ঢাকা ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটিকে বরণে বিশল আনন্দ মিছিল  আমি উত্তরবঙ্গে এসেছি আপনাদের কথা শোনার জন্য, পরে যা বললেন : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে বর্ডার গার্ড বিজিবির হাতে ১০ বোতল মদ জব্দ ছোটদের বড় নির্বাচন গোয়ালন্দে আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত পদ্মা- যমুনার বাল্কহেডে চাঁদা বাজি, আটক ৫ দেবহাটায় চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ যেনো ব্যাবসায়ীদের নেশায় পরিনত হয়েছে বালিয়াকান্দিতে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত দেবহাটায় মাছের পাশাপাশি ভেঁড়িতে অসময়ে তরমুজ চাষে স্বাবলম্বী গোলাম রব্বানী তথ্যমেলায় মুজিববর্ষের লিফলেট ও শেখ হাসিনার বাণী প্রচার:

রাজার পাহাড়ে ঘুরতে আসা এক সংখ্যালঘু পর্যটককে অপহরণ 

শেখ সাঈদ আহম্মেদ সাবাব-শেরপুর:
  • আপডেট সময় : ০৬:২৫:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩ ৭৫ বার পঠিত

 

শেরপুরের গারো পাহাড়ী এলাকার রাজার পাহাড়ে ঘুরতে আসা সংখ্যালঘু পরিবারের কন্যা এক স্কুল ছাত্রীকে কতিপয় দূবৃত্তরা অপহরণ করে মূক্তিপণ আদায় করার পরও ছেড়ে দেয়নি।

এ অভিযোগে শ্রীবরদীর ওই দূর্বৃত্ত অপহৃত পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিল।

এ অবস্থায় বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন শেরপুর জেলা শাখার দৃষ্টিতে আসলে, কমিশনের জেলা কমিটির নির্বাহী সভাপতি ও লিগ্যাল এইড কমিটির সমন্বয়কারী এডভোকেট আলমগীর কিবরিয়া কামরুল অপহৃতার বড়ভাইকে বাদী করে শেরপুর জেলা নারী ও শিশু নির্যাতণ দমন ট্রাইবুনালে ৪জনের নাম উল্লেখ করে আরো ২জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করেন।

আদালত জেলা গোয়েন্দা (ডিভি) পুলিশকে দ্রুত ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামীদের গ্রেফতার করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন।

অভিযুক্ত আসামীরা হচ্ছে শ্রীবরদী উপজেলার শাহ জামালের ছেলে জসিম উদ্দিন ও জজ মিয়া, শাহজামাল ও তার স্ত্রী জহুরা বেগমসহ আরো ২/৩জন।
আদালত সূত্রে জানাযায়, ভিকটিমসহ সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যরা ঢাকার উত্তরখান থানার কাচকুরা থেকে গত ৩ মার্চ শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার রাজার পাহাড়ে ঘুরতে আসে।

এসময় শ্রীবরদী উপজেলার জসিম উদ্দিন ও জজ মিয়াসহ ৪/৫জন পথ দেখানোর কথা বলে তাদের পিছু নেয়। এক পর্যায়ে তাদের স্কুল পড়ুয়া ১৪ বছর বয়সী কন্যাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে জসিম উদ্দিনদের বালিয়াচন্ডির বাড়ীতে খুঁজতে খুঁজতে গেলে মেয়ে বের করে দেয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে। এর পরেও তারা অপহৃত মেয়েটিকে ছেড়ে দেয়নি।

উপরন্ত অপহৃতার আত্মীয়স্বজনদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। বিয়টি বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন শেরপুর জেলা শাখার নির্বাহী সভাপতি ও লিগ্যাল এইড কমিটির সমন্বয়কারী এডভোকেট আলমগীর কিবরিয়া কামরুলের দৃষ্টিতে আসে। পরে কমিশনের কাছে জানালে ১১ মার্চ রাতে কমিশনের এক জরুরী সভায় এ বিষয়ে আদালতে মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে আজ ১২ মার্চ আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।

এ ব্যাপারে এডভোকেট আলমগীর কিবরিয়া কামরুল বলেন, আমি আমাদের কমিশনের পক্ষ থেকে এ অসহায় পরিবারটিকে আইনি সহায়তা দিয়ে যাবো।

বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি মো: মেরাজ উদ্দিন এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং দ্রুত ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য দাবী জানান। আশা করা হচ্ছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ দক্ষতার সাথে এ অপহৃতাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হবেন।

 

ট্যাগস :

রাজার পাহাড়ে ঘুরতে আসা এক সংখ্যালঘু পর্যটককে অপহরণ 

আপডেট সময় : ০৬:২৫:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩

 

শেরপুরের গারো পাহাড়ী এলাকার রাজার পাহাড়ে ঘুরতে আসা সংখ্যালঘু পরিবারের কন্যা এক স্কুল ছাত্রীকে কতিপয় দূবৃত্তরা অপহরণ করে মূক্তিপণ আদায় করার পরও ছেড়ে দেয়নি।

এ অভিযোগে শ্রীবরদীর ওই দূর্বৃত্ত অপহৃত পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিল।

এ অবস্থায় বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন শেরপুর জেলা শাখার দৃষ্টিতে আসলে, কমিশনের জেলা কমিটির নির্বাহী সভাপতি ও লিগ্যাল এইড কমিটির সমন্বয়কারী এডভোকেট আলমগীর কিবরিয়া কামরুল অপহৃতার বড়ভাইকে বাদী করে শেরপুর জেলা নারী ও শিশু নির্যাতণ দমন ট্রাইবুনালে ৪জনের নাম উল্লেখ করে আরো ২জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করেন।

আদালত জেলা গোয়েন্দা (ডিভি) পুলিশকে দ্রুত ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামীদের গ্রেফতার করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন।

অভিযুক্ত আসামীরা হচ্ছে শ্রীবরদী উপজেলার শাহ জামালের ছেলে জসিম উদ্দিন ও জজ মিয়া, শাহজামাল ও তার স্ত্রী জহুরা বেগমসহ আরো ২/৩জন।
আদালত সূত্রে জানাযায়, ভিকটিমসহ সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যরা ঢাকার উত্তরখান থানার কাচকুরা থেকে গত ৩ মার্চ শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার রাজার পাহাড়ে ঘুরতে আসে।

এসময় শ্রীবরদী উপজেলার জসিম উদ্দিন ও জজ মিয়াসহ ৪/৫জন পথ দেখানোর কথা বলে তাদের পিছু নেয়। এক পর্যায়ে তাদের স্কুল পড়ুয়া ১৪ বছর বয়সী কন্যাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে জসিম উদ্দিনদের বালিয়াচন্ডির বাড়ীতে খুঁজতে খুঁজতে গেলে মেয়ে বের করে দেয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে। এর পরেও তারা অপহৃত মেয়েটিকে ছেড়ে দেয়নি।

উপরন্ত অপহৃতার আত্মীয়স্বজনদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। বিয়টি বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন শেরপুর জেলা শাখার নির্বাহী সভাপতি ও লিগ্যাল এইড কমিটির সমন্বয়কারী এডভোকেট আলমগীর কিবরিয়া কামরুলের দৃষ্টিতে আসে। পরে কমিশনের কাছে জানালে ১১ মার্চ রাতে কমিশনের এক জরুরী সভায় এ বিষয়ে আদালতে মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে আজ ১২ মার্চ আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।

এ ব্যাপারে এডভোকেট আলমগীর কিবরিয়া কামরুল বলেন, আমি আমাদের কমিশনের পক্ষ থেকে এ অসহায় পরিবারটিকে আইনি সহায়তা দিয়ে যাবো।

বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি মো: মেরাজ উদ্দিন এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং দ্রুত ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য দাবী জানান। আশা করা হচ্ছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ দক্ষতার সাথে এ অপহৃতাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হবেন।