ঢাকা ০৪:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

সরদহ সঃ উচ্চ বিদ্যালয়ে মাদক সেবনে ব্যস্ত শিক্ষার্থীরা , রুখবে তাদের কে

শাহিনুর রহমান সুজন- রাজশাহী:
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৭:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩ ৫৬৭ বার পঠিত

স্কুল জীবনেই মাদক সেবনে শুরু ইয়াবা ও গাজা দিয়ে। সম্প্রতী রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সরদহ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনী থেকে দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন মাদকে আসক্ত হয়েছে। সম্প্রতী ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাদক সেবনের একটি ভিডিও ফুটেজ সাংবাদিকদের হাতে এসে পৌছেছে। যেখানে বিভিন্ন শ্রেনীর ৮জন শিক্ষার্থীকে ইয়াবা ও গাজা সেবনের দৃশ্য প্রমান বহন করছে।

মাদক সেবিরা কিশোর হওয়ার তাদের পরিচয় গোপন করা হয়েছে।তাদের মধ্যে প্রধান হোতা হল দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র,তার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে মাদক সেবনের আড্ডা। অনেক শিক্ষার্থী তার মাদক সেবনের কথা প্রতিদিনের খবরের কাছে প্রকাশ করেছে।

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত তীরবর্তী এলাকা হওয়ার কারনে অবাদে মিলছে নানা রকমের মাদক। স্থানিয় অনেক শিক্ষক, সরকারী দপ্তরের বিভিন্ন পদস্ত কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাদক সেবনের বিষয়টি প্রতিনিয়ত থাকলেও কিশোর ও যুবকদের মাদক সেবনের সংবাদ গুলো অনাকাঙ্খিত।

বুধবার দুপুরে সরদহ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থীদের নানা অপরাধ থেকে বিরত রাখতে প্রধান শিক্ষকসহ বিভিন্ন সহকারী শিক্ষক প্রতিনিয়িত বিদ্যালয়ের চারপাশসহ শিক্ষার্থীদের টয়লেট ও অনুসন্ধান করা হয়। ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষার্থীদের ধুমপান করা অবস্থায় তাদের চিহিৃত করেছেন। পরবর্তী সময়ে অভিভাবকদের ডেকে নিয়ে শিক্ষার্থীদের সর্তক করে দেওয়া হয়। যথারীতি শিক্ষার্থীদের পিতা-মাতার নিজ হাতে লিখিত অঙ্গিকার নামা একটি খাতায় লীপিবদ্ধ করা হয়। বর্তমান সময়ে অনেক বিষয়ে সিন্ধান্ত নিতে অপরাগতা প্রকাশ করছে শিক্ষকরা। স্থানীয় পর্যায়ে কোন শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে নানা ধরনের অপমান ও অপদস্তের শিকার হচ্ছেন শিক্ষক ও শিক্ষিকারা। ওই সময় সহকারী শিক্ষক ইদ্রীস আলী, রাজু আহম্মেদ, হাছান মামুন, সজিব আহম্মেদ, শামিম আহমেদসহ অনেক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

এবিষয়ে স্থানীয় অনেক অভিভাবক ও সচেতন নাগরীক তাদের মনের ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই বিদ্যালয়ের সুনাম এখনও দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় রয়েছে। এই বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীরা বর্তমান সরকারী দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসাবে দেশ সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। তবে বর্তমান পরিস্থিতি কথা ভাবলে আগামী দিন গুলো অনিশ্চয়তায় রয়েছে বলে তারা মনে করছেন। ওই সময় তারা অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে সবায় সংশয়ে আছেন। সম্প্রতী অটো পাশ, লটারিতে বিদ্যালয়ে ভর্তি সহ বিভিন্ন ভর্তি পরিক্ষা বাদ দেয়ার কারনেও স্বনামধন্য বিদ্যালয় গুলো ধ্বংস হচ্ছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শাসন সহ শিক্ষকদের কর্তৃত্ব বিলিন হয়ে গেছে। এই বিদ্যালয়সহ দেশের প্রথম সারির সকল বিদ্যালয় গুলোর অবস্থান ঠিক রাখতে সরকারকে ভর্তি পরিক্ষায় আসতে হবে। তখন প্রত্যেক শিক্ষার্থী ও পিতা-মাতা সবায় অন্যান্য চিন্তা বাদ দিয়ে পড়ালেখায় মনোযোগী হবে।

মাদক ও অধ্যায়ন দুটো ভিন্ন জগত। একসাথে কখনও দুটোর মিল হতে পারে না। অধ্যায়নে একজন শিক্ষার্থী দেশের সবর্চ্চ উচ্চ স্থান থেকে দেশ পরিচালন করছে। মাদক সেবনে জাতি ও দেশ দুই ধ্বংস করছে তারা। নিজ গৃহ থেকেই অভিভাবকদের সর্তক হতে হবে তাদের সন্তানদের দৈনন্দিন কর্মকান্ডে উপর। স্কুল পড়–য়া শিক্ষার্থীরা যখন মাদক সেবন করছে তখন একটি সমাজের অবস্থান কোথায় বিরাজ করছে যা ভাবার বিষয়। স্বনামধন্য সরদহ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাদক সেবনের বিষয়টি তদন্ত করা হবে। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধানের সঙ্গে কথা বলে প্রমান সাপেক্ষে ওই সকল শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন।

সরদহ সঃ উচ্চ বিদ্যালয়ে মাদক সেবনে ব্যস্ত শিক্ষার্থীরা , রুখবে তাদের কে

আপডেট সময় : ০৮:৫৭:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩

স্কুল জীবনেই মাদক সেবনে শুরু ইয়াবা ও গাজা দিয়ে। সম্প্রতী রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সরদহ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনী থেকে দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন মাদকে আসক্ত হয়েছে। সম্প্রতী ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাদক সেবনের একটি ভিডিও ফুটেজ সাংবাদিকদের হাতে এসে পৌছেছে। যেখানে বিভিন্ন শ্রেনীর ৮জন শিক্ষার্থীকে ইয়াবা ও গাজা সেবনের দৃশ্য প্রমান বহন করছে।

মাদক সেবিরা কিশোর হওয়ার তাদের পরিচয় গোপন করা হয়েছে।তাদের মধ্যে প্রধান হোতা হল দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র,তার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে মাদক সেবনের আড্ডা। অনেক শিক্ষার্থী তার মাদক সেবনের কথা প্রতিদিনের খবরের কাছে প্রকাশ করেছে।

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত তীরবর্তী এলাকা হওয়ার কারনে অবাদে মিলছে নানা রকমের মাদক। স্থানিয় অনেক শিক্ষক, সরকারী দপ্তরের বিভিন্ন পদস্ত কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাদক সেবনের বিষয়টি প্রতিনিয়ত থাকলেও কিশোর ও যুবকদের মাদক সেবনের সংবাদ গুলো অনাকাঙ্খিত।

বুধবার দুপুরে সরদহ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থীদের নানা অপরাধ থেকে বিরত রাখতে প্রধান শিক্ষকসহ বিভিন্ন সহকারী শিক্ষক প্রতিনিয়িত বিদ্যালয়ের চারপাশসহ শিক্ষার্থীদের টয়লেট ও অনুসন্ধান করা হয়। ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষার্থীদের ধুমপান করা অবস্থায় তাদের চিহিৃত করেছেন। পরবর্তী সময়ে অভিভাবকদের ডেকে নিয়ে শিক্ষার্থীদের সর্তক করে দেওয়া হয়। যথারীতি শিক্ষার্থীদের পিতা-মাতার নিজ হাতে লিখিত অঙ্গিকার নামা একটি খাতায় লীপিবদ্ধ করা হয়। বর্তমান সময়ে অনেক বিষয়ে সিন্ধান্ত নিতে অপরাগতা প্রকাশ করছে শিক্ষকরা। স্থানীয় পর্যায়ে কোন শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে নানা ধরনের অপমান ও অপদস্তের শিকার হচ্ছেন শিক্ষক ও শিক্ষিকারা। ওই সময় সহকারী শিক্ষক ইদ্রীস আলী, রাজু আহম্মেদ, হাছান মামুন, সজিব আহম্মেদ, শামিম আহমেদসহ অনেক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

এবিষয়ে স্থানীয় অনেক অভিভাবক ও সচেতন নাগরীক তাদের মনের ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই বিদ্যালয়ের সুনাম এখনও দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় রয়েছে। এই বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীরা বর্তমান সরকারী দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসাবে দেশ সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। তবে বর্তমান পরিস্থিতি কথা ভাবলে আগামী দিন গুলো অনিশ্চয়তায় রয়েছে বলে তারা মনে করছেন। ওই সময় তারা অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে সবায় সংশয়ে আছেন। সম্প্রতী অটো পাশ, লটারিতে বিদ্যালয়ে ভর্তি সহ বিভিন্ন ভর্তি পরিক্ষা বাদ দেয়ার কারনেও স্বনামধন্য বিদ্যালয় গুলো ধ্বংস হচ্ছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শাসন সহ শিক্ষকদের কর্তৃত্ব বিলিন হয়ে গেছে। এই বিদ্যালয়সহ দেশের প্রথম সারির সকল বিদ্যালয় গুলোর অবস্থান ঠিক রাখতে সরকারকে ভর্তি পরিক্ষায় আসতে হবে। তখন প্রত্যেক শিক্ষার্থী ও পিতা-মাতা সবায় অন্যান্য চিন্তা বাদ দিয়ে পড়ালেখায় মনোযোগী হবে।

মাদক ও অধ্যায়ন দুটো ভিন্ন জগত। একসাথে কখনও দুটোর মিল হতে পারে না। অধ্যায়নে একজন শিক্ষার্থী দেশের সবর্চ্চ উচ্চ স্থান থেকে দেশ পরিচালন করছে। মাদক সেবনে জাতি ও দেশ দুই ধ্বংস করছে তারা। নিজ গৃহ থেকেই অভিভাবকদের সর্তক হতে হবে তাদের সন্তানদের দৈনন্দিন কর্মকান্ডে উপর। স্কুল পড়–য়া শিক্ষার্থীরা যখন মাদক সেবন করছে তখন একটি সমাজের অবস্থান কোথায় বিরাজ করছে যা ভাবার বিষয়। স্বনামধন্য সরদহ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাদক সেবনের বিষয়টি তদন্ত করা হবে। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধানের সঙ্গে কথা বলে প্রমান সাপেক্ষে ওই সকল শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন।