মিঠাপুকুরে শিক্ষক কর্তৃক চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রীকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০২:৩৪:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুলাই ২০২৩ ২৩৩ বার পঠিত
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক কর্তৃক এক চতুর্থ শ্রেনির ছাত্রীকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় দু’দফা সার্লিসের পর অনৈতিক সুবিধা নিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ করেন স্হানীয়রা। ঘটনার ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও অপরাধীর বিচার না হওয়ায় ফুঁসে উঠেছেন অভিভাবক এবং তাদের স্বজনরা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মিঠাপুকুর উপজেলার বড়বালা ইউনিয়নের তরফ বাহাদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোঃ মাহামুদুন্নবী, ক্লাস শেষ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ওই শিশুকে একটি কক্ষের নির্জন স্থানে ডাকেন। শিশুটি শ্রেণী কক্ষে গেলে মাহামুদুন্নবী শিশুটির জামার ভিতর দিয়ে স্পর্শ কাতর জায়গায় হাত দেন। এসময় ওই ছাত্রী চিৎকার চেঁচামেচি করতে চাইলে মাহমুদুন্নবী ভয় দেখান। পরে অন্য শিশুরা বাড়ি ফেরার জন্য ওই শিশুকে খুজতে আসলে মাহমুদুন্নবী কৌশলে শিশুটিকে ছেড়ে দেন।
ওই শিশু বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারকে বিষয়টি জানালে, পরিবারের লোকজনসহ মঙ্গলবার (১৮- জুলাই) বিদ্যালয়ে গেলে প্রধান শিক্ষক এবং বিদ্যালয়ের সভাপতি, অভিযুক্ত মাহামুদুন্নবীর বিচার করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন।এরপর একাধিক বার বিষয়টি নিয়ে মিমাংসার চেষ্টা চলছিল। কিন্তু হঠাৎ অনৈতিক সুবিধা নিয়ে বিষয়টি চুপসে যায়।
শিশুটির পিতা ফখরুল আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, স্হানীয় লোকজন আমাকে মিমাংসা করতে বাধ্য করেছে। আমি আমার বাচ্চার কথা চিন্তা করে বিষয়টি মিমাংসা করেছি। টাকা পয়সা কে খেয়েছে আমি তা জানিনা,তবে আমার শর্ত ছিলো ওই শিক্ষককে বদলি করতে হবে। কমিটির লোকজন আমার দাবি মানায়, আমি আর বাড়াবাড়ি করিনি। আমার মেয়েকে আমি অন্য স্কুলে ভর্তি করাবো। শিশুটির মায়ের দাবি, মাহামুদুন্নবী কয়েকটি শিশুর সঙ্গে এমন করেছে। পূর্বে একই বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেম থাকায় তার সংসার ভেঙেছে। পরে ঐ ছাত্রীকে বিয়ে করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বাচ্চাদের উপর কু-নজর দেওয়া সহ তার চরিত্র নিয়ে সমালোচনা করেন।
অভিযুক্ত মাহমুদুন্নবী,তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি বাচ্চাদের একটু মারধর করতাম। এটাকে কেন্দ্র করে শিশুটি মিথ্যা বলেছে। ওই এলাকা মাদকের অভয়ারণ্য। চাকরি করাটা যেখানে দায়, সেখানে এমন অপবাদ উঠা স্বাভাবিক! তিনি জানান, সার্লিসে তিনি বিষয়টির জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। তরফবাহাদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেনের কাছে এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন দিলেও তার স্ত্রী ফোন রিসিভ করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে মিঠাপুকুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আক্তারুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।