ঢাকা ১২:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

রাজবাড়ীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার নামে প্রতারনা করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ- আনোয়ার’র বিরুদ্ধে

ইমরান হোসেন মনিম -রাজবাড়ী:
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৫:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৪ ৬৩৯ বার পঠিত

রাজবাড়ী জেলার সদর উপজেলার খানখানাপুর ইউনিয়নের ডিগ্রীচর সামের মোড় বাজারের পাশে এতিমখানার সাইনবোর্ড লাগিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে হযরত মাতেমা ( রাঃ) মহিলা মাদ্রাসা ও এতিমখানার নামে মাদ্রাসা।

এই মাদ্রসার জায়গাটুকু ওয়াকফ সম্পূর্ণ করা ও মাদ্রাসায় বেশ কিছু শিশুকে এতিম সাজিয়ে তাদের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের কাছ থেকে প্রতারনা করে মোটা অংকের অর্থ আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার পরিচলক আনোয়ার হোসেনের নামে ।

গত ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের ২১ তারিখে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এমন একটি লিখিত অভিযোগ করেন স্থানীয় মো. বারেক সেখ ও আব্দুল মজিদ শেখ।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয় মাদ্রাসার পরিচালক আনোয়ার হোসেন ধর্মীয় আবেগকে পূজিকরে প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে দেশ ও প্রবাসে অবস্থানরত বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ” খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে ২৫ জন এতিম বোনের” প্রকাশিত শিরোনামে নেওয়া অর্থ আত্মসাত ও হিসাবে নয়ছয় করে জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জন ও নারী ঘটিত অনৈতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে অত্র এলাকার শান্তির্পর্ণ পরিবেশ নষ্টের অভিযোগ করা হয় প্রশাসনের উর্দ্ধতন দপ্তর গুলোতে।
তবে অভিযোগ দায়েরের পর প্রতারক আনোয়ার’কে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডাকা হলেও এখনো তার বিরুদ্ধে কোন শক্ত পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
ইতমধ্যে আনেয়ার হোসেন দেশ বিদেশ থেকে প্রতারনা করে মোটা অংকের অর্থ দিয়ে তার নিজ জমিতে ৩ তলা ফাউন্ডেন করে বাড়ি তৈরী করছেন।
যে জমিটি ওয়াকফ করা হয়েছে বলে বিভিন্ন মানুষের কাছ অর্থ নেওয়া হয়, সেই জমি ওয়াকফ না করে সমুদয় মোটা অংকের অর্থ দিয়ে তার বাড়ি নির্মানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

অর্থ পেয়ে তার বিরুদ্ধে নতুন মোটর সাইকেল ক্রয়,স্ত্রীকে গহনা তৈরী করে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
যার ফেসবুক আইডি থেকে ” খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে ২৫ জন এতিম বোনের” এই শিরোনামের আইডির বাহক আশিকুর রহমানের পেজ থেকে আপলোড করার পর দেশ বিদেশ থেকে বিকাশ ও ব্যাংক একাউন্টে মোটা অংকের অর্থ আসে মাদ্রাসার পরিচাক আনোয়ারের কাছে।

উত্তোলিত কি পরিমান অর্থ আনোয়ার হোসেন পেয়েছে আশিকুর রহমান জানতে চাইলে বার বার যোগাযোগ করা হলেও তা তিনি কর্ণপাত করেননি। এমতাবস্থায় আশিক সামেন মোড়ে আনোয়ারের কাছে অর্থ পাওয়ার খবর জানতে চাইলে আশিকের উপর আনোয়ার সহ তার পরিবার ক্ষিপ্ত হয়।তাকে লাঞ্চিত করে। পরে আশিকের সাথে বাকবিতন্ডা হলে সেখানে এলাকাবাসি জমায়েত হয়।

এলাকাবাসি ও অভিযোগকারীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হযরত মাতেমা ( রাঃ) মহিলা মাদ্রাসা ও এতিমখানার নামে গত ২৫/০৯/২৩ থেকে ১১ /০১/২৪ তারিখ পর্যন্ত মাদ্রাসা পরিচালক আনোয়ার হোসেনের খানখানাপুর জনতা ব্যাংকে নিজ নামীয় একাউন্ট ও আল আরাফা ব্যাংক একাউন্ট ও বিকাশ নম্বরে মোট
২৯,৭৬,২২৫ টাকা । এর মধ্যে জনতা ব্যাংক একাউন্ট নম্বর (০১০০২৪৮৯৬৭৭০১) ১৭,১১,৪৬৫ টাকা জমা হয়। আর আলআরাফা ব্যাংকে ৫,২২,৫০০ টাকা জমা হয়। বিকাশ নম্বরে ১৩/১০/২৩ থেকে ১১/১/২৪ তারিখ পর্যন্ত ০১৭২০ ৯৬ ১২ ৫২ এই বিকাশ নম্বরে ৪,৭২,০০০ টাকা লেনদেন হয়। সহ এ নম্বরে ৫/৮/২৩ থেকে ১৩/১০/২৩ তারিখ পর্যন্ত ১০ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছে। ০১৩২৭ ৮৪৪৫১৯ বিকাশ নম্বরেও ২,৭২,৪৬০ টাকা লেনদেন হয়।

এছাড়াও হুন্ডিতেও মোটা অংকের টাকা আসার খবর পাওয়া যায়।এসব অর্থ তিনি মাদ্রাসা ও শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে খরচ না করে আত্মসাত করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে নানা সময়ে নারী ঘটিত বিষয়ের তথ্যও পাওয়া গেছে।প্রকৃত পক্ষে তিনি একজন ভন্ড,প্রতারক ও ধর্মীয় লেবাস ধারী লম্পট বলে জানান এলাকাবাসি।

সামের মোড় এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা সিদ্দিক মোল্লা বলেন,আনোয়ার হোসেন নিজ বাড়িতে ওয়াকফ করা মাদ্রাসার নামে বাড়ি তৈরী করছেন। সে ভন্ডামি করে টাকা পয়সা আত্মসাত করছেন।সে যদি জমি ওয়াকফ করে মাদ্রাসা করে তাহলে আমিও ১০ হাজার টাকা দিব। ইসলামের নামে কোন ভন্ডামি চলবেনা।

অভিযোগকারী আব্দুল মজিদ সেখ বলেন, আনোয়ার হেসেনের মাদ্রসায় কোন এতিম থাকে না। যারা এখানে থাকে তাদের পরিবার এখানে টাকা দিয়ে পড়ায়।এখানে স্থানীয়দের নিয়ে কোন কমিটিও করা হয়নি। আশিকুর রহমানের ফেসবুকের ভিডিও দেখে দেশ বিদেশ থেকে মানুষ মোটা অংকের প্রচুর টাকা দিয়েছে।সেই টাকা আনোয়ার আত্মসাত করেছে।
এলাকায় এমন দূর্নীতির মাধ্যমে মাদ্রসার নামে অর্থ আত্মসাত কারী আনোয়ারের বিচারের দাবী জানাই।তার বিচারের দাবীতে আমি বাদী হয়ে পুলিশ প্রশাসন,জেলা প্রশাসন ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছি।

ফেসবুক পেজে মাদ্রাসার ভিডিও আপলোড করা আশিকুর রহমান বলেন,প্রথম ভিডিওটি মাদ্রাসার পরিচালক আনোয়ার হোসেনের অনুরোধে ফেসবুক পেজে ছাড়ি।আস্তে আস্তে ভিডিওটি ভিউ হতে হতে ২৫ লক্ষ ভিউ হয়।এতে আনোয়ারে কাছে কয়েক লক্ষ টাকা আসে।কি পরিমান টাকা পেয়েছেন পরে এর উপর আরো একটি ভিডিও দেওয়ার কথা থাকলেও আনোয়ার ভিডিও দিতে গড়িমসি করে।আনেয়ার বলে আপনার ভিডিওর কারনে আমি টাকা পায়নি।ভিডিও দেখে কেউ টাকা দেয়না।

এসময় আশিকুর রহমান এলাকাবাসির বক্তব্য নিতে গেলে তার ভাই আশিকের সাথে দূর্ব্যবহার করে ক্যামেরার মাইক্রোফোন কেড়ে নেয়।বাড়ির মহিলা সহ অন্যান্য সদস্যরা এসে তাকে লাঞ্চিত করে বলে জানায়।

এতিম খানার নামে দেশ বিদেশ থেকে অর্থ পাওয়া ও তা আত্মসাত করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এগুলো মিথ্যা।এলাকার কিছু মানুষ আমার ও আমার এই প্রতিষ্ঠানের পিছনে লেগেছে।তারা আমার ভালো চায়না।আমি কোন টাকা পয়সা পাইনি।আমার কোন টাকা নেই।

রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোভন রাংসা জানান,তদন্তের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে অবগত করেছে।আমি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি।এর তদন্তের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে।তিনি অনিয়মের বিষয়টি দেখে অবগত করলে সত্যতার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।

রাজবাড়ীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার নামে প্রতারনা করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ- আনোয়ার’র বিরুদ্ধে

আপডেট সময় : ০৯:৫৫:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৪

রাজবাড়ী জেলার সদর উপজেলার খানখানাপুর ইউনিয়নের ডিগ্রীচর সামের মোড় বাজারের পাশে এতিমখানার সাইনবোর্ড লাগিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে হযরত মাতেমা ( রাঃ) মহিলা মাদ্রাসা ও এতিমখানার নামে মাদ্রাসা।

এই মাদ্রসার জায়গাটুকু ওয়াকফ সম্পূর্ণ করা ও মাদ্রাসায় বেশ কিছু শিশুকে এতিম সাজিয়ে তাদের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের কাছ থেকে প্রতারনা করে মোটা অংকের অর্থ আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার পরিচলক আনোয়ার হোসেনের নামে ।

গত ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের ২১ তারিখে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এমন একটি লিখিত অভিযোগ করেন স্থানীয় মো. বারেক সেখ ও আব্দুল মজিদ শেখ।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয় মাদ্রাসার পরিচালক আনোয়ার হোসেন ধর্মীয় আবেগকে পূজিকরে প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে দেশ ও প্রবাসে অবস্থানরত বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ” খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে ২৫ জন এতিম বোনের” প্রকাশিত শিরোনামে নেওয়া অর্থ আত্মসাত ও হিসাবে নয়ছয় করে জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জন ও নারী ঘটিত অনৈতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে অত্র এলাকার শান্তির্পর্ণ পরিবেশ নষ্টের অভিযোগ করা হয় প্রশাসনের উর্দ্ধতন দপ্তর গুলোতে।
তবে অভিযোগ দায়েরের পর প্রতারক আনোয়ার’কে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডাকা হলেও এখনো তার বিরুদ্ধে কোন শক্ত পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
ইতমধ্যে আনেয়ার হোসেন দেশ বিদেশ থেকে প্রতারনা করে মোটা অংকের অর্থ দিয়ে তার নিজ জমিতে ৩ তলা ফাউন্ডেন করে বাড়ি তৈরী করছেন।
যে জমিটি ওয়াকফ করা হয়েছে বলে বিভিন্ন মানুষের কাছ অর্থ নেওয়া হয়, সেই জমি ওয়াকফ না করে সমুদয় মোটা অংকের অর্থ দিয়ে তার বাড়ি নির্মানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

অর্থ পেয়ে তার বিরুদ্ধে নতুন মোটর সাইকেল ক্রয়,স্ত্রীকে গহনা তৈরী করে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
যার ফেসবুক আইডি থেকে ” খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে ২৫ জন এতিম বোনের” এই শিরোনামের আইডির বাহক আশিকুর রহমানের পেজ থেকে আপলোড করার পর দেশ বিদেশ থেকে বিকাশ ও ব্যাংক একাউন্টে মোটা অংকের অর্থ আসে মাদ্রাসার পরিচাক আনোয়ারের কাছে।

উত্তোলিত কি পরিমান অর্থ আনোয়ার হোসেন পেয়েছে আশিকুর রহমান জানতে চাইলে বার বার যোগাযোগ করা হলেও তা তিনি কর্ণপাত করেননি। এমতাবস্থায় আশিক সামেন মোড়ে আনোয়ারের কাছে অর্থ পাওয়ার খবর জানতে চাইলে আশিকের উপর আনোয়ার সহ তার পরিবার ক্ষিপ্ত হয়।তাকে লাঞ্চিত করে। পরে আশিকের সাথে বাকবিতন্ডা হলে সেখানে এলাকাবাসি জমায়েত হয়।

এলাকাবাসি ও অভিযোগকারীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হযরত মাতেমা ( রাঃ) মহিলা মাদ্রাসা ও এতিমখানার নামে গত ২৫/০৯/২৩ থেকে ১১ /০১/২৪ তারিখ পর্যন্ত মাদ্রাসা পরিচালক আনোয়ার হোসেনের খানখানাপুর জনতা ব্যাংকে নিজ নামীয় একাউন্ট ও আল আরাফা ব্যাংক একাউন্ট ও বিকাশ নম্বরে মোট
২৯,৭৬,২২৫ টাকা । এর মধ্যে জনতা ব্যাংক একাউন্ট নম্বর (০১০০২৪৮৯৬৭৭০১) ১৭,১১,৪৬৫ টাকা জমা হয়। আর আলআরাফা ব্যাংকে ৫,২২,৫০০ টাকা জমা হয়। বিকাশ নম্বরে ১৩/১০/২৩ থেকে ১১/১/২৪ তারিখ পর্যন্ত ০১৭২০ ৯৬ ১২ ৫২ এই বিকাশ নম্বরে ৪,৭২,০০০ টাকা লেনদেন হয়। সহ এ নম্বরে ৫/৮/২৩ থেকে ১৩/১০/২৩ তারিখ পর্যন্ত ১০ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছে। ০১৩২৭ ৮৪৪৫১৯ বিকাশ নম্বরেও ২,৭২,৪৬০ টাকা লেনদেন হয়।

এছাড়াও হুন্ডিতেও মোটা অংকের টাকা আসার খবর পাওয়া যায়।এসব অর্থ তিনি মাদ্রাসা ও শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে খরচ না করে আত্মসাত করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে নানা সময়ে নারী ঘটিত বিষয়ের তথ্যও পাওয়া গেছে।প্রকৃত পক্ষে তিনি একজন ভন্ড,প্রতারক ও ধর্মীয় লেবাস ধারী লম্পট বলে জানান এলাকাবাসি।

সামের মোড় এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা সিদ্দিক মোল্লা বলেন,আনোয়ার হোসেন নিজ বাড়িতে ওয়াকফ করা মাদ্রাসার নামে বাড়ি তৈরী করছেন। সে ভন্ডামি করে টাকা পয়সা আত্মসাত করছেন।সে যদি জমি ওয়াকফ করে মাদ্রাসা করে তাহলে আমিও ১০ হাজার টাকা দিব। ইসলামের নামে কোন ভন্ডামি চলবেনা।

অভিযোগকারী আব্দুল মজিদ সেখ বলেন, আনোয়ার হেসেনের মাদ্রসায় কোন এতিম থাকে না। যারা এখানে থাকে তাদের পরিবার এখানে টাকা দিয়ে পড়ায়।এখানে স্থানীয়দের নিয়ে কোন কমিটিও করা হয়নি। আশিকুর রহমানের ফেসবুকের ভিডিও দেখে দেশ বিদেশ থেকে মানুষ মোটা অংকের প্রচুর টাকা দিয়েছে।সেই টাকা আনোয়ার আত্মসাত করেছে।
এলাকায় এমন দূর্নীতির মাধ্যমে মাদ্রসার নামে অর্থ আত্মসাত কারী আনোয়ারের বিচারের দাবী জানাই।তার বিচারের দাবীতে আমি বাদী হয়ে পুলিশ প্রশাসন,জেলা প্রশাসন ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছি।

ফেসবুক পেজে মাদ্রাসার ভিডিও আপলোড করা আশিকুর রহমান বলেন,প্রথম ভিডিওটি মাদ্রাসার পরিচালক আনোয়ার হোসেনের অনুরোধে ফেসবুক পেজে ছাড়ি।আস্তে আস্তে ভিডিওটি ভিউ হতে হতে ২৫ লক্ষ ভিউ হয়।এতে আনোয়ারে কাছে কয়েক লক্ষ টাকা আসে।কি পরিমান টাকা পেয়েছেন পরে এর উপর আরো একটি ভিডিও দেওয়ার কথা থাকলেও আনোয়ার ভিডিও দিতে গড়িমসি করে।আনেয়ার বলে আপনার ভিডিওর কারনে আমি টাকা পায়নি।ভিডিও দেখে কেউ টাকা দেয়না।

এসময় আশিকুর রহমান এলাকাবাসির বক্তব্য নিতে গেলে তার ভাই আশিকের সাথে দূর্ব্যবহার করে ক্যামেরার মাইক্রোফোন কেড়ে নেয়।বাড়ির মহিলা সহ অন্যান্য সদস্যরা এসে তাকে লাঞ্চিত করে বলে জানায়।

এতিম খানার নামে দেশ বিদেশ থেকে অর্থ পাওয়া ও তা আত্মসাত করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এগুলো মিথ্যা।এলাকার কিছু মানুষ আমার ও আমার এই প্রতিষ্ঠানের পিছনে লেগেছে।তারা আমার ভালো চায়না।আমি কোন টাকা পয়সা পাইনি।আমার কোন টাকা নেই।

রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোভন রাংসা জানান,তদন্তের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে অবগত করেছে।আমি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি।এর তদন্তের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে।তিনি অনিয়মের বিষয়টি দেখে অবগত করলে সত্যতার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।