জেলায় প্রথমবারের মতো বিটল পোকার চাষ করছেন মিঠু। এর আগে কেউ আর বিটল পোকার চাষ করেনি। এজন্য তার এই খামার দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয়সহ
অনেকেই। কীভাবে এই পোকা চাষ করা যায় এ বিষয়ে তার কাছ পরামর্শ নিতে আসেনঅনেকেই। এ পোকা চাষে তিনি ব্যাপক সাফল্য পাচ্ছেন।
তিনি ৯ মাস আগে ১৫ টাকা করে ২৫০ পিস বিটল পোকা ও দুই মাস আগে দুই হাজার টাকা কেজিতে দেড় কেজি ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই পোকা কিনে নিয়ে আসেন। এখন
তার খামারে প্রায় ২৫ হাজার বিটল পোকা ও ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই ডিম পাড়ার পোকা আছে। এই পোকার বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষাধিক টাকা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্যারেট পোকার ও বিদেশি বিটল পোকাসহ মুরগি,হাঁস, মাছ ইত্যাদি খামারে কাজ করছেন স্থানীয় ৬ যুবক। কিন্তু মালিক ঢাকাতে চাকরি করায় তিনি ঢাকাতে থাকেন। তার খামারের সকল কিছু দেখার জন্য সাখাওয়াত হোসেন ফারুক নামে একজন প্রতিনিয়ত কাজ করেন।
ম্যানেজার সাখাওয়াত হোসেন ফারুকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমরা প্রথমে খোঁজখবর নিয়ে জেনেছি ময়মনসিংহে এই বিটল পোকা পাওয়া যায়। পরে আমার মালিক যোগাযোগ করে ২৫০ পিস বিটল পোকা নিয়ে আসে ১৫ টাকা করে। ইতোমধ্যে আমরা ১০ হাজার পোকা মুরগির খাবার হিসেবে ব্যবহার করেছি।
তিনি আরও বলেন, এই বিটল পোকাতে প্রোটিন বেশি পরমিাণে থাকে। এই পোকা খেলে মুরগি খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে উঠে। আমার মালিক ১ বছর আগে এই খামার দেয়। আমি এই খামারের সকল কিছু দেখাশুনা করি। আমাদের খামারে হাস, মুরগি ও মাছের থেকে
এই পোকা চাষে বেশি লাভ হচ্ছে।
এই পোকা চাষে আগ্রহীদের উদ্দেশ্যে ফারুক বলেন, যাদের আগ্রহ আছে অল্প জায়গায় এই পোকার চাষ করতে পারবেন। এই পোকা চাষ একেবারে সহজ। আর অল্প পোকা কিনেও এটা চাষ করে সফলতা পাওয়া সম্ভব।
খামারের শ্রমিক রকিব মিয়া বলেন, আমরা বাসায় বসে থাকতাম, কোন কার্জকম ছিল না। এই খামার হওয়ার পর থেকে এখানে চাকরি করছি। আমাদের দৈনিক ৫০০ থেকে ৪০০ টাকা বেতন দেওয়া হয়। এখানে ৬ জন শ্রমিক হিসেবে কাজ করি। আমাদের খামারে সবথেকে বেশি লাভের হল বিটল পোকা।
নকলা শহরের বাসিন্দা মোরাদ বলেন, আমরা এই বিটল পোকা আর কোন জায়গায় দেখিনি। এই পোকা চাষ করে তিনি লাভবান হয়েছেন। আমারও আশা আছে এ পোকার চাষ করার।
নকলা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ ইসহাক আলী জানান, বাজারে পল্টি খাবারের দাম চড়া। তাই আমরা সকলকে এই পোকার চাষ করার জন্য উৎসাহিত
করছি। আমরা বিভিন্ন মেলাতেও এই পোকা চাষের সম্পর্কে চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছি। বাজারে প্রচলিত খাদ্যের চেয়ে এই খাদ্যের গুনাগুণ ৭০ গুণ বেশি।