ঢাকা ০৩:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

সুস্থ্য—সবল বিজয় জানে না তিনি প্রতিবন্ধী, ভাতার টাকা যায় রেজাউলের বিকাশে

মো. শামীম হোসেন-পাংশা (রাজবাড়ী):
  • আপডেট সময় : ০৫:২৪:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩ ১০১১ বার পঠিত

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামের চাঁন্দু ঘোষের ছেলে বিজয় ঘোষ। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার বিজয় ঘোষের বয়স ৩০ বছর।

তিনি একজন সুস্থ্য—সবল মানুষ। কুষ্টিয়ার একটি মুদি দোকানে চাকুরি করেন। সুস্থ্য—সবল হওয়া সত্বেও তার নামে রয়েছে প্রতিবন্ধী কার্ড। উত্তোলন হচ্ছে প্রতিবন্ধী ভাতা। অথচ এ সবের কিছুই জানেন না তিনি।

সরেজমিনে গেলে, বিজয় ঘোষের (সৎ) মা শ্যামলী রাণির কাছে জানতে চাইলে তার ছেলে বিজয় ঘোষের নামে একটি প্রতিবন্ধী কার্ড বের করে দেন। প্রতিবন্ধী পরিচয়পত্রে দেখা যায়, বিজয় ষোষের নামে ২০২১ সালে ২৬ আগস্টে কার্ডটি ইস্যু করা হয়েছে।

প্রতিবন্ধীতার ধরণ দেওয়া রয়েছে শারীরিত প্রতিবন্ধীতা, মৃদু।
বিজয় ঘোষ প্রতিবন্ধী ভাতা পায় কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, তারা ছেলে সরকারি কোন ভাতা পায় না। তার ছেলে বিজয় ঘোষ প্রতিবন্ধী কি না তা জানতে চাইলে তিনি কোন কথা বলেননি। তবে এর আগে স্থানীয় ময়না নামের এক মহিলা বেকার ভাতা করে দেওয়ার কথা বলে তার ছেলের ভোটার আইডি কার্ড ও ছবি নিয়েছিলো। সেগুলো দিয়ে কি করেছে তা জানেন জানান তিনি।
এ সময় বিজয় ঘোষকে বাড়ি পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে তার সাথে কথা হলে তিনি জানান, তার নামে যে প্রতিবন্ধী কার্ড রয়েছে তা জানেন না। তিনি কোন প্রতিবন্ধী ভাতা পান না। তিনি আরও বলেন, তিনি একজন সুস্থ ও সাভাবিক মানুষ। কুষ্টিয়ার একটি মুদি দোকানে চাকরি করেন।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম জানান, প্রতিবন্ধী না হয়ে প্রতিবন্ধী পরিচয়পত্র ও ভাতা পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। বিজয় ঘোষের ভাতা প্রদান একাউন্টের স্থানে ০১৭৬৮—১৩৫৭২৩ নম্বরের একটি বিকাশ একাউন্ট নম্বর দেওয়া রয়েছে। প্রায় এক বছর ধরে এই নম্বরে ভাতা প্রদান করা হয়। বর্তমানে প্রতিটি ইউনিয়নে আমাদের লাইভ ভেরিফিকেশন চলমান রয়েছে। বিজয় ঘোষের কার্ড প্রদানে কোন অনিয়ম হলে অবশ্যই বাতিল করা হবে।
বিজয় ঘোষের ভাতা প্রদান বিকাশ একাউন্ট নম্বরে (০১৭৬৮—১৩৫৭২৩) ফোন করলে মো. রেজাউল করিম নামের এক ব্যক্তি ফোনটি রিসিভ করেন। ভাতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বোন রেহেনা খাতুনের প্রতিবন্ধী ভাতা আমার এই বিকাশ একাউন্টে আসে। বিজয় ঘোষ নামের কোন ব্যক্তির ভাতা’র টাকা আপনার মোবাইলে যায় কিনা এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, স্থানীয় ময়না নামের এক মহিলা ভাতা দেওয়ার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে কাগজপত্র নিয়েছিলো। সে কিছু করেছে কিনা তা আমি জানি না। মো. রেজাউল করিম উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের সেনগ্রামের আজিম প্রামানিকের ছেলে। পেশায় তিনি একজন ফল ব্যবসায়ী। খোজ নিয়ে জানা যায়, রেজাউল করিমের বোন রেহেনা খাতুন অনেক আগেই মারা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ময়না নামের এই ব্যক্তি উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের সেনগ্রামের ছেকে খার মেয়ে। একই গ্রামের মৃত মালেকের স্ত্রী। প্রতিবন্ধী ভাতা, বয়স্ক ভাতা সহ বিভিন্ন ভাতা দেওয়ার কথা বলে স্থানীয়দের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই ময়নার বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে ময়নার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি এবং বিভিন্ন ভাবে তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি।

সুস্থ্য—সবল বিজয় জানে না তিনি প্রতিবন্ধী, ভাতার টাকা যায় রেজাউলের বিকাশে

আপডেট সময় : ০৫:২৪:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামের চাঁন্দু ঘোষের ছেলে বিজয় ঘোষ। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার বিজয় ঘোষের বয়স ৩০ বছর।

তিনি একজন সুস্থ্য—সবল মানুষ। কুষ্টিয়ার একটি মুদি দোকানে চাকুরি করেন। সুস্থ্য—সবল হওয়া সত্বেও তার নামে রয়েছে প্রতিবন্ধী কার্ড। উত্তোলন হচ্ছে প্রতিবন্ধী ভাতা। অথচ এ সবের কিছুই জানেন না তিনি।

সরেজমিনে গেলে, বিজয় ঘোষের (সৎ) মা শ্যামলী রাণির কাছে জানতে চাইলে তার ছেলে বিজয় ঘোষের নামে একটি প্রতিবন্ধী কার্ড বের করে দেন। প্রতিবন্ধী পরিচয়পত্রে দেখা যায়, বিজয় ষোষের নামে ২০২১ সালে ২৬ আগস্টে কার্ডটি ইস্যু করা হয়েছে।

প্রতিবন্ধীতার ধরণ দেওয়া রয়েছে শারীরিত প্রতিবন্ধীতা, মৃদু।
বিজয় ঘোষ প্রতিবন্ধী ভাতা পায় কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, তারা ছেলে সরকারি কোন ভাতা পায় না। তার ছেলে বিজয় ঘোষ প্রতিবন্ধী কি না তা জানতে চাইলে তিনি কোন কথা বলেননি। তবে এর আগে স্থানীয় ময়না নামের এক মহিলা বেকার ভাতা করে দেওয়ার কথা বলে তার ছেলের ভোটার আইডি কার্ড ও ছবি নিয়েছিলো। সেগুলো দিয়ে কি করেছে তা জানেন জানান তিনি।
এ সময় বিজয় ঘোষকে বাড়ি পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে তার সাথে কথা হলে তিনি জানান, তার নামে যে প্রতিবন্ধী কার্ড রয়েছে তা জানেন না। তিনি কোন প্রতিবন্ধী ভাতা পান না। তিনি আরও বলেন, তিনি একজন সুস্থ ও সাভাবিক মানুষ। কুষ্টিয়ার একটি মুদি দোকানে চাকরি করেন।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম জানান, প্রতিবন্ধী না হয়ে প্রতিবন্ধী পরিচয়পত্র ও ভাতা পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। বিজয় ঘোষের ভাতা প্রদান একাউন্টের স্থানে ০১৭৬৮—১৩৫৭২৩ নম্বরের একটি বিকাশ একাউন্ট নম্বর দেওয়া রয়েছে। প্রায় এক বছর ধরে এই নম্বরে ভাতা প্রদান করা হয়। বর্তমানে প্রতিটি ইউনিয়নে আমাদের লাইভ ভেরিফিকেশন চলমান রয়েছে। বিজয় ঘোষের কার্ড প্রদানে কোন অনিয়ম হলে অবশ্যই বাতিল করা হবে।
বিজয় ঘোষের ভাতা প্রদান বিকাশ একাউন্ট নম্বরে (০১৭৬৮—১৩৫৭২৩) ফোন করলে মো. রেজাউল করিম নামের এক ব্যক্তি ফোনটি রিসিভ করেন। ভাতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বোন রেহেনা খাতুনের প্রতিবন্ধী ভাতা আমার এই বিকাশ একাউন্টে আসে। বিজয় ঘোষ নামের কোন ব্যক্তির ভাতা’র টাকা আপনার মোবাইলে যায় কিনা এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, স্থানীয় ময়না নামের এক মহিলা ভাতা দেওয়ার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে কাগজপত্র নিয়েছিলো। সে কিছু করেছে কিনা তা আমি জানি না। মো. রেজাউল করিম উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের সেনগ্রামের আজিম প্রামানিকের ছেলে। পেশায় তিনি একজন ফল ব্যবসায়ী। খোজ নিয়ে জানা যায়, রেজাউল করিমের বোন রেহেনা খাতুন অনেক আগেই মারা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ময়না নামের এই ব্যক্তি উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের সেনগ্রামের ছেকে খার মেয়ে। একই গ্রামের মৃত মালেকের স্ত্রী। প্রতিবন্ধী ভাতা, বয়স্ক ভাতা সহ বিভিন্ন ভাতা দেওয়ার কথা বলে স্থানীয়দের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই ময়নার বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে ময়নার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি এবং বিভিন্ন ভাবে তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি।