শেরপুরের গারো পাহাড়ী এলাকার রাজার পাহাড়ে ঘুরতে আসা সংখ্যালঘু পরিবারের কন্যা এক স্কুল ছাত্রীকে কতিপয় দূবৃত্তরা অপহরণ করে মূক্তিপণ আদায় করার পরও ছেড়ে দেয়নি।
এ অভিযোগে শ্রীবরদীর ওই দূর্বৃত্ত অপহৃত পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিল।
এ অবস্থায় বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন শেরপুর জেলা শাখার দৃষ্টিতে আসলে, কমিশনের জেলা কমিটির নির্বাহী সভাপতি ও লিগ্যাল এইড কমিটির সমন্বয়কারী এডভোকেট আলমগীর কিবরিয়া কামরুল অপহৃতার বড়ভাইকে বাদী করে শেরপুর জেলা নারী ও শিশু নির্যাতণ দমন ট্রাইবুনালে ৪জনের নাম উল্লেখ করে আরো ২জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
আদালত জেলা গোয়েন্দা (ডিভি) পুলিশকে দ্রুত ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামীদের গ্রেফতার করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন।
অভিযুক্ত আসামীরা হচ্ছে শ্রীবরদী উপজেলার শাহ জামালের ছেলে জসিম উদ্দিন ও জজ মিয়া, শাহজামাল ও তার স্ত্রী জহুরা বেগমসহ আরো ২/৩জন।
আদালত সূত্রে জানাযায়, ভিকটিমসহ সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যরা ঢাকার উত্তরখান থানার কাচকুরা থেকে গত ৩ মার্চ শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার রাজার পাহাড়ে ঘুরতে আসে।
এসময় শ্রীবরদী উপজেলার জসিম উদ্দিন ও জজ মিয়াসহ ৪/৫জন পথ দেখানোর কথা বলে তাদের পিছু নেয়। এক পর্যায়ে তাদের স্কুল পড়ুয়া ১৪ বছর বয়সী কন্যাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে জসিম উদ্দিনদের বালিয়াচন্ডির বাড়ীতে খুঁজতে খুঁজতে গেলে মেয়ে বের করে দেয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে। এর পরেও তারা অপহৃত মেয়েটিকে ছেড়ে দেয়নি।
উপরন্ত অপহৃতার আত্মীয়স্বজনদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। বিয়টি বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন শেরপুর জেলা শাখার নির্বাহী সভাপতি ও লিগ্যাল এইড কমিটির সমন্বয়কারী এডভোকেট আলমগীর কিবরিয়া কামরুলের দৃষ্টিতে আসে। পরে কমিশনের কাছে জানালে ১১ মার্চ রাতে কমিশনের এক জরুরী সভায় এ বিষয়ে আদালতে মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে আজ ১২ মার্চ আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
এ ব্যাপারে এডভোকেট আলমগীর কিবরিয়া কামরুল বলেন, আমি আমাদের কমিশনের পক্ষ থেকে এ অসহায় পরিবারটিকে আইনি সহায়তা দিয়ে যাবো।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি মো: মেরাজ উদ্দিন এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং দ্রুত ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য দাবী জানান। আশা করা হচ্ছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ দক্ষতার সাথে এ অপহৃতাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হবেন।