রংপুরের ধাপ এলাকায় অবস্থিত পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাঃ সুকুমার মজুমদারের বিরুদ্ধে রোগীর স্বজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
৪ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টার দিকে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিঃ রংপুর ইউনিট-২ এর ৪০৪ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
ডাঃ সুকুমার মজুদার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ব্রেইন, নার্ভ, স্পাইন ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সহকারী অধ্যাপক, নিউরাে মেডিসিন বিভাগে কর্মরত আছেন।
রোগীর স্বজনরা জানান, স্ট্রোকের সমস্যা নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সযোগে সাবেদুল ইসলাম নামের এক রোগীকে ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিঃ রংপুর ইউনিট-২ এ নিয়ে আসেন ভাগনে রাজু ইসলাম।
রোগীর স্বজন সালমা বেগম অভিযোগ করেন, গত ২/৩ দিন ধরে পপুলার ডায়াগনস্টিক এর হটলাইনে একাধিক বার কল দিলেও রিসিভ করা হয়নি।
রোগীর অবস্থা খারাপ হওয়ায় আমরা এ্যাম্বুলেন্স যোগে নিয়ে আসি এখানে। পরবর্তীতে চেম্বারে থাকা ডক্টরের সহযোগি বলে সিরিয়াল ছাড়া কোনক্রমে রোগী দেখা যাবে না বা ডক্টরের নিকট সাক্ষাৎ করাও যাবে না।
অন্যদিকে সালমা বেগম জানান,গতদিন ডক্টর দেখাতে এসে ডক্টর ভিজিট ৮০০ টাকা ও সিরিয়াল বাবদ অবৈধ ১০০০ টাকা নিয়ে ডক্টর দেখাতে দেন। আজ রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায় তারা কোনভাবেই রোগীকে দেখবেন না এবং আমাকেও ডক্টরের নিকট সাক্ষাৎ করতে দিবেন না ডক্টরের সহযোগি।
আমি তাদের থেকে জোর করে ডাঃ সুকুমার মজুমদার এর ৬০৪ নম্বর রুমে ঢুকলে ডাঃ সুকুমার মজুমদার আমাকে রুমে অবস্থানরত রোগীও স্বজনদের সামনে আমাকে পেটে লাঠি দেয় ও ধাক্কা মারেন।
একজন চিকিৎসক হয়ে তিনি আমার মতো একজন মেয়ে মানুষের গায়ে হাত তুলেন এবং পেটে লাঠি মারা এটা কখনোই মেনে নেওয়ার মতো না। তিনি আমার রোগীকে না দেখুক তিনি আমাকে বলতে পারতেন কিন্তু তিনি তা না করে উল্টো আমার সমস্যা বা রোগীর সমস্যা কি ভালো মন্দ কোন কিছুই জিজ্ঞেসা না করেই আমার উপর অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। আমি তার উপযুক্ত বিচার চাই। এবিষয়ে ডাঃ সুকুমার মজুমদার সাংবাদিকদের জানান, রোগী সাবেদুল ইসলাম এর স্বজনরা চেম্বারের সামনে ঘন্টাখানিক ধরে ঝামেলা সৃষ্টি করছেন এর রাগের মাথায় রোগী স্বজন সালমা বেগমকে আস্তে করে ধাক্কা দিয়ে সড়িয়ে দিয়েছি কিন্তু পেটে লাঠি মেরেছি কথাটি মিথ্যা। মানুষ মাত্রই ভূল আমার এটি ঠিক হয়নি আমি সবার কাছে আমার ভূল স্বীকার করতেছি।
পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আসা অনান্য রুগিরা জানান, প্রতিষ্ঠানের হটলাইনে একেক অধিকবার কল দিয়ে ও সিরিয়াল দিতে পাচ্ছি না, কেউ কেউ ৩/৪ ধরে এসে রোগী দেখাতে না পেরে ঘুরে যাচ্ছেন।
অপরদিকে টাকা নিয়ে সিরিয়াল নিচ্ছেন। যেখানে ডক্টর এর ভিজিট বা ফি হলো ৮০০ তাদের সিরিয়ালের জন্যই আলাদা দিতে হয় ১০০০ টাকা,সবখানেই দূর্নীতি।
এসব দেখার মতো কেউ নাই রোগী ও রোগীর লোকজন তাদের কাছে জিম্মি আমরা প্রশাসন ও কতৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করছি।