প্রথম আলো চর পাঠশালার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় একটি খালের উপর বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়েছে।
ঘোগাদহ ইউনিয়নের প্রথম আলোর চরে বাঁশের সাঁকোটি তৈরি করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,ঘোগাদহ ইউনিয়নের খামার নৌকা ঘাট থেকে প্রথম আলো চরের আলোর পাঠশালা যাওয়ার পথে, স্কুলটির ১০০ গজ দুরে দুধকুমর নদীর এই খালটি। বর্ষা মৌসুমে খালটিতে ২-৩ মাস পানি থাকার কারনে স্কুলের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত স্কুলে যেতে পারে না। সেসময় দুই কিলোমিটার ঘুরে স্কুলে যেতে হয় তাদের। এ কারণে স্কুলে ছাত্র ছাত্রীদের উপস্থিতও কমে যায়। এছাড়াও যাতায়াতের দুর্ভোগে পড়তে হয় স্থানীয় মানুষজনদেরকেও। স্থানীয় লোকজন ও স্কুলের শিক্ষরা এখানে একটি সাঁকোর জন্য জনপ্রতিনিধিদের কাছে গেলেও সাঁকো তৈরির কোন উদ্যোগ নেয়নি কেউ।
প্রথম আলো চরের আব্দুর সোবহান ব্যাপারী বলেন,বর্ষা মৌসুমে এই খালটিতে পানি থাকার কারণে ২ কিলোমিটার ঘুরে ঘোগাদহ বাজারে যেতে হয়।
এ সময় স্কুলে আসা যাওয়ার বড় সমস্যা হয় ছাত্র ছাত্রীদের। আমরা গ্রামের লোকজন বাঁশ দিয়েছি আজ স্কুলের মাস্টার ও ছাত্র ছাত্রীরা মিলে সাঁকোটি তৈরি করলো।আমরাও তাদের কাজে সহযোগিতা করেছি।
প্রথম আলো চর আলোর পাঠশালার প্রধান শিক্ষক মোঃ আতাউর রহমান বলেন"প্রথম আলো চর আলোর পাঠশালার পশ্চিম দিকে একটি গ্রাম আছে সেখানে অসংখ্য ছাত্র -ছাত্রী রয়েছে। এই নালাটি থাকার কারণে তারা নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারে না। অনেকবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিষয়টি বলা সত্ত্বেও তারা এই নালা ভরাট করার কোন উদ্যোগ নেয়নি তাই শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে এই সাঁকো তৈরি করা হয়। এই সাঁকোর মাধ্যমে এখন বিদ্যালয়ের পূর্বদিক থেকে পশ্চিম দিকে প্রায় ৩ শতাধিক মানুষের যাতাযাতের সুবিধা হবে।
এ বিষয়ে ঘোগাদহ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মালেক সরকার বলেন, গতবার তো ওখানে ড্রামের সাঁকো ছিল।এবার যে ড্রামের সাঁকোটি নেই, আমাকে কেউ বলে নাই। সাঁকোর বিষয়ে কেউ কোনদিন আমার কাছে আসেও নাই।
ওই খালটার বিষয়ে আমি ত্রাণ অধিদপ্তরে প্রকল্প পাঠিয়েছি। নদী ভাঙনের কারণে প্রকল্পটি পাস হয়নি। তবে এখানে ব্রিজ প্রয়োজন জরুরী ভিত্তিতে ।