ঢাকা ০১:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট সংস্কার সাতক্ষীরা উপকূলে বিশ্ব জলবায়ু ধর্মঘট কর্মসূচী পালিত বালিয়াকান্দিতে এ্যাসেডের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচী পালিত ভোলা প্রেসক্লাবে গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মত বিনিময়  আত্রাইয়ে মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ নাগেশ্বরী উপজেলা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের কমিটি গঠন পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম

হাসি নেই কৃষকের মুখে রংপুরের পীরগাছায়

শিল্পী আক্তার- রংপুর ব্যুরো
  • আপডেট সময় : ১১:৫৫:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০৯ বার পঠিত

রংপুরের পীরগাছায় ৪ নং অন্নদানগর ইউনিয়নের, আমন ধান ঘরে তোলার উৎসব চলছে, কিন্তু হাসি নেই কৃষকের মুখে,চলতি মৌসুমজুড়েই ছিলো খড়া আর অনাবৃষ্টি,।।

প্রথম দিক থেকেই বৃষ্টি না হওয়ায় স্যালো মেশিনে পানি তুলে জমি প্রস্তত করতে হয় কৃষকদের। ধান লাগানোর পর খড়া বেশী হওয়াতে নিয়মিত সেচ দিয়ে বাড়তি খরচ গুনতে হয়েছে এবার ।।

এছাড়াও উচ্চ মূল্যের সার, কীটনাশক খরচ, জমি চাষ খরচ, শ্রমিক, মাড়াই খরচ অধিক হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়ছে কৃষকেরা, সেই সাথে ধান পাকার সময়ে অধিকাংশ ক্ষেতে কারেন্ট পোকা আক্রমণে দিশেহারা করে ফেলেছে। ।

শেষমেশ ধান ওঠার পরেও হতাশায় ভুগছে কৃষক, যার অন্যতম কারন হচ্ছে উৎপাদন খরচ ও বাজার দরের বিরাট পার্থক্য। ২০১০ সাল থেকে এখন অবধি ধানের একই মূল্য। এবার ধান বিক্রির টাকায় সার-বীজ-কীটনাশকের দোকানের দেনাও শোধ হবে না। এভাবে লোকশানের কারণে কৃষি কাজে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকেই।।

এ বিষয়ে এক কৃষকে জিজ্ঞাসা করলে, গণমাধ্যমকে জানান মোহাম্মদ ইউনুস আলী মন্ডল তিনি বলেন,দফায় দফায় সার, ডিজেল, কিটনাশক, শ্রমিকের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় বর্তমানে চাষে লোকসান হচ্ছে।।

ধানের দাম ১০ বছর পূর্বে যা ছিলো বর্তমানেও একই আছে।এই ১০-১২ বছরে অনেক কিছুর মূল্য বাড়লেও বাড়েনি ধানের মূল্য। ফলে প্রকৃত চাষীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে আবাদে ।।

ধান লাগানো থেকে শুরু করে ধান বাড়ি আনা পর্যন্ত বর্তমানে, সেচ পাম্প, জমি চাষ, সার , আগাছা দমন,কাটা, বাধা,পরিবহন, মাড়াই, লেবার দিয়ে বিঘা প্রতি ১৯ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।।

এবার আমন মৌসুমে খরা ও অনাবৃষ্টির কারনে জমিতে খুব ভালো ধান হলেও বিঘাতে ১০ থেকে ১২ মন ফলন হচ্ছে। যার ফলে বিঘাতে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষীদের।।

আবার এমন কিছু নিচু এলাকা আছে যেখানে ধান ছাড়া কিছুই হয়না। সব মিলায়ে কৃষকরা আজ চরম দূরদিন অতিবাহিত করছে।।

ঋনের সুদ,সারের দোকানে বাকী, সেচ পাম্পের টাকা নিয়ে হতাশায় দিন কাটছে। সময় বহমান হলেও কৃষকদের প্রতীক্ষার অবসান ঘটছে না।।

কৃষকের মনে আজ বিষাদের সুর, ভাগ্য নামের প্রাচীর ভেঙে কে দেখাবে কৃষকদের, সোনালী দিনের স্বপ্ন? কারন কৃষক বাচলে দেশ বাঁচবে।

কৃষক শুধু নিজের জন্য নয় দেশের সকলের জন্য পরিশ্রম করে।

ট্যাগস :

হাসি নেই কৃষকের মুখে রংপুরের পীরগাছায়

আপডেট সময় : ১১:৫৫:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

রংপুরের পীরগাছায় ৪ নং অন্নদানগর ইউনিয়নের, আমন ধান ঘরে তোলার উৎসব চলছে, কিন্তু হাসি নেই কৃষকের মুখে,চলতি মৌসুমজুড়েই ছিলো খড়া আর অনাবৃষ্টি,।।

প্রথম দিক থেকেই বৃষ্টি না হওয়ায় স্যালো মেশিনে পানি তুলে জমি প্রস্তত করতে হয় কৃষকদের। ধান লাগানোর পর খড়া বেশী হওয়াতে নিয়মিত সেচ দিয়ে বাড়তি খরচ গুনতে হয়েছে এবার ।।

এছাড়াও উচ্চ মূল্যের সার, কীটনাশক খরচ, জমি চাষ খরচ, শ্রমিক, মাড়াই খরচ অধিক হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়ছে কৃষকেরা, সেই সাথে ধান পাকার সময়ে অধিকাংশ ক্ষেতে কারেন্ট পোকা আক্রমণে দিশেহারা করে ফেলেছে। ।

শেষমেশ ধান ওঠার পরেও হতাশায় ভুগছে কৃষক, যার অন্যতম কারন হচ্ছে উৎপাদন খরচ ও বাজার দরের বিরাট পার্থক্য। ২০১০ সাল থেকে এখন অবধি ধানের একই মূল্য। এবার ধান বিক্রির টাকায় সার-বীজ-কীটনাশকের দোকানের দেনাও শোধ হবে না। এভাবে লোকশানের কারণে কৃষি কাজে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকেই।।

এ বিষয়ে এক কৃষকে জিজ্ঞাসা করলে, গণমাধ্যমকে জানান মোহাম্মদ ইউনুস আলী মন্ডল তিনি বলেন,দফায় দফায় সার, ডিজেল, কিটনাশক, শ্রমিকের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় বর্তমানে চাষে লোকসান হচ্ছে।।

ধানের দাম ১০ বছর পূর্বে যা ছিলো বর্তমানেও একই আছে।এই ১০-১২ বছরে অনেক কিছুর মূল্য বাড়লেও বাড়েনি ধানের মূল্য। ফলে প্রকৃত চাষীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে আবাদে ।।

ধান লাগানো থেকে শুরু করে ধান বাড়ি আনা পর্যন্ত বর্তমানে, সেচ পাম্প, জমি চাষ, সার , আগাছা দমন,কাটা, বাধা,পরিবহন, মাড়াই, লেবার দিয়ে বিঘা প্রতি ১৯ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।।

এবার আমন মৌসুমে খরা ও অনাবৃষ্টির কারনে জমিতে খুব ভালো ধান হলেও বিঘাতে ১০ থেকে ১২ মন ফলন হচ্ছে। যার ফলে বিঘাতে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষীদের।।

আবার এমন কিছু নিচু এলাকা আছে যেখানে ধান ছাড়া কিছুই হয়না। সব মিলায়ে কৃষকরা আজ চরম দূরদিন অতিবাহিত করছে।।

ঋনের সুদ,সারের দোকানে বাকী, সেচ পাম্পের টাকা নিয়ে হতাশায় দিন কাটছে। সময় বহমান হলেও কৃষকদের প্রতীক্ষার অবসান ঘটছে না।।

কৃষকের মনে আজ বিষাদের সুর, ভাগ্য নামের প্রাচীর ভেঙে কে দেখাবে কৃষকদের, সোনালী দিনের স্বপ্ন? কারন কৃষক বাচলে দেশ বাঁচবে।

কৃষক শুধু নিজের জন্য নয় দেশের সকলের জন্য পরিশ্রম করে।