মিঠাপুকুরে জমি বিক্রি করার টাকা নিয়ে জমির কবলা দলিল এবং বায়নাকৃত জমি রেজিষ্ট্রি করে না দিয়ে জমি ক্রেতার সঙ্গে প্রতারণা,এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করার অভিযোগ উঠেছে মনোয়ারুল ইসলাম (মনু) নামে এক মাদক কারবারির বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় দীর্ঘদিন থেকে জমিক্রেতা স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করে সমাধান না হওয়ায় মিঠাপুকুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, মিঠাপুকুর উপজেলার ০৩ নং- পায়রাবন্দ ইউনিয়নের অভিরাম নুরপুর গ্রামের মৃত- খলিল মিয়ার মৃত্যুর পর তার ছয় কন্যা সন্তান ওয়ারিশসূত্রে ৬.৫০ শতাংশ করে জমি প্রাপ্ত হন।
ছয় কন্যা সন্তানের মধ্যে মৃত-লাইজু বেগম মৃত্যুর আগে তার অংশের ৬ঃ৫০ শতাংশ জমি তার স্বামী মনু মিয়াকে দলিলমূলে হস্তান্তর করেন। মনু মিয়া উক্ত জমি বিক্রয়ের প্রস্তাব করিলে মৃত লাইজু মিয়ার বড় বোনের ছেলে- আশিকুর রহমান নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

মূল্য নির্ধারনের পর বায়নামূল্যে তাকে ৬২ হাজার টাকা প্রদাণ করেন,এবং অবশিষ্ট টাকা দলিল সম্পাদনের সময় দেয়ার কথা বলেন। কিন্তু মনু মিয়া টাকা নেওয়ার পর জমি উল্লিখিত তারিখের মধ্যে রেজিষ্টি করে না দিয়ে তালবাহানা শুরু করেন।

গত ২০ আগষ্ট, জমির দলিল কবে করবে জানতে গেলে মনু মিয়া আশিকুর রহমানের উপর চড়াও হয়ে জমি বিক্রির টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে এবং হুমকি ধামকি দিয়ে মারধরের চেষ্টা করে।
মনু মিয়া তাদের জানায়, কি করার আছে করিস, আমার কাছে আসলে তোকে মেরে ফেলবো।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আশিকুর রহমান বলেন, আমি কষ্ট করে টাকা দিয়েছি। আমার অন্য খালারা সবাই তাদের অংশের জমিটুকু আমাকে সুন্দর ভাবে হস্তান্তর করেছে। কিন্তু মনু মিয়া, টাকা নিয়ে আমাকে জমি লেখি না দিয়ে টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করছে। তাই আমি বাধ্য হয়ে থানার অভিযোগ দিয়েছি।

ঘটনার সত্যতা জানতে অভিযুক্ত মনু মিয়াকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি মুঠোফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে এএসআই মুন জানান, অভিযোগ পেয়েছি। উভয়পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছে।