শেরপুরে ছাত্রদলের নয়া কমিটি ঘিরে ক্ষোভ, সাবেক সভাপতির সংবাদ সম্মেলন
- আপডেট সময় : ১২:৫৫:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ৫৩ বার পঠিত
শেরপুর জেলা ছাত্রদলের নয়া কমিটি ঘিরে ছাত্রদলের একাংশের নেতৃবৃন্দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিএনপির সরকার পতনের একদফা আন্দোলন বাস্তবায়নে দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করা অনেক ছাত্রদশ নেতা পদবঞ্চিত হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন। আজ ৪ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় সদ্য সাবেক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শওকত হোসেন অনলাইনে সংবাদ সম্মেলন করেন। এছাড়াও জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের হুয়াটসএপে তিন পৃষ্ঠার একটি প্রেস রিলিজের কপি সরবরাহ করেন।
গতকাল ৩ ডিসেম্বর রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক স্বাক্ষরিত ৮ সদস্য বিশিষ্ট শেরপুর জেলা ছাত্রদলের একটি কমিটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই শুরু এই মনোমালিন্য। এসময় তিনি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হজরত আলীর একক সিদ্ধান্তে এই কমিটি হয়েছে বলে দাবি করেন। এবিষয়ে জেলার একাধিক বিএনপি নেতা এই কমিটি ব্যাপারে বলেন, নতুন কমিটি গঠন করে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরির সময় এখন নয়। বরং সবাইকে সাথে নিয়ে আন্দোলনে মনোযোগী হওয়া দরকার। জেলা ছাত্রদলের এখন কোন ব্যার্থতা দৃশ্যমান নাই যার কারনে এখন নতুন নেতৃত্ব সামনে আনতে হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নতুন কমিটির ব্যাপারে শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক এমপি মো. মাহমুদুল হক রুবেল অবগত নন বলেও তিনি দাবি করেন। তবে আত্নগোপনে থাকায় জেলা বিএনপির সভাপতির বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এসময় তিনি বলেন, পুলিশের গ্রেফতার আতঙ্কের কারনে অনলাইনে সংবাদ সম্মেলন করতে হচ্ছে। এছাড়াও তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ১২ জুলাই আংশিক জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ২৭৯ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করেছি। দায়িত্ব পাওয়ার পরে সকল থানা, শহর, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড কমিটি সম্পন্ন করেছি। এবং কলেজ গুলোর অধীন ক্লাস কমিটি সম্পন্ন করেছি। কমিটি গঠিত হওয়ার পর থেকে সততা, নিষ্ঠা, আন্তরিকতার সাথে সাংগঠনিক দায়িত্ব ও কেন্দ্র ঘোষিত সকল কর্মসূচী পালন করে আসছি।
সর্বশেষ ২৮শে অক্টোবর ঢাকায় মহা সমাবেশে নেতাকর্মী নিয়ে অংশগ্রহণ করেছি, আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছি এবং আহত হয়েছি। ঢাকায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্যারের সাথে মিথ্যা দুটি মামলাও দেওয়া হয়েছে আমার নামে।
২৮শে অক্টোবর পরবর্তী চলমান আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে হুলিয়া নিয়ে আত্মগোপনে থেকেও হরতাল অবরোধ সফল করতে স্ব-শরীরে এবং নেতাকর্মীদের দিয়ে প্রতিনিয়ত মিছিল, মশাল মিছিলে অংশগ্রহণ করেছি। শেরপুর জেলা ছাত্রদলের মত একটি শক্তিশালী ইউনিটকে সুপরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দেওয়ার মানসে এমন কাজ করা হয়েছে বলে তার দাবি।
দীর্ঘ সময়ে দলের ত্যাগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি ২০০২ সালে জেলা ছাত্রদলের সহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, পরে ২০০৬ সালে সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক, পরে ২০১১ সালে দপ্তর সম্পাদক এবং সর্বশেষ ২০১৮ সালে শেরপুর জেলা ছাত্রদলে সভাপতি মনোনীত হই। এই দীর্ঘ সময়ে ছাত্ররাজনীতিতে জড়িত থাকার সময় অনেক নেতা কর্মীদের নিয়ে রাজনীতি করেছি, নিজে মামলা খেয়েছি, জেল খেটেছি, জেলে পাঠানো হয়েছে একের পর এক মিথ্যা মামলা, সহযোদ্ধাদের নামে মামলা সবাই ফেরারী অবস্থায় আন্দোলন করছিলাম।