ঢাকা ০৫:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পাইকগাছায় বিপুল পরিমাণ পলিথিন ব্যাগ ও কারেন্ট জাল জব্দ পাইকগাছার গদাইপুরে গনশুনানী অনুষ্ঠিত জনগণের আস্থা পেলে ধানের শীষের জয় সুনিশ্চিত: ডাঃ এ জেড এম জাহিদ টঙ্গি ইজতেমা হামলার প্রতিবাদে হিলিতে সাদপন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ ৩১দফা অবহিতকরণে আত্রাইয়ে সাহাগোলা ইউনিয়ন বিএনপি’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত চারঘাটে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি ইসরাইল, সম্পাদক সুজন খানসামায় আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি নাইট ক্রিকেট টুর্নামেন্ট নওগাঁয় মাদকবিরোধী ফুটবল প্রতিযোগিতায় সদর একাদশ বিজয়ী যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে বাস দুর্ঘটনা: একজন নিহত গোয়ালন্দ বিএনপির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

যে ভুলগুলো করবেন না পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার পর

স্বাস্থ্য পরামর্শ
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৬:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৩৩৫ বার পঠিত

মহিলাদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের স্বাস্থ্যের উপর বিশেষ প্রভাব পড়ে। বৃদ্ধ বয়সে, মহিলারা অনেক বিপদজনক রোগের ঝুঁকিতে থাকেন, যা অনেক সময় উদ্বেগের বিষয় হয়ে ওঠে। মহিলাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো যখন তাদের পিরিয়ড চক্র অর্থাৎ মেনোপজ-পরবর্তী সময় বন্ধ হয়ে যায়।

মেনোপজের লক্ষণ কী?

কেউ মেনোপজের উপসর্গে ভুগছে কিনা সেটি জানার জন্য রক্ত পরীক্ষা করা যেতে পারে। তবে, সবসময় যে পরীক্ষার ফল খুব নির্ভুল হবে এমন নয়। তবে, ডাক্তারের সাথে আলাপ করে একজন নারী যে সব লক্ষণগুলো তার শরীরে দেখছেন সেগুলো জানানো যেতে পারে।

মেনোপজের পর ইস্ট্রোজেন হরমোন শরীরে আর পুনরুৎপাদন হয় না। ফলে, মেনোপজের পর ইস্ট্রোজেন হরমোনের অভাব নিয়েই জীবনের বাকিটা সময় কাটাতে হয়।

৪৫ থেকে ৫০ বছর বয়সের পর মাসিক বন্ধ হওয়ার সময় শুরু হয়। এরপর নারীদের শরীরে নানা ধরনের পরিবর্তন দেখা যায়। পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার পর মহিলাদের হৃদরোগের মতো সমস্যা হতে পারে। অর্থাৎ, পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়া নারীদের শারীরিক ও মানসিক রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে নারীদের কিছু ভুল এড়িয়ে চলা উচিত।

জেনে নিন বিষয়গুলো সম্পর্কে-

পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গেলে মহিলাদের অনেক গুরুতর রোগ হতে পারে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, অনেক সময় তারা এসব রোগ সম্পর্কে অজানা থাকার কারণে মারাত্মক রোগের শিকার হন।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা মনে করেন, এমন সময়ে মহিলাদের হৃদরোগ, সুগারের সমস্যা, হাঁপানি, অস্টিওপোরোসিস, স্তন ক্যান্সার, জরায়ুতে পিণ্ড তৈরি হওয়ার মতো গুরুতর রোগ দেখা দিতে শুরু করে।

যখন মহিলাদের পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায়, সবার আগে তাদের নিয়মিত যোগব্যায়াম বা কোনও ধরনের ব্যায়াম করা উচিত। এর পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। খাদ্যতালিকায় প্রচুর আয়রন এবং ক্যালসিয়াম গ্রহণ করতে হবে। এতে আপনার রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমে যাবে। এ ছাড়াও, হাড়ের রোগ এড়াতে, আপনার খাদ্যতালিকায় শুধুমাত্র ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

লিখেছেন- ডা. শাহনাজ পারভীন জেবা
সহকারী অধ্যাপক গাইনি এন্ড অবস্

ট্যাগস :

যে ভুলগুলো করবেন না পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার পর

আপডেট সময় : ০৭:৫৬:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মহিলাদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের স্বাস্থ্যের উপর বিশেষ প্রভাব পড়ে। বৃদ্ধ বয়সে, মহিলারা অনেক বিপদজনক রোগের ঝুঁকিতে থাকেন, যা অনেক সময় উদ্বেগের বিষয় হয়ে ওঠে। মহিলাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো যখন তাদের পিরিয়ড চক্র অর্থাৎ মেনোপজ-পরবর্তী সময় বন্ধ হয়ে যায়।

মেনোপজের লক্ষণ কী?

কেউ মেনোপজের উপসর্গে ভুগছে কিনা সেটি জানার জন্য রক্ত পরীক্ষা করা যেতে পারে। তবে, সবসময় যে পরীক্ষার ফল খুব নির্ভুল হবে এমন নয়। তবে, ডাক্তারের সাথে আলাপ করে একজন নারী যে সব লক্ষণগুলো তার শরীরে দেখছেন সেগুলো জানানো যেতে পারে।

মেনোপজের পর ইস্ট্রোজেন হরমোন শরীরে আর পুনরুৎপাদন হয় না। ফলে, মেনোপজের পর ইস্ট্রোজেন হরমোনের অভাব নিয়েই জীবনের বাকিটা সময় কাটাতে হয়।

৪৫ থেকে ৫০ বছর বয়সের পর মাসিক বন্ধ হওয়ার সময় শুরু হয়। এরপর নারীদের শরীরে নানা ধরনের পরিবর্তন দেখা যায়। পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার পর মহিলাদের হৃদরোগের মতো সমস্যা হতে পারে। অর্থাৎ, পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়া নারীদের শারীরিক ও মানসিক রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে নারীদের কিছু ভুল এড়িয়ে চলা উচিত।

জেনে নিন বিষয়গুলো সম্পর্কে-

পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গেলে মহিলাদের অনেক গুরুতর রোগ হতে পারে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, অনেক সময় তারা এসব রোগ সম্পর্কে অজানা থাকার কারণে মারাত্মক রোগের শিকার হন।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা মনে করেন, এমন সময়ে মহিলাদের হৃদরোগ, সুগারের সমস্যা, হাঁপানি, অস্টিওপোরোসিস, স্তন ক্যান্সার, জরায়ুতে পিণ্ড তৈরি হওয়ার মতো গুরুতর রোগ দেখা দিতে শুরু করে।

যখন মহিলাদের পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায়, সবার আগে তাদের নিয়মিত যোগব্যায়াম বা কোনও ধরনের ব্যায়াম করা উচিত। এর পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। খাদ্যতালিকায় প্রচুর আয়রন এবং ক্যালসিয়াম গ্রহণ করতে হবে। এতে আপনার রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমে যাবে। এ ছাড়াও, হাড়ের রোগ এড়াতে, আপনার খাদ্যতালিকায় শুধুমাত্র ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

লিখেছেন- ডা. শাহনাজ পারভীন জেবা
সহকারী অধ্যাপক গাইনি এন্ড অবস্