কারনে কাজ করতে না পারায় বিপাকে কর্মজিবি মানুষরা। হাকিমপুর পৌরসভার মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, এদিকে পল্লি বিদ্যুৎতের লোডশেডিং কমানোর জন্য লিখিত পত্র এজিএমকে জমা দেওয়া হয়েছে। অচিরেই এই সমস্যা সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

হিলি পল্লি বিদ্যুৎ সাব জোনাল অফিস এজিএম বিশ্বজিত সরকার বলেন, হিলিতে বিদ্যুতের চাহিদা সাড়ে ৮ মেগাওয়াট আর বরাদ্দ মাত্র আড়াই থেকে তিন মেগাওয়াট। এবং হাকিমপুর উপজেলায় পল্লি বিদ্যুতের সংযোগ রয়েছে ৩৮ হাজারের উপরে। চাহিদার চেয়ে বরাদ্দ কম পাওয়ায় এই লোডশেডিং হচ্ছে। তবে অচিরেই সমাধান হবে বলে আশ্বাস পল্লি বিদ্যুৎ কতৃপক্ষের।

হিলিতে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট এলাকাবাসী

আপডেট সময় : ০৫:২২:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দিনাজপুরের হিলিতে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট হয়ে উঠছেন এলাকাবাসী। ২৪ ঘণ্টায় ১০ থেকে ১২ বার বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করছে। একদিকে প্রচন্ড গরমে ছোট শিশুসহ নাজাহালে পড়ছে সব বয়সের মানুষরা। গরমে রাতে ঘুমাতে পারছেন না সাধারণ জনগন। অতি লোডশিডিংয়ে ফ্রিজ, টিভি, ফ্যান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন এলাকাবাসী। অপর দিকে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলছে, চাহিদার চেয়ে বরাদ্দ কম পাওয়ায় এই লোডশেডিং হচ্ছে। তবে অচিরেই সমাধান হবে।

কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, গত দুই তিন মাস থেকে হিলিতে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং চরম আকার ধারণ করেছে। একদিকে তীব্র গরম আর বিদ্যুতের বারবার যাওয়া-আসাতে বিদ্যুৎ চালিত জিনিসপত্র, টিভি, ফ্রিজ নিয়ে খুব বিপদে আছে সাধারণ জনগন। মাঝে মধ্যে ফ্রিজে সমস্যা দেখা দিচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকায় রবফ গলে পানি বের হচ্ছে।’ বিদ্যুৎতের লোডশেডিংয়ের কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বেশিভাগ কম বয়সের শিশুদের। ২৪ ঘণ্টায় ১০ থেকে ১২ বার বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করছে।

বৈগ্রাম গ্রামের করিম উদ্দিন বলেন, একদিকে তীব্র গরম অন্যদিকে বিদ্যুতের ভেলকিবাজির কারণে রাতে ঘুমানো যায় না। ছোট বাচ্চাদের সারারাত পাখা দিয়ে বাতাস করতে হচ্ছে। একবার বিদ্যুৎ গেলে এক থেকে দেড় ঘন্টার পর আসে। কোনো কোনো দিন আবার সারা রাতেও খবর নেই। যদি আসে তাও আবার আধা ঘণ্টা পর চলে যায়। ছোট ডাংগাপাড়ার ছাত্র শরিফ বলেন,অতি লোড শেডিংয়ের কারনে আমাদের ঠিকমতো লেখাপড়া হচ্ছেনা। যেই সময় আমরা পড়তে বসবো।

সেই সময়ই বিদ্যুৎ চলে যায়। এতে ছাত্র ছাত্রীদের পড়ালেখার ক্ষতি হচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকার কারনে বর্ডার এলাকায় রাতে বাহিরে ঘুড়াফেরা করছে তারা। এতে ছেলে মেয়েরা খারাপ হচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের। পেয়াজ আমদানিকারক শরিফ বলেন, এদিকে অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারনে কাচাঁ পন্য পেয়াজ গরমে পচেঁ যাচ্ছে কিন্তু ‘মাস শেষে আবার বিল পরিশোধ না করলে লাইন কেটে দিয়ে যায়। তারপরও তারা চাহিদা মতো বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগিদের। বিদ্যুৎ না থাকার কারনে কাজ করতে না পারায় বিপাকে কর্মজিবি মানুষরা। হাকিমপুর পৌরসভার মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, এদিকে পল্লি বিদ্যুৎতের লোডশেডিং কমানোর জন্য লিখিত পত্র এজিএমকে জমা দেওয়া হয়েছে। অচিরেই এই সমস্যা সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

হিলি পল্লি বিদ্যুৎ সাব জোনাল অফিস এজিএম বিশ্বজিত সরকার বলেন, হিলিতে বিদ্যুতের চাহিদা সাড়ে ৮ মেগাওয়াট আর বরাদ্দ মাত্র আড়াই থেকে তিন মেগাওয়াট। এবং হাকিমপুর উপজেলায় পল্লি বিদ্যুতের সংযোগ রয়েছে ৩৮ হাজারের উপরে। চাহিদার চেয়ে বরাদ্দ কম পাওয়ায় এই লোডশেডিং হচ্ছে। তবে অচিরেই সমাধান হবে বলে আশ্বাস পল্লি বিদ্যুৎ কতৃপক্ষের।