সাংবাদিক মেরাজের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা
- আপডেট সময় : ০৩:১৮:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ১২০ বার পঠিত
শেরপুরের বিশিষ্ট সাংবাদিক, শেরপুর প্রেসক্লাবের দুদফায় নির্বাচিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: মেরাজ উদ্দিন কে নিয়ে একটি মহল মানহানিকর মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছেন।
বিশেষ করে শেরপুর প্রেসক্লাবের পদপদবী জোর করে দখল করে থাকা অনির্বাচিত নেতারা এমন প্রতি হিংসাপরায়ন মিথ্যাচারে লিপ্ত রয়েছে। যখনই জোরপূর্বক ঘোষিত কমিটির বিরুদ্ধে অনাস্থাসহ ক্লাব সদস্যরা ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সোচ্ছার হয়ে উঠেছেন, ঠিক তখনই প্রেসক্লাবে স্বার্থ বিরোধী ওই মহলটি সাংবাদিক মেরাজের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার শুরু করেছে।
এ মিথ্যচারের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা করেছেন সাংবাদিক মেরাজ উদ্দিন।
সাংবাদিক মেরাজ দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আসছেন। কোনদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ কোন রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে বিষোদগার করেননি। একটি ভূয়া স্মরনিকার নাম করে নিজেরাই একটি লেখা সৃজন করে তা সাংবাদিক মেরাজ উদ্দিনের নামে চালানাের চেষ্টা করে আসছেন। যা আদৌ সত্য নয়। সাংবাদিক মেরাজ কোনদিনও জাতিয়তাবাদী যুবদলের সদস্যও ছিলেন না। তিনি জামায়াত নেতা ফাসিঁর দন্ডপ্রাপ্ত কামারুজ্জামানের মতাদর্শের বিশ্বাসী ছিলেননা। তার বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়েও বিষোদগার করা হয়েছে। সাংবাদিক মেরাজ উদ্দিন সাংবাদিকতার নয় বছর বয়সে ১৯৯৫ সালে বিবাহ করেন। একজন বিশিষ্ট আলেম ও পীর হযরত মাওলানা ফছিহ উদ্দিন (রহ:) এর নামে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটি আওয়ামীলীগের সরকারের আমলে ১৯৯৮ সালে এমপিওভূক্ত হয় এবং বিল্ডিং হয়।
ওই মাদ্রাসাটি শ্যামলবাংলা পত্রিকার সম্পাদক প্রকাশক এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধারের এক শিক্ষক জমিদাতা ও প্রতিষ্ঠাতা। কাজেই ওই মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠায় কামারুজ্জামানের এক টাকার অনুদানও নেই। কামারেরচরে মন্ত্রীর গাড়ি ভাংচুরের মামলার আসামী সাংবাদিক মেরাজ ছিলেননা। তাকে শেরপুর সদরের ডুবারেরচরের জনৈক বিএনপি সমর্থিত এক ব্যক্তির দায়ের করা একটি মিথ্যা মামলায় বিবাদী করা হয়েছিল। যা পরবর্তীতে আদালতে মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে।
জামায়াত সমর্থিত শিক্ষক সংগঠন হচ্ছে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদ। বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদর্রেছীন নয়। কাজেই প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে গিয়ে সম্পাদক প্রকাশকরা খবর করার আগে খোঁজ নেয়ারও প্রয়োজন মনে করেননি। সাংবাদিক মেরাজ একজন সম্ভ্রান্ত মধ্যবৃত্ত কৃষক পরিবারের সন্তান। আর তিনি শেরপুর প্রেসক্লাবের দায়িত্বে থাকাকালে স্বচ্ছতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। যে কারণে বারবার তিনি শেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
সাংবাদিক মেরাজ উদ্দিন কখনই রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেননি। বরং সেই শ্যামলবাংলার সম্পাদক প্রকাশকই তার ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য একেক সময় একেক নেতার কাধে ভর করে মানহানিকর বক্তব্য বিবৃতি প্রদান করে আসছেন। তার স্বার্থ চরিতার্থ করতে শেরপুর প্রেসক্লাবকে বিতর্কিত করতে একাধিকবার প্রেসক্লাবে তালা জুলিয়েছেন। ক্লাবের নেতাদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন। তার স্বার্থে ক্লাবের গঠনতন্ত্র ইচ্ছেনুযায়ী কাটছাট করেছেন এবং সংযোজন করেছেন বলে ক্লাবের একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
শেরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কার্যক্রম সমর্থন করে আসছেন। জাতির পিতার আদর্শের প্রতি আস্থা রেখে যখন আওয়ামীলীগে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেছেন। তখনই শ্যামলবাংলার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম আধার ও তার অনুসারীদের স্বার্থে আঘাত লেগেছে। তাই তারা সাংবাদিক মেরাজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে মানহানিকর ও বেআইনীভাবে সাংবাদিকতার নীতির পরিপন্থী কাজে লিপ্ত হয়ে মিথ্যা ভিত্তিহীন প্রচারনা শুরু করেছেন। একই সাথে সামাজিক মাধ্যমে তা ছড়াচ্ছেন।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক মেরাজ উদ্দিন এ প্রতিনিধিকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যারা মিথ্যা, ভিত্তিহীন প্রচারনা শুরু করেছেন। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে আমি এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আইনী পরামর্শ শুরু করেছি।
তিনি প্রশ্ন করে বলেন এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধারের তিনজন শ্বশুর কত কত নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।