ঢাকা ০১:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

মিছিল-স্লোগানে মুখর রংপুর, উচ্ছ্বসিত সকল নেতাকর্মীরা

রুবেল হোসাইন (সংগ্রাম) -রংপুর:
  • আপডেট সময় : ০১:৫৯:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অগাস্ট ২০২৩ ২৫১ বার পঠিত

রংপুরে ভোরের আলো ফুটার সঙ্গে সঙ্গে নগরীর প্রতিটা সড়কের প্রবেশ মূখে বাড়ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ভিড়। মিছিল আর স্লোগানে তারা দলে দলে যোগ দিচ্ছেন জনসমাবেশে। গোটা রংপুর নগরী যেন এখন মিছিলের নগরী। বিকেলে জিলা স্কুল মাঠে আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে কোথাও কোথাও আকস্মিক বৃষ্টি হলেও নেতাকর্মীরা থমকে যাননি।

বুধবার (২ আগস্ট) সকাল থেকেই জনসমাবেশের মাঠে উপস্থিত হতে দেখা গেছে নেতাকর্মীদের। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি বাড়ছে। এই জনসমাবেশে ১০ লাখ লোকের সমাগম ঘটাতে চায় ক্ষমতাসীন দল। এখান থেকেই শুরু হচ্ছে আওয়ামী লীগের আগামী নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। সরেজমিনে দেখা যায়, রংপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বড় বড় মিছিল নিয়ে আসছেন নেতাকর্মীরা। ব্যানার-ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড আর দলীয় প্রতীক শোভা পাচ্ছে তাদের হাতে। স্লোগানমুখর রংপুরের অলিগলিও। মহাসমাবেশ বিকেলে হলেও সকালেই ভরে গেছে রংপুর জিলা স্কুলের আশপাশ।

মধ্যরাত থেকেই রংপুর নগরীতে গণমানুষের ঢল থেকে ভেসে আসে ‘শেখ হাসিনার আগমন শুভেচ্ছা-স্বাগতম’স্লোগান। সকাল ৮টা থেকে সভাস্থল নগরীর ঐতিহাসিক রংপুর জিলা স্কুল মাঠে দূর-দূরান্ত থেকে রঙিন টিশার্ট ও ক্যাপ পরিহিত নেতাকর্মীরা ঢাকঢোল পিটিয়ে আসতে শুরু করেছেন।

বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে দলে দলে নেতাকর্মীরা আসছেন জনসভাস্থলসহ জিলা স্কুলের দিকে। বাহারি সাজসজ্জা আর বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে বিভিন্ন স্লোগানে নেচে গেয়ে উচ্ছ্বাস করছেন তারা।

রংপুর বিভাগের ৫৮ উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের আগমনে নগরজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। দুপুর ১টার আগেই জনসভাস্থলসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠবে বলে দাবি আয়োজকদের।

লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও রংপুরের বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা আসছেন দলে দলে। বাস, ট্রেন, মাইক্রো বাস, পিকআপ ভ্যান, অটোরিকশা ও সিএনজি করে আসছেন তারা। অনেকে আসছেন হেঁটেও।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে রংপুর মহানগরী। গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে মোড়ে নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছে। নগরীর ২১টি পয়েন্টে করা হয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। এক হাজারের বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। প্রবেশ রুট গুলোতে সন্দেহভাজন যানবাহন ও ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হচ্ছে। সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে জনসভায় আসা-যাওয়া নির্বিঘ্ন করতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

নগরীর মেডিকেল মোড় এলাকা থেকে শাপলা চত্বর এলাকা পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে কোনো ভারী যানবাহন ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে দূর-দূরান্ত থেকে আসা নেতাকর্মীরা রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ নির্ধারিত ২১টি পয়েন্টে যানবাহন রেখে বিভিন্ন নেতার পক্ষ থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জনসভা অভিমুখে রওনা দেন। একইভাবে রংপুর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের পুরুষ ও নারী নেতাকর্মী ও সমর্থকরা সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন।

সমাবেশ উপলক্ষ্যে নগরীর বিনোদন ও পর্যটন কেন্দ্রগুলোতেও ভিড় বেড়েছে। জনসভা শুরুর আগে অনেকে সুরভি উদ্যান, চিড়িয়াখানা, চিকলি ওয়াটার পার্ক, সিটি চিকলি বিনোদন পার্কসহ বিভিন্ন জায়গায় সময় কাটিয়েছেন। নগরীর নয়নাভিরাম সড়কগুলোতে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত লোকজনদের ঘুরতে ও ছবি তুলতে দেখা যায়। এছাড়া জনসভাকে ঘিরে নগরীর হোটেল-রেস্তোরাঁ এবং ফাস্টফুডের দোকানগুলোতে বেচাকেনা বেড়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার ডিসি ক্রাইম আবু মারুফ হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, জনসভার নিরাপত্তায় পোশাক পরিহিত পুলিশের পাশাপাশি আর্মডসহ সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছে। জনসভাস্থল ছাড়াও পথে পথে রুট ডিউটি, চেকপোস্ট, পুরো নগরীর গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশ পথ ও মোড়ে মোড়ে আছে সদস্যরা। উঁচু ভবনের ছাদে এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর প্রতি ফ্লোরে ফ্লোরে প্রশিক্ষিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সেই সাথে জনসভাস্থল, পুরো শহর এবং সার্কিট হাউস পুরোটাই আমরা সিসিটিভির কাভারেজে রয়েছে। সেই সাথে সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় এক হাজারের বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। যেগুলো ডিজিটালি মনিটরিং করা হচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবও থাকছে সার্বক্ষণিক। সবমিলিয়ে রংপুর নগরীর এখন নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা।

রংপুর মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজিত জনসভায় বিকেল ৩ টা ৫ মিনিটে জিলা স্কুল মাঠের জনসভায় উপস্থিত হবেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেবেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ ইতোমধ্যে রংপুরে রয়েছেন।

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসমাবেশকে ঘিরে এখন একাট্টা ও উজ্জীবিত রংপুর বিভাগ আওয়ামী লীগ। এই মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে তৃণমূল আরও শক্তিশালী হবে এবং সেই শক্তিশালী তৃণমূল দিয়ে বিরোধী জোটের মাঠের আন্দোলন মোকাবিলা ও রংপুর বিভাগকে আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে রূপান্তরের স্বপ্ন নেতাকর্মীদের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবশেষ রংপুরে এসেছিলেন ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর। এসময় তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ ও তারাগঞ্জে দুটি নির্বাচনী জনসভা করেছেন। সাড়ে চার বছরের বেশি সময় পর রংপুরে আসছেন এখানকার পুত্রবধূ শেখ হাসিনা। এর আগে ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি রংপুর জিলা স্কুল মাঠে মহাজোটের জনসভায় এসেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

ট্যাগস :

মিছিল-স্লোগানে মুখর রংপুর, উচ্ছ্বসিত সকল নেতাকর্মীরা

আপডেট সময় : ০১:৫৯:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অগাস্ট ২০২৩

রংপুরে ভোরের আলো ফুটার সঙ্গে সঙ্গে নগরীর প্রতিটা সড়কের প্রবেশ মূখে বাড়ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ভিড়। মিছিল আর স্লোগানে তারা দলে দলে যোগ দিচ্ছেন জনসমাবেশে। গোটা রংপুর নগরী যেন এখন মিছিলের নগরী। বিকেলে জিলা স্কুল মাঠে আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে কোথাও কোথাও আকস্মিক বৃষ্টি হলেও নেতাকর্মীরা থমকে যাননি।

বুধবার (২ আগস্ট) সকাল থেকেই জনসমাবেশের মাঠে উপস্থিত হতে দেখা গেছে নেতাকর্মীদের। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি বাড়ছে। এই জনসমাবেশে ১০ লাখ লোকের সমাগম ঘটাতে চায় ক্ষমতাসীন দল। এখান থেকেই শুরু হচ্ছে আওয়ামী লীগের আগামী নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। সরেজমিনে দেখা যায়, রংপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বড় বড় মিছিল নিয়ে আসছেন নেতাকর্মীরা। ব্যানার-ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড আর দলীয় প্রতীক শোভা পাচ্ছে তাদের হাতে। স্লোগানমুখর রংপুরের অলিগলিও। মহাসমাবেশ বিকেলে হলেও সকালেই ভরে গেছে রংপুর জিলা স্কুলের আশপাশ।

মধ্যরাত থেকেই রংপুর নগরীতে গণমানুষের ঢল থেকে ভেসে আসে ‘শেখ হাসিনার আগমন শুভেচ্ছা-স্বাগতম’স্লোগান। সকাল ৮টা থেকে সভাস্থল নগরীর ঐতিহাসিক রংপুর জিলা স্কুল মাঠে দূর-দূরান্ত থেকে রঙিন টিশার্ট ও ক্যাপ পরিহিত নেতাকর্মীরা ঢাকঢোল পিটিয়ে আসতে শুরু করেছেন।

বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে দলে দলে নেতাকর্মীরা আসছেন জনসভাস্থলসহ জিলা স্কুলের দিকে। বাহারি সাজসজ্জা আর বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে বিভিন্ন স্লোগানে নেচে গেয়ে উচ্ছ্বাস করছেন তারা।

রংপুর বিভাগের ৫৮ উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের আগমনে নগরজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। দুপুর ১টার আগেই জনসভাস্থলসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠবে বলে দাবি আয়োজকদের।

লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও রংপুরের বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা আসছেন দলে দলে। বাস, ট্রেন, মাইক্রো বাস, পিকআপ ভ্যান, অটোরিকশা ও সিএনজি করে আসছেন তারা। অনেকে আসছেন হেঁটেও।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে রংপুর মহানগরী। গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে মোড়ে নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছে। নগরীর ২১টি পয়েন্টে করা হয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। এক হাজারের বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। প্রবেশ রুট গুলোতে সন্দেহভাজন যানবাহন ও ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হচ্ছে। সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে জনসভায় আসা-যাওয়া নির্বিঘ্ন করতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

নগরীর মেডিকেল মোড় এলাকা থেকে শাপলা চত্বর এলাকা পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে কোনো ভারী যানবাহন ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে দূর-দূরান্ত থেকে আসা নেতাকর্মীরা রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ নির্ধারিত ২১টি পয়েন্টে যানবাহন রেখে বিভিন্ন নেতার পক্ষ থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জনসভা অভিমুখে রওনা দেন। একইভাবে রংপুর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের পুরুষ ও নারী নেতাকর্মী ও সমর্থকরা সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন।

সমাবেশ উপলক্ষ্যে নগরীর বিনোদন ও পর্যটন কেন্দ্রগুলোতেও ভিড় বেড়েছে। জনসভা শুরুর আগে অনেকে সুরভি উদ্যান, চিড়িয়াখানা, চিকলি ওয়াটার পার্ক, সিটি চিকলি বিনোদন পার্কসহ বিভিন্ন জায়গায় সময় কাটিয়েছেন। নগরীর নয়নাভিরাম সড়কগুলোতে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত লোকজনদের ঘুরতে ও ছবি তুলতে দেখা যায়। এছাড়া জনসভাকে ঘিরে নগরীর হোটেল-রেস্তোরাঁ এবং ফাস্টফুডের দোকানগুলোতে বেচাকেনা বেড়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার ডিসি ক্রাইম আবু মারুফ হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, জনসভার নিরাপত্তায় পোশাক পরিহিত পুলিশের পাশাপাশি আর্মডসহ সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছে। জনসভাস্থল ছাড়াও পথে পথে রুট ডিউটি, চেকপোস্ট, পুরো নগরীর গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশ পথ ও মোড়ে মোড়ে আছে সদস্যরা। উঁচু ভবনের ছাদে এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর প্রতি ফ্লোরে ফ্লোরে প্রশিক্ষিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সেই সাথে জনসভাস্থল, পুরো শহর এবং সার্কিট হাউস পুরোটাই আমরা সিসিটিভির কাভারেজে রয়েছে। সেই সাথে সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় এক হাজারের বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। যেগুলো ডিজিটালি মনিটরিং করা হচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবও থাকছে সার্বক্ষণিক। সবমিলিয়ে রংপুর নগরীর এখন নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা।

রংপুর মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজিত জনসভায় বিকেল ৩ টা ৫ মিনিটে জিলা স্কুল মাঠের জনসভায় উপস্থিত হবেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেবেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ ইতোমধ্যে রংপুরে রয়েছেন।

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসমাবেশকে ঘিরে এখন একাট্টা ও উজ্জীবিত রংপুর বিভাগ আওয়ামী লীগ। এই মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে তৃণমূল আরও শক্তিশালী হবে এবং সেই শক্তিশালী তৃণমূল দিয়ে বিরোধী জোটের মাঠের আন্দোলন মোকাবিলা ও রংপুর বিভাগকে আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে রূপান্তরের স্বপ্ন নেতাকর্মীদের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবশেষ রংপুরে এসেছিলেন ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর। এসময় তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ ও তারাগঞ্জে দুটি নির্বাচনী জনসভা করেছেন। সাড়ে চার বছরের বেশি সময় পর রংপুরে আসছেন এখানকার পুত্রবধূ শেখ হাসিনা। এর আগে ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি রংপুর জিলা স্কুল মাঠে মহাজোটের জনসভায় এসেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।