নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো: ইউনুছ শেখ জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মলন করেছেন।
বুধবার দুপুরে লোহাগড়া শহরের মফ:স্বল সাংবাদিক সোসাইটির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি লোহাগড়া উপজলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের শামুকখালা মৌজায় এস,এ ৭১৮ নং খতিয়ানের ৯৪২ নং দাগে ১৬ শতক জমির মধ্যে আব্দুল ওহাব আলীর বিক্রিত ৪ শতক জমি বাদে ৩ শতক জমি খরিদ করি। যার দলিল নং-৩২২৩/১৯৯৮। নামজারী মামলা নং-৫৬/১৯৯৮-৯৯। জমির পরিমান-০৩ শতক। পথক খতিয়ান নং-৭১৮/১।
১৯৯৭ সালে ওই জমির ওপর দোকান ঘর নির্মান করে ছবেদ খন্দকার ও মশিয়ারের জ্ঞাত স্বারে ভাড়া প্রদান করে প্রথম আমিরুজ্জামান হামজা, তারপর শালনগর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান মো: লাবু মিয়া ২০০৩ সাল পর্যন্ত ওই দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করে আসছিল।
এরপর মো: লাবু মিয়া দোকান ঘর ছেড়ে দিলে শামুকখালা গ্রামের সৈয়দ শামসুল হকের ছেলে সৈয়দ সেলিম আহম্মদ অদ্যাবধি চুক্তি মোতাবেক আমার দোকান ঘরে ব্যবসা করে আসছে।
বিগত ২০২১ সালে আকষ্মিকভাবে উপজেলার মাধহাটি গ্রামের ওহাব শেখের ছেলে মশিয়ার রহমান হুমকি দিয়ে দোকান ঘর ছেড়ে দিতে বলে এবং দোকান ঘর না ছাড়লে মারপিটসহ আমার চাকুরী খেয়ে ফেলার হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় আমি লাহাগড়া থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরী দায়ের করি। যার নং-৪৮, তাং-০১/০৯/২০২১ এবং ৩৮৯, ৯/০৩/২০২১।
বিবাদীদের অব্যাহত হুমকির কারনে আমি আইনের আশ্রয় নেওয়ায় অভিযুক্ত মশিয়ার রহমানের নেতৃত্বে তার শ্যালক নয়ন খদকার, ছেলে আশরাফুল এবং নয়নর সহযোগী রিপন, কামরুল, ইসরাফিলসহ ৫/৭ জন দূর্বৃত্ত আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী, হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করতে থাকে ।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানায় কয়েক দফায় সালিশী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত শালিস বৈঠকে লোহাগড়া থানার ওসি মো: নাসির উদ্দিন, এসআই মিজানুর রহমান, বীর মুক্তিযাদ্ধা মনিরুজ্জামান, জয়পুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো: শরিফুল ইসলাম , প্যানেল মেয়র বিশ্বনাথ দাস ভন্ডুল, আইনজীবি এ্যাডঃ এনামুল হক, এ্যাড, আকরামুল ইসলামসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে শালিসী সভায় এই এই মর্মে সিদ্ধান্ত হয় যে , জমির ওপর দেকানঘর আমার দখল থাকায় এবং রেকর্ড সংশোধনীর নিমিত্বে আদালতে (এলএসটি ১৪/২০২৩) মামলা বিচারাধীন থাকায় মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দোকান ঘর আমার দখলে থাকবে এবং বিবাদীরা আমাকে কোন হয়রানী করতে পারবে না।
শালিসী বৈঠকের পর থেকে মশিয়ার রহমানের নেতৃত্ব উল্লেখিত দূর্বৃত্তরা আমাকে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই জের ধরে গত ২৫ অক্টোবর রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে আমি ও আমার অফিস সহকারি শালনগর ইউনিয়ন ভুমি অফিস থেকে কাজ শেষে পৃথক মোটর সাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলাম। পথিমধ্য জয়পুর- লাহুড়িয়া সড়কর তালতলা-কাঁঠালতলা বাজারের মাঝামাঝি মৎস্য ঘেরের ভাঙ্গা জায়গায় পৌছালে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা নয়ন খন্দকার (৩৫), পিং-সবেদ খন্দকার রিপন খদকার (৩২), পিং-মোশারফ খন্দকার, দুলাল খন্দকার (২২), পিং-ধ্বনি খন্দকারসহ আরও ২/৩ জন দুর্বৃত্ত রামদা, চাপাতি, লোহার রড, হাতুড়ী, লাঠি, হকিস্টিক দিয়ে আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করে আমার কাছে থাকা সরকারী ল্যাপটপ ভেঙ্গে ফেলে। এ সময় তারা আমার মোটর সাইকেলের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। শুধু তাই নয়, দুর্বৃত্তরা আমার কাছে থাকা গুরুত্বপূর্ণ সরকারী কাগজপত্র ছিনিয়ে নিয়ে ছিড়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় প্রায় ৭০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধিত হয়ছ।
দুর্বৃত্তদের হামলার পর আমার চিৎকারে পথচারীদের সহযোগিতায় আমার অফিসের অফিস সহায়ক আল মাসুদ রানাসহ অন্যান্যরা আমাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ২৭ অক্টোবর চিকিৎসাীন অবস্হায় আমি লোহাগড়া থানায় ৪ জনসহ আরও অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করি। মামলা নং-২৩/২৪৩।
মামলা করার পর আসামীরা আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে আমাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য নানা ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। আমাকে ও আমার ছেলে রবিউল ইসলাম জীবননাশসহ দোকান ঘর দখল করে নেওয়ার হুমকি দিছে। এমতাবস্হায় আমিসহ আমার পরিবারর সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে জীবনযাপন করছি। আমার ওপর হামলার ঘটনার বিচার চাই এবং এ বিষয় উর্দ্ধতন কর্তপক্ষর আশু সাহায্য-সহযোগিতা কামনা করছি।