শেরপুরের স্বেচ্ছাসেবী, সামাজিক ও অরাজনৈতিক সংগঠন 'মোবারকপুর কল্যাণ সংস্থা'র অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সংস্থার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দাবি, মাসিক সভা চলাকালীন সময়ে একদল কিশোর হঠাৎ এসে হামলা ও ভাঙচুর করে। এসময় অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ও নগদ অর্থও আলমারি ভেঙে নিয়ে যান ওই চক্রটি। এতে আহত হয়েছেন সংস্থার পাঁচ জন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
১৩ নভেম্বর (সোমবার) রাতে শেরপুর পৌর শহরের মোবারকপুর মহল্লার আখের মামুদ বাজারস্থ সংস্থার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই মানবাধিকার সংগঠন 'আমাদের আইন'র শেরপুর জেলা শাখার চেয়ারম্যান মো: নুর-ই-আলম চঞ্চল, মৎসজীব লীগ নেতা আব্দুল আওয়াল মাসুম, মানবাধিকার কর্মী শাহ জাহান তালুকদারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এবং এর দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
সংগঠনের সভাপতি মিলন জানান, আমাদের মাসিক মিটিং চলাকালীন সময়ে হঠাৎ করেই পাঁচ ছয়জনের একটি দল অফিসের ভিতরে প্রবেশ করে। এবং কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এসময় আমাদের ১'শ জনকে শীতবস্ত্র বিতরণের নগদ অর্থ ও দশজন দুঃস্থ পরিবারের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণের জন্য সঞ্চয়কৃত নগদ অর্থসহ প্রায় দেড় লক্ষ টাকা ও গুরুত্বপূর্ণ পেপারস ফাইল নিয়ে যায়। এসময় তাদের আঘাতে আমারা পাঁচজন আহতও হয়েছি। তবে অই চক্রের একজনকে শনাক্ত করতে পেরেছি, তিনি একই এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে দাদন ব্যবসায়ী উসমান।
সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল্লাহ বাহার জানান, প্রতিবছরের ন্যায় একরও আমরা শীতবস্ত্র বিতরণ ও সেলাইমেশিনসিহ হুইল চেয়ার দেয়ার জন্য গত মাস থেকেই অর্থ সঞ্চয় করেছি। আজকের গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে অতর্কিত এমন হামলা চালিয়ে নগদ দেড় লাখ টাকার মতো নগদ অর্থ ও বিভিন্ন নথিপত্র নিয়ে গেছে চক্রটি। এ ঘটনার আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।
সংগঠনের কার্যকরি সদস্য রোজিনা আক্তার বলেন, দাদন ব্যবসায়ী উসমানের নেতৃত্বে একটি চক্র এমন কাজ করেছে। তারা আমাদের সদস্যদের দানকরা নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে গেছে। তাদের আঘাতে আমাদের কয়েকজন সদস্য আহতও হয়েছে এবং স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা সেবা নিয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত উসমানকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে তার চাচা আব্দুস সালাম বলেছে, ব্যপারটি আমি উসমানের বড় ভাই ও তার মামাকে জানিয়েছি।
একটি স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠনে প্রবেশ করে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন শেরপুর পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা আবু লায়েস মুহাম্মদ বজলুল করিম বাপ্পি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম'র কেন্দ্রীয় নেতা এডভোকেট এম আব্দুল্লাহ।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বসির আহম্মেদ বাদল জানিয়েছেন, সংবাদ পেয়ে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ সাপেক্ষে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।