ঢাকা ১০:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় অন্ধত্ববরণের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন খানসামায় ট্রান্সফরমার চোর চক্রের ৫ জনসহ ৭ জন গ্রেপ্তার ডুমুরিয়ায় আপন মেজ ভাইকে খুনের ঘটনায় নেশাখোর ছোট ভাই সোহান গ্রেফতার শহিদুল ইসলামের দলীয় পদ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করায় সালথায় আনন্দ মিছিল আত্রাইয়ে নবাগত ইউএনও’কে  কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের শুভেচ্ছা প্রদান  সালথায় জমি নিয়ে বিরোধে কৃষকের বাড়িতে আগুন দিল প্রতিপক্ষ বিরামপুরে ভুয়া এনজিওর মাধ্যমে ও ভুয়া টিসিবির কার্ড বিতরণের দায়ে অর্থদণ্ড পাইকগাছায় মটরসাইকেল-বাইসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নি-হ-ত-১  ডুমুরিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেঝ ভাইকে কু‌পি‌য়ে হত্যা ক‌রে‌ছে ছোট ভাই

সদরপুরে জমে উঠেছে লালমীর হাট দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি

নুরুল ইসলাম-সদরপুর:
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৭:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩ ২৫০ বার পঠিত

মো: নুরুল ইসলাম, সদরপুর (ফরিদপুর):

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বসেছে লালমীর হাট। কাটাকালী, মজুন্দার বাজার, বাধানো ঘাট, চাঁদপুর ও কৃষ্ণপুরে চলছে লালমীর বেচাকেনা।

 

বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা এখান থেকে লালমী কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন। কৃষকদের কাছ থেকে জানা গেছে, প্রতি বছর রমজান মাসকে সামনে রেখে সদরপুর উপজেলার কৃষকরা ব্যস্ত হয়ে পরেন লালমী চাষে।

স্থানীয় কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলায় পাঁচশত পচিশ একর জমিতে লালমী আবাদ করা হয়েছে।

স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর লালমী চাষে খরচ পরেছে গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুন।

যেখানে গত বছর প্রতি বিঘা (৫২ শতক) জমিতে লালমী আবাদে কৃষকের খরচ হয়েছিল ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। আর চলতি মৌষুমে প্রতি বিঘায় খরজ হয়েছে ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা।

কারন হিসাবে কৃষকরা জানান, সময়মত বৃষ্টি না হওয়া, কারেন্ট পোকা, বাইল্যা পোকা ও সাদা মাছির আক্রমনে বেশি ওষুধ প্রয়োগ এবং কৃষক বেশি লাগার কারনে উৎপাদন খরজ দ্বিগুন হলেও উৎপাদন হয়েছে গত বছরের তুলনায় অর্ধেক।

তবে ব্যবসায়ীরা জানান, এ বছর লালমীর মূল্য গত বছরের তুলনায় বেশি। গত বছর একশত লালমী তিন হাজার টাকা দরে বিক্রি হলেও এবছর বিক্রি হচ্ছে প্রতি শত পাঁচ হাজার টাকায়।

ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর লালমীর উৎপাদন কম হওয়ায় অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই লালমীর ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

চলতি মৌষুমে লালমীর সংকট দেখা দিলে লালমীর দাম ভয়ানক ভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে কৃষকরা বলছেন, এ বছর উৎপাদন কম হওয়ায় খরজ উঠাতেই হিমসিম খাচ্ছেন তারা।

এব্যাপারে সদরপুর কৃষি অফিসার বিধান রায় জানান, কৃষকদের অন্যান্ন ফসল উৎপাদনে সরকারি ভাবে প্রনোদনার ব্যবস্থা থাকলেও লালমী চাষে সরকারি ভাবে কোন বরাদ্দ না থাকায় কৃষকদের আর্থিক ভাবে কোন সহযোগিতা করা যাচ্ছেনা। তবে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

তবে সব ফসলের মত লালমী চাষে সরকারি ভাবে কৃষকদের আর্থিক ভাবে বরাদ্দ দেওয়া হোক এমনটাই দাবী সদরপুর উপজেলার কৃষকদের।

 

সদরপুরে জমে উঠেছে লালমীর হাট দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি

আপডেট সময় : ০৭:৪৭:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩

মো: নুরুল ইসলাম, সদরপুর (ফরিদপুর):

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বসেছে লালমীর হাট। কাটাকালী, মজুন্দার বাজার, বাধানো ঘাট, চাঁদপুর ও কৃষ্ণপুরে চলছে লালমীর বেচাকেনা।

 

বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা এখান থেকে লালমী কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন। কৃষকদের কাছ থেকে জানা গেছে, প্রতি বছর রমজান মাসকে সামনে রেখে সদরপুর উপজেলার কৃষকরা ব্যস্ত হয়ে পরেন লালমী চাষে।

স্থানীয় কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলায় পাঁচশত পচিশ একর জমিতে লালমী আবাদ করা হয়েছে।

স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর লালমী চাষে খরচ পরেছে গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুন।

যেখানে গত বছর প্রতি বিঘা (৫২ শতক) জমিতে লালমী আবাদে কৃষকের খরচ হয়েছিল ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। আর চলতি মৌষুমে প্রতি বিঘায় খরজ হয়েছে ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা।

কারন হিসাবে কৃষকরা জানান, সময়মত বৃষ্টি না হওয়া, কারেন্ট পোকা, বাইল্যা পোকা ও সাদা মাছির আক্রমনে বেশি ওষুধ প্রয়োগ এবং কৃষক বেশি লাগার কারনে উৎপাদন খরজ দ্বিগুন হলেও উৎপাদন হয়েছে গত বছরের তুলনায় অর্ধেক।

তবে ব্যবসায়ীরা জানান, এ বছর লালমীর মূল্য গত বছরের তুলনায় বেশি। গত বছর একশত লালমী তিন হাজার টাকা দরে বিক্রি হলেও এবছর বিক্রি হচ্ছে প্রতি শত পাঁচ হাজার টাকায়।

ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর লালমীর উৎপাদন কম হওয়ায় অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই লালমীর ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

চলতি মৌষুমে লালমীর সংকট দেখা দিলে লালমীর দাম ভয়ানক ভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে কৃষকরা বলছেন, এ বছর উৎপাদন কম হওয়ায় খরজ উঠাতেই হিমসিম খাচ্ছেন তারা।

এব্যাপারে সদরপুর কৃষি অফিসার বিধান রায় জানান, কৃষকদের অন্যান্ন ফসল উৎপাদনে সরকারি ভাবে প্রনোদনার ব্যবস্থা থাকলেও লালমী চাষে সরকারি ভাবে কোন বরাদ্দ না থাকায় কৃষকদের আর্থিক ভাবে কোন সহযোগিতা করা যাচ্ছেনা। তবে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

তবে সব ফসলের মত লালমী চাষে সরকারি ভাবে কৃষকদের আর্থিক ভাবে বরাদ্দ দেওয়া হোক এমনটাই দাবী সদরপুর উপজেলার কৃষকদের।