ঢাকা ০৪:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

রংপুরে তারাগঞ্জ উপজেলায় হ্যাটট্রিক জয় আনিসুর রহমান লিটনের

শিল্পী আক্তার- রংপুর ব্যুরো:
  • আপডেট সময় : ০২:৩৫:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪ ১১৪ বার পঠিত

আসন্ন চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রংপুরের তারাগঞ্জে তৃতীয়বারের মতো উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন আনিছুর রহমান লিটন।এবারও তিনি (ষোল) ১৬ হাজার ৫৪৯ ভোটের ব্যবধানে জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক শাহিনুর ইসলাম মার্শালকে পরাজিত করে টানা হ্যাটট্রিক জয় নিশ্চিত করে তৃতীয়বারের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

তারাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষ থেকে ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার রুবেল রানা। বুধবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে বেসরকারি ভাবে তাঁকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দুজন প্রার্থীর মধ্যে আনিছুর রহমান লিটন দোয়াত কলম প্রতীকে ৪১ হাজার ৭৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তারাগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক শাহিনুর ইসলাম মার্শাল মোটরসাইকেল প্রতীকে ২৫ হাজার ১৮৬ ভোট পেয়েছেন। এর আগের ২০১৮ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে এবং ২০১৪ সালে দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

এ ছাড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে গ্যাস সিলিন্ডার প্রতীকে খাইরুল ইসলাম ১৫ হাজার ৫৪৬ ভোট পেয়ে জয়ী হোন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কবিরুল ইসলাম তালা প্রতীকে ১২ হাজার ৩১ ভোট পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে এ উপজেলা ফুটবল প্রতীকে ৩৫ হাজার ৩২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফাতেমা তুজ জোহরা হাঁস প্রতীকে ১৪ হাজার ৬২১ ভোট পেয়েছেন।

এর আগে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ, চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভোটের পরিবেশ ছিল সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ। অনেক লাঠিতে ভর করে, কোলে চড়ে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিয়েছেন। ভোট কেন্দ্রেও ভোটার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। উপজেলার ৫৫টি ভোটকেন্দ্রের অধিকাংশ কেন্দ্রর ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার রুবেল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারাগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষ ভোট গ্রহণের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছে। উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট হয়েছে। এখানে ৫৯ পারসেন্ট ভোট কাস্ট হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’

উল্লেখ্য, তারাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুজন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৯ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এখানে মোট ভোটার ১ লাখ ১৯ হাজার ২২২ জন।

ট্যাগস :

রংপুরে তারাগঞ্জ উপজেলায় হ্যাটট্রিক জয় আনিসুর রহমান লিটনের

আপডেট সময় : ০২:৩৫:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪

আসন্ন চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রংপুরের তারাগঞ্জে তৃতীয়বারের মতো উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন আনিছুর রহমান লিটন।এবারও তিনি (ষোল) ১৬ হাজার ৫৪৯ ভোটের ব্যবধানে জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক শাহিনুর ইসলাম মার্শালকে পরাজিত করে টানা হ্যাটট্রিক জয় নিশ্চিত করে তৃতীয়বারের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

তারাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষ থেকে ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার রুবেল রানা। বুধবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে বেসরকারি ভাবে তাঁকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দুজন প্রার্থীর মধ্যে আনিছুর রহমান লিটন দোয়াত কলম প্রতীকে ৪১ হাজার ৭৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তারাগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক শাহিনুর ইসলাম মার্শাল মোটরসাইকেল প্রতীকে ২৫ হাজার ১৮৬ ভোট পেয়েছেন। এর আগের ২০১৮ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে এবং ২০১৪ সালে দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

এ ছাড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে গ্যাস সিলিন্ডার প্রতীকে খাইরুল ইসলাম ১৫ হাজার ৫৪৬ ভোট পেয়ে জয়ী হোন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কবিরুল ইসলাম তালা প্রতীকে ১২ হাজার ৩১ ভোট পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে এ উপজেলা ফুটবল প্রতীকে ৩৫ হাজার ৩২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফাতেমা তুজ জোহরা হাঁস প্রতীকে ১৪ হাজার ৬২১ ভোট পেয়েছেন।

এর আগে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ, চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভোটের পরিবেশ ছিল সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ। অনেক লাঠিতে ভর করে, কোলে চড়ে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিয়েছেন। ভোট কেন্দ্রেও ভোটার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। উপজেলার ৫৫টি ভোটকেন্দ্রের অধিকাংশ কেন্দ্রর ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার রুবেল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারাগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষ ভোট গ্রহণের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছে। উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট হয়েছে। এখানে ৫৯ পারসেন্ট ভোট কাস্ট হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’

উল্লেখ্য, তারাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুজন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৯ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এখানে মোট ভোটার ১ লাখ ১৯ হাজার ২২২ জন।