রংপুরে বুক পেট জোড়া লাগা জমজ কন্যা শিশুর জন্ম নিয়ে বিপাকে পরিবার
- আপডেট সময় : ১২:৫৪:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩ ১৫৯ বার পঠিত
শনিবার সাত অক্টোবর দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাসপাতালে অস্ত্র পাচারের মাধ্যমে তাদের জন্ম হয়। প্রসূতি লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের সাতপাটকি গ্রামের আরিফুল ইসলাম এর স্ত্রী লাবনী আক্তার (২২) দুই নবজাতক ও মা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অক্টোবর দুপুরে লাবনীর বাবা লাভলু মিয়া জানান, প্রায় ৬ বছর আগে আরিফুল ইসলামের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে দেন। আরিফুল পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাদের ৫ বছর বয়সী এক ছেলে সন্তান রয়েছে। তিনি আরো জানায়, গর্ভবতী হওয়ার পর আলট্রাসনো গ্রামের মাধ্যমে জমজ শিশুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া হয়। পরে দুই অক্টোবর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাবনীকে ভর্তি করা হয়। শনিবার দুপুর বারোটার দিকে গাইনি বিভাগের চিকিৎসক অধ্যাপক ডাক্তার শারমিন সুলতানা লাকী অস্ত্র পাচার করেন। জন্মের পর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়।
লাভলু মিয়া বলেন, আমি নিজে একজন দিনমজুর। জামাইয়ের আর্থিক অবস্থা ভালো না বেশি। এ অবস্থায় চিকিৎসক বাচ্চাদের ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু আর্থিক সক্ষমতা না থাকায় তা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় সরকারি সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। লাবনী বলেন আমার জন্ম সন্তানদের সুচিকিৎসা ব্যবস্থা করার দাবি জানাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক আ আ ন ম তানভীর চৌধুরী নোমান বলেন, প্রাথমিকভাবে দুই শিশুর বুক ও পেট একসঙ্গে লাগা বলে মনে হচ্ছে। তাদের উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সাপোর্ট রামপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেই। তাদের শ্বাসকষ্ট আছে। এজন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ অথবা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির জন্য রেফার করা হয়েছিল। কিন্তু এই মুহূর্তে তাদের ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার মত আর্থিক অবস্থা না থাকায় নিয়ে যেতে পারেননি। মানবিক দিক বিবেচনা করে দুই নবজাতককে শিশু ওয়ার্ডের শেখ রাসেল রাসেল স্পেশাল কেয়ার নিউ বর্ন ইউনিট স্ক্যান বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক অধ্যাপক ডাক্তার শারমিন সুলতানা লাকী জানান, অস্ত্র পাচার সফল হলেও যমজ শিশুদের হার্ট ও লিভার একটাই। এক্ষেত্রে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো প্রয়োজন। এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক কে জানানো হয়েছে।