রংপুরে ভূমিদস্যু কবির উদ্দিনের সংবাদ প্রকাশের পায়তারা বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগীর খোদ্দৌ গোদ তামপাট সর্দার পাড়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোবারক আলী (সেনা সদস্য), মেয়ে মাজেদা বেগম পিংকি।

আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোবারক আলী একমাত্র সন্তান। আমার কোন ভাই-বোন নেই। আমার পিতা মৃত্যুর পরে আমার মা'কে ১৯৮৮ সালে কবলা দলিলমূলে ৭২ শতাংশ জমি হেবা দানপত্র করে লিখে দেন। সেই জমি থেকে আমার দখলে ৪২ শতক জমি আছে। বাকি ৩০ শতক জমি কবির উদ্দিন জালিয়াতি ও দলিল প্রতারণা করে উক্ত জমি দখলপূর্বক বিভিন্ন মানুষের কাছে বিক্রয় করেন। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট মামলা আদালতে চলমান আছে।

ভূমিদস্যু কবির উদ্দিন হচ্ছেন রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা লক্ষীটারি ইউনিয়নের মহিপুরে, তিনি আমার বাবার বাড়িতে কাজের লোক হিসাবে থাকত। তিনি আমাদের কোন আত্মীয় বা রক্তের সম্পর্কে কেউ না হয়েও আমার বাবাকে দাতা দেখিয়ে চারটি দানপত্র দলিল সৃষ্টি করেন। তিনি খুব ধুরন্ধর ব্যক্তি হওয়ায় নানা কৌশলে আমাদের ওয়ারিশ না হয়েও আমাদের অজান্তে মহামান্য আদালতকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিজের খতিয়ান গোপন করত: আমাদের খতিয়ান দেখিয়ে ৬০ শতাংশ জমির ডিক্রি নেন এবং ঐ ৬০ শতকসহ ১ একর ৫২ শতক জমি অন্যের নিকট বিক্রি করেন। আমার জমির খতিয়ান নং-এসএ-১৪৫ ও সিএস-৯০।

অথচ কবির উদ্দিনের দলিলের খতিয়ান নং-সিএস-৮৯. এসএ-৯৫। উল্লেখ্য যে, কবির উদ্দিন বিভিন্ন ব্যক্তিকে যে দলিলগুলো দিয়েছেন তা অরিজিনাল দলিল নয়, তার প্রমাণ আছে। এছাড়া তিনি মহামান্য বিজ আদালতে অরিজিনাল দলিল দেখাতে পারেননি, আর জাল দলিলের ফলে জেলও খেটেছেন তিনি। উক্ত কবির উদ্দিন উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে প্রোপাগান্ডা ও গুজব ছড়িয়ে সমাজে আমার সুনাম ক্ষুণ্ণ ও হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। এই উদ্দেশ্যে কবির উদ্দিন চ্যানেল টুয়েন্টি ফোর ও প্লাস টিভি টুয়েন্টি ফোর-এর সাংবাদিকদের দিয়ে এলাকায় ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কল্পকাহিনী ছেড়ে দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

আমি একজন সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের মেয়ে। আমার বক্তব্য হলো- তারা বিষয়গুলো নিয়ে ভিডিও আকারে মিডিয়ায় ছেড়েছে তা মানহানিকর। কারণ আমি এ জাতীয় কর্মকান্ডে কখনো জড়িত নই। আমার বিরুদ্ধে কবির উদ্দিনের একাধারে জমি সংক্রান্তসহ ১০/১২টি মামলা করেছে, এ সকল মামলায় বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছি। বর্তমানে তিনি আমাকে হয়রানী করার কোন পথ খুঁজে না পেয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে চালাচ্ছে । ভুক্তভোগী মাজেদা বেগম বলেন , আমি যদি কবির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে থাকি তা হলে, তার কাগজপত্র নিশ্চয়ই তার কাছে আছে? আমার নামে মিথ্যা ও বানোয়াট অপপ্রচারকারী চ্যানেল টুয়েন্টি ফোর ও প্লাস টিভি টুয়েন্টি ফোরসহ যারা এই অপপ্রচারের সাথে জড়িত আপনাদের মাধ্যমে তাদের কাছে এর প্রমাণাদি উপস্থাপণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

আমি একজন অসহায় মেয়ে, আমাকে সহযোগিতা করার কেউ নেই, তাই কবির উদ্দিন কৌশলে আমার স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি জবর দখল করার তারা লিপ্ত আছেন। সাংবাদিক ভাইদের প্রতি আমার অনুরোধ আপনারা জেনে শুনে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করবেন। কারণ আপনারাই রাষ্ট্রের ৪র্থ স্তম্ব। আপনারা বস্তনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন না করলে সমাজ, রাষ্ট্র ও ব্যক্তি জীবনে অনেক খারাপ প্রভাব পড়বে।

এমতাবস্থায় আমার ও আমার পরিবারের নিরাপত্তা ও সম্মানহানিকর পরিস্থিতি নিরসনের লক্ষ্যে আপনাদের মাধ্যমে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করছি।