শান্তিপূর্ণ অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোটকে বিতর্কিত করার সুযোগ নেই
- আপডেট সময় : ১০:০২:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৪ ১৮৭ বার পঠিত
শেরপুরে গত ৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোন সুযোগ নেই। কারণ এ বছর শেরপুর-১ সদর আসনে উৎসব মুখর পরিবেশে প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এ নির্বাচন নিয়ে কেউ প্রশ্ন না তুললেও একজন পরাজিত প্রার্থী তার পরাজয়ের কারণ নিজের ওপর না নিয়ে প্রশাসনের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছেন। যা খুবই দু:খ জনক। এমন মন্তব্য করেছেন শেরপুর সদর উপজেলার জনপ্রতিনিধিগণ।
এ বিষয়ে শেরপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বছর মানুষ তাদের নিজের মতামত প্রদান করতে পেরেছেন। জেলা প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি, আনসার বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগন নিরপেক্ষ ভুমিকা পালন করায় ভোটরগণ নির্ভয়ে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পেরেছেন। কেউ পচিঁশ বছর ক্ষমতায় থেকে এ আসনের কাঙ্খিত উন্নয়ন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই মানুষ এবার পরিবর্তন চেয়েছেন। তারই প্রতিফলন হয়েছে। এতে নিজের দোষ প্রশাসনের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা ছাড়া আর কিছুনা।
শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন বলেন, আতিক সাহেব ও তার পরিবারের লোকজন দলীয় নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করেননি। তারা নানা দূর্নীতি ও অনিয়মের সাথে জড়িত হয়ে পড়েছিলো। এ কারণে দলের নেতাকর্মী ও জনগন এবার তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। মানুষ তাদের রায়ের মাধ্যমে পরিবর্তন এনেছেন।
এদিকে বলায়েরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বলেন, আমার ইউনিয়নে শতভাগ ফেয়ার ভোট হয়েছে। এবার আমাদের পার্শ্ববর্তী এলাকাতেও সুন্দর সুষ্ঠ ভোট হয়েছে।
চরশেরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বলেন, ছানুয়ার হোসেন ছানু চরশেরপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা হওয়ায়, এ ইউনিয়নের লোকজন ছানুয়ার হোসেন ছানুকেই একজোট হয়ে ভোট দিয়েছে। আমার ইউনিয়নে সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের ইউনিয়নের কোন বাসিন্দা সেদিন বাইরে ছিলোনা। ঈদের আনন্দের মতো উৎসব মূখর পরিবেশে ভোট দিয়েছে সবাই। ২৫ বছর এ ইউনিয়নে কোন উন্নয়ন করেননি আতিক সাহেব। এবার উন্নয়নের আশায় মানুষ ছানু ভাইকে ভোট দিয়েছে।
লছমনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বলেন, আমার ইউনিয়নে সুন্দর পরিবেশে মানুষ ভোট দিয়েছে। এখানে নৌকার ২/১ জন সীল মারার চেষ্টা করেছে। কিন্তু জনগন তা প্রতিহত করেছে।
চরমুচারিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছাব্বির আহমেদ খোকন বলেন, আমার ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে জনগন ভোট দিয়েছে। কিন্তু মিনহাজ উদ্দিন মিনাল ও শাহজাহানরা নানাভাবে কেন্দ্রে গিয়ে সিল মারার চেষ্টা করে। যে কারণে মুকসেদপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। মূলত জনগন এবার তাদের ভোট নিজেরাই দিয়েছেন।
কামারেরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, এবার আমার এলকার উন্নয়ন বঞ্চিত মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরিবর্তনের জন্য ভোট দিয়েছে। এখনে সরকার ও প্রশাসনকে বিতর্কে ফেলার কোন সুযোগ নেই।