রাজশাহী-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীকে নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে।
আওয়ামী লীগের বিপদগামী একশ্রেণীর নেতার নেপথ্যে মদদে জামায়াত-বিএনপির আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠা একটি সিন্ডিকেট চক্র এই গুজব ছড়ানোয় নেতৃত্ব দিচ্ছে। এবার গুজবের কাহিনী কমিটি গঠন।
সম্প্রতি এমপি ফারুক চৌধুরীকে নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে গোদাগাড়ীতে কমিটি গঠন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ১০ জন আহত। সংঘর্ষের সময় মঞ্চ থেকে নেমে পালিয়ে এক দৌড়ে গোদাগাড়ী পৌর কার্যালয়ে ঢুকে আত্মরক্ষা করেন সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী। অথচ এটা সম্পুর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন,মনগড়া ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত।
কত বড় অর্বাচীন হলে এমন গুজব ছড়ানো যায়।
স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ভাষ্য, রণক্ষেত্র কাকে বলে সেটা জানতে হবে। রণক্ষেত্রে ১০ জন আহত, অথচ হাসপাতালে কেউ চিকিৎসাধীন নাই এটা কি সম্ভব ? আবার যে অনুষ্ঠানের মধ্যমনি সাংসদ সেই অনুষ্ঠান থেকে তিনি যদি পালিয়ে যান, তাহলে কমিটি ঘোষণা হলো কি ভাবে ? প্রকৃত ঘটনা বিশেষ মহলের ইন্ধনে সিন্ডিকেট চক্র নির্বাচনের আগে এমপির বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত খবর প্রকাশ করে আর্থিক সুবিধা নেয়ার অপচেষ্টা করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৩০ জুলাই রোববার গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন বিকেলে আফজি
উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র অয়েজ উদ্দীন বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, উপজেলা চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম এবং আবুল বাসার সুজন প্রমুখ। সম্মেলনের প্রথমার্ধে কমিটির বিলুপ্ত করে প্রথম অধিবেশন শেষ করা হয়।
দ্বিতীয় অধিবেশনে পৌর আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সবার সম্মতিক্রমে রবিউল আলমকে সভাপতি ও নাসিমুল হক নাসিমকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর আগে রবিউল আলম পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
সদ্যনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক নাসিম পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সম্পাদকের দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১২ সালে সর্বশেষ পৌর আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
অপরদিকে একই ভাবে সবার সম্মতিক্রমে ক্রমে পৌর যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জাব্বারকে সভাপতি ও আব্দুল্লাহকে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে ২০১৫ সালে ২৩ ফেব্রুয়ারী পৌর যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।
নবনির্বাচিত পৌর আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতৃত্ববৃন্দকে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অভিনন্দন জানিয়েছেন। এদিকে কমিটি ঘোষণার পর সাংসদ মঞ্চের অতিথিদের নিয়ে পৌর কার্যালয়ে যান।
কিন্ত্ত সাংসদ চলে যাবার যুবলীগের একটি পক্ষ সমাবেশ স্থলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে। যেখানে দেশের গতানুগতিক রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে রাজনৈতিক দলের সম্মেলনে নেতা-কর্মীদের মাঝে কথা কাটাকাটি, চেয়ার ছোড়াছুড়ি,পক্ষ-বিপক্ষে স্লোগান ইত্যাদি এসব সাধারণ ঘটনা। সেখানে তুচ্ছ ঘটনাকে ফুলিয়ে ফাপিয়ে এমপির বিরুদ্ধে প্রোপাাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে।
তবে এবার এসব অপপ্রচারকারিদের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ, তারা এসব আর বিশ্বাস করে না।