ঢাকা ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

সৌদি আরবে আগুনে পুড়ে মৃত ৯ জনের মধ্য ২ জনের বাড়ি নওগাঁর আত্রাইয়ে

আব্দুল মজিদ মল্লিক-আত্রাই (নওগাঁ):
  • আপডেট সময় : ১১:০৯:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুলাই ২০২৩ ১৫৫ বার পঠিত

সৌদি আরবের দাম্মামের হুফুফ শহরে একটি ফার্নিচারের কারখানায় আগুনে পুড়ে নয় বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।

এর মধ্যে একজনের বাড়ি নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বিশা ইউনিয়নের উদয়পুর মন্ডলপাড়া গ্রামের রমজান সরদারের ছেলে বারিক সরদার (৪৫)।

অপরজনের বাড়ি সাহাগোলা ইউনিয়নের ঝনঝনিয়া গ্রামের মৃত আজিজার রহমানের ছেলে রমজান আলি (৩৩)।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দাম্মামের হুফুফ শহরের শিল্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আত্রাই উপজেলার দুই জন নিহত হন বলে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

এই ঘটনা জানার পর থেকে ওই পরিবার গুলোতে বইছে শোকের মাতম। উর্পাজনক্ষম একমাত্র ব্যক্তিকে হারিয়ে ওই পরিবার গুলোতে নেমে এসেছে ঘোর অন্ধকার। বিশা ইউনিয়নের নিহত বারেক সরদারের বড় ভাই মো. শাহাদাত হোসেন সরদার বলেন, ‘আমরা তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে বারেক ছিল মেঝো। অভাবের সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে সহায় সম্বল বিক্রি করে ২০০৬ সালে বারেককে সৌদি আরবে পাঠানো হয়।

এরপর থেকে সংসারে আসে আর্থিক স্বচ্ছলতা। সবশেষ ২০১০ সালে ২ মাসের ছুটিতে বাড়িতে এসেছিল বারেক। ছুটি শেষে সে আবারও ফিরে যায় প্রবাসে। সৌদি আরবে আমাদের গ্রামের আরও কয়েকজন রয়েছে। তারাই বারেকের মৃত্যুর ঘটনা আমাদের জানিয়েছেন।

শাহাদাত আরো বলেন, বারেকের দুই মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছে। বড় মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর ছোট মেয়ে স্কুলে পড়ে। পরিবারের একমাত্র উর্পাজনক্ষম ভাইকে হারিয়ে আমরা এখন চোখে অন্ধকার দেখছি। দুই সন্তানও এতিম হয়ে গেল। তার এভাবে চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না পরিবারের সদস্যরা।

আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেকুর রহমান বলেন, বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে জানার পরেই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সব ধরনের সহায়তা প্রদানসহ এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখছি।

সৌদি আরবে আগুনে পুড়ে মৃত ৯ জনের মধ্য ২ জনের বাড়ি নওগাঁর আত্রাইয়ে

আপডেট সময় : ১১:০৯:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুলাই ২০২৩

সৌদি আরবের দাম্মামের হুফুফ শহরে একটি ফার্নিচারের কারখানায় আগুনে পুড়ে নয় বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।

এর মধ্যে একজনের বাড়ি নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বিশা ইউনিয়নের উদয়পুর মন্ডলপাড়া গ্রামের রমজান সরদারের ছেলে বারিক সরদার (৪৫)।

অপরজনের বাড়ি সাহাগোলা ইউনিয়নের ঝনঝনিয়া গ্রামের মৃত আজিজার রহমানের ছেলে রমজান আলি (৩৩)।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দাম্মামের হুফুফ শহরের শিল্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আত্রাই উপজেলার দুই জন নিহত হন বলে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

এই ঘটনা জানার পর থেকে ওই পরিবার গুলোতে বইছে শোকের মাতম। উর্পাজনক্ষম একমাত্র ব্যক্তিকে হারিয়ে ওই পরিবার গুলোতে নেমে এসেছে ঘোর অন্ধকার। বিশা ইউনিয়নের নিহত বারেক সরদারের বড় ভাই মো. শাহাদাত হোসেন সরদার বলেন, ‘আমরা তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে বারেক ছিল মেঝো। অভাবের সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে সহায় সম্বল বিক্রি করে ২০০৬ সালে বারেককে সৌদি আরবে পাঠানো হয়।

এরপর থেকে সংসারে আসে আর্থিক স্বচ্ছলতা। সবশেষ ২০১০ সালে ২ মাসের ছুটিতে বাড়িতে এসেছিল বারেক। ছুটি শেষে সে আবারও ফিরে যায় প্রবাসে। সৌদি আরবে আমাদের গ্রামের আরও কয়েকজন রয়েছে। তারাই বারেকের মৃত্যুর ঘটনা আমাদের জানিয়েছেন।

শাহাদাত আরো বলেন, বারেকের দুই মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছে। বড় মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর ছোট মেয়ে স্কুলে পড়ে। পরিবারের একমাত্র উর্পাজনক্ষম ভাইকে হারিয়ে আমরা এখন চোখে অন্ধকার দেখছি। দুই সন্তানও এতিম হয়ে গেল। তার এভাবে চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না পরিবারের সদস্যরা।

আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেকুর রহমান বলেন, বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে জানার পরেই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সব ধরনের সহায়তা প্রদানসহ এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখছি।