ঢাকা ০২:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

রাজবাড়ীর স্বতন্ত্র প্রার্থী মান্নান মুসল্লীর প্রার্থীতা ফিরে পেতে আপিল আবেদন

রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : ১০:০৬:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ৮০ বার পঠিত

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী মো. আ. মান্নান মুসল্লীর মনোনয়ন গত ৪ ডিসেম্বর দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন না পাওয়ার শর্তে বাতিল করে রাজবাড়ী জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান।

রাজবাড়ীর স্বতন্ত্র প্রার্থী মান্নান মুসল্লীর প্রার্থীতা ফিরে পেতে তিনি গতকাল বুধবার নির্বাচন কমিশনে আপিল আবেদন করেছেন।
এসময় তিনি ঢাকায় তার প্রার্থীতা ন্যায় সঙ্গত ভাবে বাতিল না করে অন্যায় ভাবে বাতিল করা হয়েছে বলে জানান গনমাধ্যম গুলোতে।
এ বিষয়ে তিনি ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনও করেছেন।যে ভোটারদের ক্রমিক নং ও ভোটার নম্বর ব্যবহার করে রিটার্নিও অফিসারের পক্ষে যে কর্মকর্তারা ভোটারদোর বাড়িতে না গিয়ে তথ্য যাচাই না করে ভুল তথ্য দিয়ে মনোনয়ন বাতিল করেছে তাদের তালিকা চেয়েছেন মনোনয়ন পত্র বাতিল হওয়া প্রার্থী আ. মান্নান মুসল্লী। তালিকা না পেয়ে প্রার্থী তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেছেন। আবেদনের পরও তালিকা না পেলে তিনি পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করবেন বলে জানান।

গত ৪ ডিসেম্বর মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাইয়ের শেষ দিনে গনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (পিও নং ১৫৫/১৯৭২ অনুচ্ছেদ এর ১২(৩ ক) ( ক) এর শর্তানুসারে মনোনয়ন পত্রের সাথে এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষরযুক্ত তালিকায় রাজবাড়ী ১ ও ২ আসনের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সহ ১৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিলের পর হেভিওয়েট স্বতন্ত্র ৫ জন সহ ৭ জনের মনোনয়ন পত্র গড়মিলের কারনে বাদ করে দেয় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান। স্বতন্ত্র এ তালিকায় মো. আ. মান্নান মুসল্লীর মনোনয়ন পত্রটিও তথ্যে গড়মিল ও প্রার্থীর প্রার্থীতার পক্ষে এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন সূচক তালিকায় সমর্থকদের স্বাক্ষর ও টিপসই থাকা সত্বেও তা স্বাক্ষর ও টিপসই দেওয়া হয়নি বলে তা দৈবচয়নের ভিত্তিতে বাতিল বলে গন্য করে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী মো.আ.মান্নান মুসল্লীর মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে, প্রার্থী স্বয়ং সে এক শতাংশ ভোটারদের হাজির করে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।

এসময় তিনি অভিযোগ করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা যে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর ও টিপসই পাওয়া যায়নি বলে বাতিল করেছেন, কিন্তু এর মধ্যে তিন জনের বাড়িতে গিয়ে তথ্য আনতে গেলেও বাকী আরো ৫/৬ জনের বাড়িতে যাননি বলে অভিযোগ করেন।

যে তিন জনের বাড়িতে তথ্য আনতে যান তাদের সমর্থন, স্বাক্ষর ও টিপসই তারা মান্নান মুসল্লীর পক্ষে করেছেন বলে সাংবাদিকদের বক্তব্য দেন।বাকী আরো ৫/৬ জনের বাড়িতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কোন সদস্য মান্নান মুসল্লীর পক্ষে ভোটারদের সমর্থন সূচক স্বাক্ষর বা টিপসই দেওয়া হয়েছে কিনা তা যাচাই বাছাই করতে যায়নি কেউ।
জেলা রিটার্নিং অফিসারের স্বাক্ষরযুক্ত যাদের নাম উল্লেখ করে মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে তাদের ভোটার তালিকায় থাকা ক্রমিক নম্বর ও ভোটার নম্বরে নেই কোন মিল। এর মধ্যে বণ্যা রানী শীলের ভোটার তালিকায় ভোটার নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে।এর মধ্যে ফরিদা পারভিন, ফরহাদ শেখ, নাসিমা বেগম জানান, মান্নান মুসল্লীর মনোনয়ন সমর্থনের পক্ষে স্বাক্ষর বা টিপসই দিলেও তা যাচাই করতে আমাদের বাড়িতে কেউ যাননি এবং আমাদের ফোন করেও কেউ কোন কিছু জানতে চাননি।আরো তিন জনের বাড়িতে গেলেও তাদের আ. মান্নান মুসল্লীর পক্ষে সমর্থন ও স্বাক্ষর করা হলেও তাদের ভোটার ক্রমক নম্বর ও ভোটার নম্বর ভুল ব্যবহার করা হয়েছে।

এমন করে ৫/৬ জনের যে নাম,ভোটার ক্রমিক নং ও ভোটার নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে জেলা রিটার্নিং অফিসারের স্বাক্ষরিত মনোনয়ন পত্র বাতিলের তালিকায় গড়মিল দেখানো হয়। এভাবে প্রার্থীর সমর্থকের বাড়িতে না গীয়ে মতামত যাচাই না করে কিভাবে আমার মনোনয়ন অবৈধ ও বাতিল বলে গন্য করা হল তা আমার বোধগম্য হয়নি বলে জানান স্বতন্ত্র প্রার্থী মো.আ.মান্নান মুসল্লী।

তিনি আরো জানান,জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক তাকে যেভাবে মনোনয়ন বাতিল করেছে তা বিধি বহির্ভূতভাবে একটি পক্ষকে সমর্থন করে বাতিল করেছে।
এ বিষয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনে আপিল আবেদন করেন,আগামী ১০ ডিসেম্বর আপিলের শুনানী হবে এবং তার প্রার্থীতা ফিরে পাবেন বলে তিনি জানান। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে আমরা যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছি।কিন্তু আমাদের নিয়মের মধ্যে বাতিল না করে ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে বাতিল করা হয়েছে।তাই আমরা চাই আমাদের প্রার্থীতা ফিরিয়ে দিয়ে আমাদের নির্বাচনে অংশ গ্রহন করার সুযোগ করে দেওয়ার।আর আমরা নির্বাচন না করতে পারলে এ নির্বাচন বৈধ হবেনা ও নির্বাচনী মাঠে শক্ত প্রার্থী না থাকলে সাধারন ভোটাররা ভোট দিতে ভোট কেন্দ্রে যাবেনা। এতে নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য হবেনা বলে মনে করেন।

রাজবাড়ীর স্বতন্ত্র প্রার্থী মান্নান মুসল্লীর প্রার্থীতা ফিরে পেতে আপিল আবেদন

আপডেট সময় : ১০:০৬:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী মো. আ. মান্নান মুসল্লীর মনোনয়ন গত ৪ ডিসেম্বর দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন না পাওয়ার শর্তে বাতিল করে রাজবাড়ী জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান।

রাজবাড়ীর স্বতন্ত্র প্রার্থী মান্নান মুসল্লীর প্রার্থীতা ফিরে পেতে তিনি গতকাল বুধবার নির্বাচন কমিশনে আপিল আবেদন করেছেন।
এসময় তিনি ঢাকায় তার প্রার্থীতা ন্যায় সঙ্গত ভাবে বাতিল না করে অন্যায় ভাবে বাতিল করা হয়েছে বলে জানান গনমাধ্যম গুলোতে।
এ বিষয়ে তিনি ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনও করেছেন।যে ভোটারদের ক্রমিক নং ও ভোটার নম্বর ব্যবহার করে রিটার্নিও অফিসারের পক্ষে যে কর্মকর্তারা ভোটারদোর বাড়িতে না গিয়ে তথ্য যাচাই না করে ভুল তথ্য দিয়ে মনোনয়ন বাতিল করেছে তাদের তালিকা চেয়েছেন মনোনয়ন পত্র বাতিল হওয়া প্রার্থী আ. মান্নান মুসল্লী। তালিকা না পেয়ে প্রার্থী তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেছেন। আবেদনের পরও তালিকা না পেলে তিনি পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করবেন বলে জানান।

গত ৪ ডিসেম্বর মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাইয়ের শেষ দিনে গনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (পিও নং ১৫৫/১৯৭২ অনুচ্ছেদ এর ১২(৩ ক) ( ক) এর শর্তানুসারে মনোনয়ন পত্রের সাথে এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষরযুক্ত তালিকায় রাজবাড়ী ১ ও ২ আসনের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সহ ১৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিলের পর হেভিওয়েট স্বতন্ত্র ৫ জন সহ ৭ জনের মনোনয়ন পত্র গড়মিলের কারনে বাদ করে দেয় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান। স্বতন্ত্র এ তালিকায় মো. আ. মান্নান মুসল্লীর মনোনয়ন পত্রটিও তথ্যে গড়মিল ও প্রার্থীর প্রার্থীতার পক্ষে এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন সূচক তালিকায় সমর্থকদের স্বাক্ষর ও টিপসই থাকা সত্বেও তা স্বাক্ষর ও টিপসই দেওয়া হয়নি বলে তা দৈবচয়নের ভিত্তিতে বাতিল বলে গন্য করে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী মো.আ.মান্নান মুসল্লীর মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে, প্রার্থী স্বয়ং সে এক শতাংশ ভোটারদের হাজির করে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।

এসময় তিনি অভিযোগ করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা যে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর ও টিপসই পাওয়া যায়নি বলে বাতিল করেছেন, কিন্তু এর মধ্যে তিন জনের বাড়িতে গিয়ে তথ্য আনতে গেলেও বাকী আরো ৫/৬ জনের বাড়িতে যাননি বলে অভিযোগ করেন।

যে তিন জনের বাড়িতে তথ্য আনতে যান তাদের সমর্থন, স্বাক্ষর ও টিপসই তারা মান্নান মুসল্লীর পক্ষে করেছেন বলে সাংবাদিকদের বক্তব্য দেন।বাকী আরো ৫/৬ জনের বাড়িতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কোন সদস্য মান্নান মুসল্লীর পক্ষে ভোটারদের সমর্থন সূচক স্বাক্ষর বা টিপসই দেওয়া হয়েছে কিনা তা যাচাই বাছাই করতে যায়নি কেউ।
জেলা রিটার্নিং অফিসারের স্বাক্ষরযুক্ত যাদের নাম উল্লেখ করে মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে তাদের ভোটার তালিকায় থাকা ক্রমিক নম্বর ও ভোটার নম্বরে নেই কোন মিল। এর মধ্যে বণ্যা রানী শীলের ভোটার তালিকায় ভোটার নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে।এর মধ্যে ফরিদা পারভিন, ফরহাদ শেখ, নাসিমা বেগম জানান, মান্নান মুসল্লীর মনোনয়ন সমর্থনের পক্ষে স্বাক্ষর বা টিপসই দিলেও তা যাচাই করতে আমাদের বাড়িতে কেউ যাননি এবং আমাদের ফোন করেও কেউ কোন কিছু জানতে চাননি।আরো তিন জনের বাড়িতে গেলেও তাদের আ. মান্নান মুসল্লীর পক্ষে সমর্থন ও স্বাক্ষর করা হলেও তাদের ভোটার ক্রমক নম্বর ও ভোটার নম্বর ভুল ব্যবহার করা হয়েছে।

এমন করে ৫/৬ জনের যে নাম,ভোটার ক্রমিক নং ও ভোটার নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে জেলা রিটার্নিং অফিসারের স্বাক্ষরিত মনোনয়ন পত্র বাতিলের তালিকায় গড়মিল দেখানো হয়। এভাবে প্রার্থীর সমর্থকের বাড়িতে না গীয়ে মতামত যাচাই না করে কিভাবে আমার মনোনয়ন অবৈধ ও বাতিল বলে গন্য করা হল তা আমার বোধগম্য হয়নি বলে জানান স্বতন্ত্র প্রার্থী মো.আ.মান্নান মুসল্লী।

তিনি আরো জানান,জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক তাকে যেভাবে মনোনয়ন বাতিল করেছে তা বিধি বহির্ভূতভাবে একটি পক্ষকে সমর্থন করে বাতিল করেছে।
এ বিষয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনে আপিল আবেদন করেন,আগামী ১০ ডিসেম্বর আপিলের শুনানী হবে এবং তার প্রার্থীতা ফিরে পাবেন বলে তিনি জানান। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে আমরা যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছি।কিন্তু আমাদের নিয়মের মধ্যে বাতিল না করে ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে বাতিল করা হয়েছে।তাই আমরা চাই আমাদের প্রার্থীতা ফিরিয়ে দিয়ে আমাদের নির্বাচনে অংশ গ্রহন করার সুযোগ করে দেওয়ার।আর আমরা নির্বাচন না করতে পারলে এ নির্বাচন বৈধ হবেনা ও নির্বাচনী মাঠে শক্ত প্রার্থী না থাকলে সাধারন ভোটাররা ভোট দিতে ভোট কেন্দ্রে যাবেনা। এতে নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য হবেনা বলে মনে করেন।