বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর লালমনিরহাটে কৃষকের ফসলের মাঠে ভেসে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। পানির নিচে ডুবে পচে গেছে রোপা আমন। আবার কারও ধান বালুর নিচে ঢেকে গেছে। ফলে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিস্তা পাড়ের হাজারো কৃষক।
লালমনিরহাটের বন্যায় প্রায় দৈর্ঘ্যের ৮০ কিলোমিটার তিস্তা অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে শত শত হেক্টর জমির চিনাবাদাম, বীজতলা, আমন ধান, শাক-সবজি, আখ সহ বিভিন্ন ফসল ডুবে গেছে। বালুর নিচে ঢেকে ও পচে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধান।
পাশাপাশি শত শত হেক্টর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। জেলার আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের কালমাটি,বাহাদুরপাড়া, হরিণ চড়া, গরিবুল্লাপাড়া, সদর উপজেলার রাজপুর, খুনিয়াগাছ, তাজপুর, হাতীবান্ধা উপজেলার সিংগীমারী, সিন্দুনা ডাউয়াবাড়ি পাটিকাপাড়া, গড্ডিমারী,এবং পাটগ্রাম উপজেলা দহগ্রামে কৃষকদের ক্ষতি হয়েছে বেশি।
লালমনিরহাটের কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় জেলার পাঁচ উপজেলায়। এক লাখ,আট হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তার মধ্যে ১২৭,৫ হেক্টর আবাদি ফসল নষ্ট হয়েছে। ক্ষতির পরিমান হয়েছে চার কোটি ৩০ লাখ সাত হাজার টাকা কৃষি বিভাগ বলছে, এবার রবি মৌসুমের জন্য পাঁচ উপজেলার আট হাজার ৭০০ কৃষককে ৬টি ফসল প্রণোদনা দেওয়া হবে। এরমধ্যে রয়েছে পেঁয়াজ,ধান, সরিষা, গম, ভুট্টা ও চিনাবাদাম।
জেলার আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের কালমাটি এলাকার কৃষক আমজাদ হোসেন বলেন, হঠাৎ করে বন্যায় জমিতে বালুর নিচে ঢেকে গেছে জমির আমন ধান, এবার কি ভাবে জিবন চলবে এক আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, আনন্দবাজার এলাকার কৃষক ধনেরশ্বর রায় বলেন, বন্যায় সব ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এখন কী খাবো পরিবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সৈয়দা সিফাত জাহান বলেন, এ বছর লালমনিরহাট জেলায়, এক লাখ,আট হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলায় এখন পর্যন্ত, ১২৭,৫ হেক্টর ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লালমনিরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. মো. সাইখুল আরিফিন বলেন, ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে চলতি বন্যায় আমন ক্ষেতসহ অন্য ফসলের।