গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের কাপাসিয়া ইউনিয়ন থেকে ৩০ কেজি ওজনের ১০০ বস্তা ত্রাণের চাল জব্দ করা হয়েছে। গত রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় ইউনিয়নের কছিম বাজারের একটি গোডাউন থেকে চালগুলো জব্দ করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ওয়ালিফ মন্ডল।
জানা যায়, বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য গত মাসের প্রথম সপ্তাহে ৩ টন চাল উত্তোলন করেন কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মঞ্জু মিয়া। ইউনিয়ন পরিষদে চাউলগুলো না রেখে কছিম বাজারের জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ব্যক্তির গোডাউনে রাখেন চেয়ারম্যান। বন্যার একমাস পার হলেও চালগুলো বিতরণ করেননি তিনি। স্থানীয়দের অভিযোগ চাল গুলো গোপনে বিক্রি করার জন্য চেয়ারম্যান ওই গোডাউনে রেখেছেন।
কাপাসিয়া ইউনিয়নের বিএনপি নেতা মো. জামাল উদ্দিন বলেন, সংবাদ পেয়েছি গোডাউনে বানভাসিদের বরাদ্দের চাল রাখা আছে। সেগুলো গোপনে বিক্রি করার পায়তারা চলছে। সে কারণে দলের লোকজন ও স্থানীয় লোকজনসহ গোডাউনের সামনে অবস্থান নেই এবং গণমাধ্যম কর্মীদের সংবাদ দেই।
অভিযুক্ত কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মঞ্জু মিয়া বলেন, দেশের অবস্থা স্বাভাবিক না থাকায় চালগুলো বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। আগামী ২-১ দিনের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ওয়ালিফ মন্ডল বলেন, 'ইউএনও'র মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারি। পরে তার নির্দেশে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। পরে গোডাউনে রাখা ৩ টন চাল জব্দ করেছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম বলেন বিষয়টি জানা মাত্রই জেলা প্রশাসন কর্তৃক চালগুলো জব্দ করা হয়। সোমবার চালগুলো ওই ইউনিয়নের সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। চালগুলো কেন আটকে রাখা হয়েছিল সেটা তদন্ত সাপেক্ষে ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।