লালমনিরহাটের সদর থানার চিত্র বদলে গেছে ওমর ফারুকের হস্তক্ষেপে
- আপডেট সময় : ০৪:৪৬:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০২৩ ২০৭ বার পঠিত
লালমনিরহাটের পাঁচ থানার মধ্যে একটি সদর থানা জনসাধারণের ধারনা থানা মানেই টাকা। টাকা ছাড়া থানায় কোন কাজ হয় না। তবে জনসাধারণের সেই ধারণা পাল্টে দিয়েছেন অফিসার ইনচার্জ (ওসি)ওমর ফারুক।
লালমনিরহাট সদর থানার সর্বস্তরের জনগণ এসে ওসি,তদন্ত ওসি, সেকেন্ড অফিসার, এস আই,এ এস আই, কনস্টবল, সহ সকল পুলিশের সাথে নির্বিঘ্নে সেবার জন্য সাক্ষাৎ করা ও আলোচনা করতে পাচ্ছে।
এ ছাড়া সেবা নিতে আসা লোকজন টাকা ছাড়াই এখন সাধারণ ডায়েরি অভিযোগ ও মামলা লেখা বা অন্তর্ভুক্ত করতে পারছেন। পুলিশের আচরণ যেমন পাল্টেছে, তেমনি আগের তুলনায় থানায় সেবার মান বেড়েছে।
থানার মূল ভবনে রঙতুলির আঁচর আর থানা চত্বরে ময়লা পরিষ্কার করায় সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই স্থাপনার সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও দৃষ্টিনন্দন করতে এবং সহজেই মানুষকে সেবা দিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। আফিসার ইনচার্জ(ওসি)ওমর ফারুক, বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি থানাকে সাজিয়েছেন শৈল্পিক নৈপুণ্যে। ওসির সৃজনশীলতায় বদলে গেছে লালমনিরহাটের সদর থানার চিত্র। তিনি থানায় যোগদানের পর থেকেই উপজেলাবাসীর কাছে মানবিক ও জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে সুনাম অর্জন করেছেন।
এ থানায় যোগদানের পর সৃজনশীল ও যুগোপযোগী পরিকল্পনার ফলে থানা পুলিশ হয়ে উঠেছে এ উপজেলার মানুষের আস্থার ঠিকানা।
ওসি যোগদান করেন ৪ই জুলাই ২০২৩ ইং। যোগদানের পর থেকেই লালমনিরহাট সদর থানাকে মডেল করতে ও নিজের সৃজনশীল কর্মদক্ষতায় চেষ্টা করে যাচ্ছেন মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং, জঙ্গিবাদ, বালাবিয়েমুক্ত একটি থানা গড়তে।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত আফিসার ইনচার্জ (ওসি)ওমর ফারুক, জানান,আমি এ থানায় যোগদানের পর থেকেই লালমনিরহাট জেলা পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশে থানার অফিসার,ফোর্সদের সহযোগিতায় মাদক, জঙ্গীবাদ,সন্ত্রাস,ইভটিজিং জুয়া ও বাল্য বিবাহ সহসামাজিক অবক্ষয় রোধে কাজ করে যাচ্ছি।
আমার উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছি কিন্তু মাদক ও জুয়া আমাদের সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে মাদক সুস্থ্য সমাজ বিনির্মানে বড় অন্তরায়। মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে সদর উপজেলাব্যাপী মাদক ও জুযা নির্মূলের চেষ্টা করছি। তারপরও হত্যামামলার আসামিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার, নিয়মিত অভিযানে ইভটিজিং, বাল্যবিয়ে, মারপিট থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের অপরাধ প্রবণতা অনেক কমেছে।
তিনি আরও বলেন,কোন চাওয়া পাওয়ার জন্য নয়, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ভালোলাগার জায়গা থেকে কাজগুলো করেছি। মানবিক ও জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে জনগণের পাশে দাঁড়াতে সর্বদা কাজ করে যাচ্ছি।
কিন্তু এ কার্যক্রমকে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে এগিয়ে আসতে হবে চেয়ারম্যান, মেম্বার ও যুব সমাজ সহ সকল স্থরের জনগন এবং সকলের সহযোগিতা নিয়ে লালমনিরহাট সদর কে মডেল থানা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।