পরিবেশ বাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও শেরপুর জেলার সভাপতি মো: মেরাজ উদ্দিন ও সদস্য সচিব এবং শেরপুর সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবিহা জামান শাপলা, গারো পাহাড়ে ক্ষুধার্ত হাতি দৌড়াতে গিয়ে আহত হয়ে বিজয় সাংমা নামে এক আদিবাসী মারা গেছেন, এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
আমরা লক্ষ করছি বেশ দীর্ঘদিন যাবত সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকায় খাদ্যের সন্ধানে বন্যহাতিগুলো এদিকে সেদিক ঘুরাফেরা করছে। আবার হাতির পূর্বের চলার পথে কৃষক ধানের আবাদ করেছে। ক্ষুধার জ্বালায় হাতি তাদের পূর্বের পথে চলতে গিয়ে বোরো ধান ক্ষেতে আসে এবং ধান খেতে থাকে। আর এলাকার কৃষকরা ফসল রক্ষার জন্য হাতির ওপ আক্রমন করে আসছে। এতে ক্ষিপ্ত হচ্ছে হাতি। মঙ্গলবার গভীর রাতে বন্যহাতির দলটি পোড়াগাঁও ইউনিয়নের পূর্ব সমশ্চুড়া গ্রামের কৃষক
বিজয় সাংমার আবাদকৃত বোরো ধান ক্ষেতে আসে। এ সময় বিজয় সাংমা হাতির দলটিকে তাড়া করেন। তাড়া খেয়ে এক পর্যায়ে বন্যহাতির দলটি ক্ষুব্ধ হয়ে বিজয় সাংমারউপর পাল্টা আক্রমণ করে।
এসময় গুরুতর আহত হয় বিজয় সাংমা। গুরুতর আহত অবস্থায় বিজয় সাংমাকে উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা বিজয়কে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরপুর সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। বৃহস্পতিবার রাত বারোটার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কৃষক বিজয় সাংমার মৃত্যু হয়।
জেলা সদস্য সচিব সাবিহা জামান শাপলা বলেন, আমরা চাই গারো পাহাড়ে হাতির জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা করা হউক। একই সাথে হাতিকে বিরক্ত করা থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ করছি।
সবুজ আন্দোলন শেরপুর জেলা শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক (দপ্তর) মো: নাঈম ইসলাম গনমাধ্যমকে জানান, আমরা দ্রুতই এ বিষয়ে কর্মসূচি দিবো।
এ বিষয়ে পরিবেশ বাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মেরাজ উদ্দিন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে গারো পাহাড়ে হাতির অভয়ারণ্য
করার দাবী করে আসছি। একই সাথে হাতির খাদ্যের সংস্থান করার জন্য দাবি জানানো হলেও তা না করায় গারো পাহাড়ে মানুষ ও হাতির মৃত্যু থামানো যাচ্ছে
না। আমরা হতাহতদের প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ দেওয়াসহ দ্রুত হাতির অভয়ারণ্য করার জোর দাবি জানাচ্ছি।