রংপুরের পীরগঞ্জে বাস ডাকাতির ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে রংপুরের পীরগঞ্জ এবং গাইবান্ধার পলাশবাড়ি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বাস ডাকাতির সঙ্গে জড়িতদের আটক করা হয়।
আটকৃতরা হলেন পীরগঞ্জের আগাচতরা গ্রামের ফিরোজ মিয়া (২৮), জয়পুর গ্রামের মেহেদী হাসান (২৫), বড় আলমপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী (৩৮), বড় গোপীনাথপুর গ্রামের শাহজাহান আলী (৩০) এবং ডাকাতির ঘটনায় লুষ্ঠিত স্বর্ণ ক্রয়কারী চতরা গ্রামের মনোয়ার হোসেন মজিন (৩৮)।
এসময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ৬টি ধারালো চাকু, ৩টি স্মার্ট ফোন এবং ডাকাতদের ব্যবহৃত ৫টি বাটন ফোন লুষ্ঠিত স্বর্ণের সাদৃশ্য একজোড়া কানের দুল উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিয়া সুলতানা।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রাজিয়া সুলতানা জানান, ডাকাতদল গত ১২ জানুয়ারি রাত নয়টার দিকে গাজীপুর জেলার চান্দুরা বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী হিসেবে ছদ্মবেশে ওঠে। এরপর রাত একটার দিকে বগুড়া জেলার শেরপুর ফুড ভিলেজে যাত্রা বিরতির সময় পরিকল্পনা অনুযায়ী আন্তজেলা বাস ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য ফিরোজ, মেহেদী, মোহাম্মদ আলী এবং শাহজাহান আলীসহ তাদের সহযোগী আরও চারজন প্রত্যেকে একটি করে ধারালো চাকু নিজ হেফাজতে রাখে এবং তারা ডাকাতির সুযোগ খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে রাত সাড়ে তিনটার দিকে পীরগঞ্জ থানাধীন লালদিঘী ওভার ব্রিজ পার হয়ে ডাকাত দলের সদস্যারা বাসের ড্রাইভার, হেলপার, সুপারভাইজারসহ বাস যাত্রীদের ধারালো চাকুর ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে এবং বাস তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয়।
এসময় ডাকাতরা ধারালো চাকুর ভয়ভীতি দেখিয়ে ৮ টি স্মার্ট ফোন, ও ৮/১০ টি বাটম ফোন, নগদ ৪২ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সোমবার পীরগঞ্জ থানায় ডাকাতির মামলা দায়ের করা হয়।
পরবর্তীতে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
রাজিয়া সুলতানা আরও জানান, আটকরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। পলাতক ডাকাত সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।