হিলিতে কমছে আদার, স্বস্তি ফিরছে ক্রেতার
- আপডেট সময় : ০৪:০৬:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪ ১২৯ বার পঠিত
ঈদুল আজহার পর দিনাজপুরের হিলিতে কমতে শুরু করেছে আদার দাম। ঈদের আগে প্রতিকেজি আদা ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আর এখন বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজি দরে। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মাঝে।
ক্রেতারা বলছেন, ঈদের একমাস আগে প্রতিকেজি আদা বিক্রি হয়েছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু ঈদের এক সপ্তাহ আগে হঠাৎ বেড়েছে যায় আদার দাম। ২০০ টাকা থেকে বেড়ে ৩২০ টাকা টাকা কেজি বিক্রি হয়। তবে ফের কিছুটা কমতে শুরু করেছে দাম বুধবারর( ৩জুলাই) প্রতিকেজি আদা ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর বিক্রেতারা বলছেন, কোরবানির ঈদের আগে সবধরনের মসলার দাম বেড়ে যায়। তবে আদার দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছিল। তারা ক্রেতাদের কাছে দাম চাইতেই সংকোচবোধ করতেন। বর্তমানে প্রতিকেজি আদা ৩২০ টাকা থেকে ৪০ টাকা কমে ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।
হিলিবাজারে কথা হয় আদা কিনতে আসা মো. ছালেক মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ঈদের আগে ১৬০ টাকা দিয়ে ৫০০ গ্রাম আদা কিনেছিলাম। অথচ একমাস আগেও প্রতিকেজি আদার দাম ছিল ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। ঈদের পর আর আদা কেনা হয়নি। আজ বাজারে এসেছি আদা কিনতে। এখন দেখছি দাম কিছুটা কমেছে। ৩২০ টাকা থেকে ৪০ টাকা কমে ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাই ১৪০ টাকা দিয়ে ৫০০ গ্রাম আদা কিনলাম। তবে আদার দাম ২০০ টাকা নিচে নামলে ভালো হতো।’
আরেক ক্রেতা মো. মোকছেদ আলী বলেন, ‘আমার ৫০ বছরের জীবনে ৩২০ টাকা আদার দাম দেখিনি। এবার ঈদের দেখলাম আদার কেজি ৩২০ টাকা। তবে এখন আবার দাম কিছুটা কমেছে। তবে মঙ্গলবার প্রতিকেজি আদা কিনলাম ২৮০ টাকা।’
হিলি বাজারের আদা বিক্রেতা মো. ফেরদৌস রহমান বলেন, ‘আমরা হিলি বাজারে যেসব আদা বিক্রি করছি, সবগুলোই ভারত থেকে আমদানিকৃত। ঈদের আগে আমদানিকারকদের কাছ থেকে মানভেদে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে কিনে ৩২০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। বর্তমানে আদার দাম কমতে শুরু করেছে। এখন ২৬০ টাকা কেজি দরে কিনে ২৮০ টাকা দরে বিক্রি করছি।’
ফেরদৌস রহমান আরও বলেন, ‘আদা, রসুন, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচের দামনির্ভর করে আমদানিরকারকদের ওপর। তাদের কাছ থেকে যে দামে কিনি, তার চেয়ে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করি। আমদানি কমলে দাম বাড়ে আবার আমদানি বাড়লে দাম কমে।’