রাজবাড়ীর পাট্টা ইউনিয়নে পুলিশী হয়রানি বন্ধ ও মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে মানববন্ধন
- আপডেট সময় : ০৬:৪৪:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ৯০ বার পঠিত
রাজবাড়ীর পাট্টা ইউনিয়নের পাট্টা বিলপাড়া গ্রামে গভীর রাতে অস্ত্র ও আসামী ধরার নামে জসাধরন পুলিশী হয়রানি ও মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসি।
শনিবার দুপুর পাট্টা ইউনিয়ন বাসিদের আয়োজনে ঘন্টা ব্যাপি এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে এলাকাবাসি।
গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে মারপিট মামলার আসামী পাট্টা বিলপাড়া গ্রামের মো.সজিব শেখ’কে গ্রেপ্তার করতে আসলে সজিব শেখ দৌড়িয়ে পালিয়ে যায়।কিন্তু সজিব পালিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে কোন অপ্রিতিকর ঘটনা বা কোন গুলি করার ঘটনা ঘটেনাই।
এ এলাকার একটি মহল পরিবেশ অশান্ত করতে পুলিশকে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে সাধারন মানুষকে হেনস্তা করছে।এখানকার প্রতিটি মানুষের ঘরে গভির রাতে এসে শীতের মধ্যে সবাইকে ঘর থেকে তুলে তল্লাশী করে কিছু না পেয়ে তাদের ভোগান্তিতে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। পুলিশের এসব হয়রানি থেকে মুক্ত করত তাদের প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।তবে পুলিশ যদি প্রকৃত আসামী ধরতে আসে এলাকাবাসির পক্ষ থেকে তাদের সহযোগীতা করা হবে বলে জানান তারা।
স্থানীয় পাট্টা বিলপাড়া গ্রামের মো. হাফিজ বলেন,এখানে গত বৃহস্পতিবার আসামী ধরতে আসে। সে সময় আসামী পালিয়ে যায়।কিন্তু আমরা এখানে কোন গুলির আওয়াজ আমরা পাইনাই। অথচ পুলিশ আসামী ধরার নাম করে গভীর রাতে এলাকাবাসিদের ঘরে ঘরে তল্লাশী চালিয়ে আমাদের হেনস্তা করা হচ্ছে।
আমরা চাই পুলিশ আসামী দরুক কিন্তু আসামী দরতে এসে আমাূের মত নিরীহ মানুষদের ভোগান্তিতে ফেলছে এটা আমরা চাইনা।
একই এলাকার মো.আনেয়ার বলেন,প্রতিদিন এভাবে নাযেহাল যেন পুলিশ না করে,আমরা পুলিশের এমন আচরন থেকে মুক্তি চাই।পুলিশ তাদের কাজ করবে, আৃরা আমাদের মত শান্তিতে থাকতে চাই।সারাদিন কৃষি কাজ করে রাতে ঘুমাতে পারিনা।একই গ্রামের তাছলিমা বেগম বলেন,তার স্বামী মাঠে কৃষি কাজ করে।সারাদিন কাজ করে রাতে ঠিকমত ঘুমাতে পারেনা।
রাতে পুলিশ এসে ঘর খুলে সব কিছু তল্লাশী করে।তাদেরনকিছু বলাও যায়না,কিছু বল্লে ধমক দেয় বকাবাজি করে। আমরা তাদের এমন হেনস্তা থেকে মুক্তি চাই। আব্বাস নামে আরেক ভুক্তভোগীও চান তাদের যেন আর এমন ভাবে সমস্যা না করে। তার মত একই এলাকার আরো নারী পুরুষ তাদের অসহায়ত্বের কথা বলেন।
পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.সালাউদ্দিন বলেন,যৌথ বাহিনী সেনাবাহিনী পুলিশ সন্ত্রাসী ধরতে গীয়ে যদি এলাকাবাসি বলে আমরা জনগনকে হেনস্তা করছি সেটা ভিত্তিহীন।আমরা জনগনের জন্য তাদের নিরাপত্তা বিধানে কাজ করছি।একজন সন্ত্রসীকে ধরতে জনগন আমাদের সকযোগীতা করবে এটা আশা করি।
কিন্তু একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাদেরকে সন্ত্রসীদের পক্ষে দ্বাড় করিয়েছে।আমরা অহেতুক কাউকে হেনস্তা করছিনা।