ঢাকা ০২:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট সংস্কার সাতক্ষীরা উপকূলে বিশ্ব জলবায়ু ধর্মঘট কর্মসূচী পালিত বালিয়াকান্দিতে এ্যাসেডের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচী পালিত ভোলা প্রেসক্লাবে গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মত বিনিময়  আত্রাইয়ে মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ নাগেশ্বরী উপজেলা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের কমিটি গঠন পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম

মায়ের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত সন্তানেরা

স্টাফ রিপোর্টার:
  • আপডেট সময় : ১১:১০:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০২৩ ৮৯৬ বার পঠিত

ফরিদপুরের সালথায় মায়ের রেখে যাওয়া ৬৯ শতাংশ জমি জাল দলিলে বিক্রি ও দখলের অভিযোগ করেছেন ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকার বাসিন্দা শাহ মোঃ মিজান। তিনি ঐ এলাকার মরহুম এস.এম.এ জিন্নাহ ওরফে মাহফুজ এবং মরহুমা শিরিন বেগম দম্পত্তির বড় সন্তান।

তার মায়ের বাবার বাড়ি সালথা উপজেলার হাবেলীগট্টি গ্রামে। ঐ এলাকায় তার মা শিরিন বেগম ১০৯নং মৌজার অন্তর্গত হাবেলীগট্টি আরএস-৪৮১ নং খতিয়ানের, এসএ-৫৭৬ নং খতিয়ানের ৬৬১ নং দাগের ১১৬ শতাংশ বাগান জমির মধ্য হতে ৩৩ শতাংশ জমি, ৬৬২ নং দাগের ৩৩ শতাংশ নাল জমির মধ্য হতে ৮ শতাংশ জমি, আরএস ৮৭৫ নং খতিয়ান ও এসএ-১০৬৭ নং খতিয়ানের ৬৭০ নং দাগের বাড়ীর ৬৯ শতাংশ জমির মধ্যে ২৮ শতাংশ, মোট ৬৯ শতাংশ ক্রয় করেন। তার মায়ের মৃত্যুর পরে জমিগুলো বিভিন্নভাবে দখল করে রেখেছেন এবং জাল দলিল তৈরী করে বিক্রি করেছেন হাবেলী গট্টি গ্রামের মৃত মোতাহার হোসেনের দুই পুত্র সৈয়দ বাবুল হোসেন (৫৫) ও সৈয়দ মাসুম হোসেন (৫০), মৃত কুটি মীরের ছেলে হাসান মীর (৬০) এবং রবু মীরের পুত্র সাদী মীর (৪৫)।
শাহ মোঃ মিজান এ প্রতিবেদককে বলেন- ‘১৯৮০ সালের ২ই আগস্টে আমার নানা সৈয়দ মোকারম হোসেনের নিকট থেকে আমার মা শিরিন বেগম বিগত ৬৯ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। যার দলিল নং ৭০২৭। জমির বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক ৬৯ লক্ষ টাকার বেশি হবে। আমার মা ২০২০ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি মারা যান। তিনি মারা যাওয়ার পর ওয়ারিশ সুত্রে ঐ সম্পত্তির মালিক হই আমি ও আমার ভাই শাহ মোঃ মোস্তফা এবং দুই বোন হামিদা আক্তার লাইজু ও ইরানা আক্তার সুরভী। কিন্তু আমার মায়ের মৃত্যুর পর ঐ জমি আমরা দখলে যেতে পারছি না। আমার মাতার মৃত্যুরপর বিবাদীগণেরা জমি আত্মসাতের জন্য গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন এবং জমি আত্মসাতের পরিকল্পনা করতে থাকে। তারা আমাদের জমিতে থাকা মূল্যবান বৃক্ষাদি যেমন: মেহগুনি, আম, কাঠাল, নারিকেল কেটে নিয়ে যায়। তৎকালীন সময়ের নগরকান্দার সাব-রেজিস্ট্রার ও দলিল লেখকদের সহযোগিতায় ছলচাতুরী পন্থায় একাধিক জমির ভুয়া দলিল সৃষ্টি করে তা গোপন করে বিভিন্ন স্থানে প্রদর্শন করে আমাদের অপূরনীয় ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। যা অর্থের দ্বারা পূরণ হওয়া সম্ভব নয়। গোপন করা জমির জাল দলিলগুলো নগরকান্দার সাব-রেজিস্ট্রার অফিস থেকে জমির দলিলের সহি মোহরি নকল তুলতে দিতেছে না।’
তিনি আরো বলেন- ‘বিবাদীদেরকে গত ২৭/০৪/২০১৩ ইং তারিখে আমাদের জমির হিসাব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল এর কার্যালয়ে ডাকা হয়েছিল কিন্তু আমাদের কোন জমির হিসাব বুঝিয়ে দিতে পারে নাই। যেহেতু বিবাদীদের দাবী করা জমির দলিলগুলো জাল জালিয়াতি মাধ্যমে সৃষ্টি হওয়াতে বিবাদীরা জমির দলিলগুলো দেখাতে পারে নাই। আমি আদালতের মাধ্যমে জমি বিষয়ে সম্যসা সমাধান করে নিব বলিয়া জবানবন্দি দেই। তাছাড়া আমার মা শিরিন বেগম জীবদ্দশায় বিবাদীদেরকে দাতা হিসাবে কোন জমির দলিল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে কখনই রেজিস্ট্রি করে দেন নাই। তাহারা নানা প্রকার মিথ্যা কথা বলিতেছে যে, কখনও ১৯৯৫, ১৯৯৬, ১৯৯৭, ১৯৯৮ সালে না কি আমার মা জমি লিখে দিয়েছে। বিবাদীরা বিভিন্ন ধরণের মিথ্যা কথা বলে আমাদেরকে অহেতুক হয়রানী করিতেছে। আমি ফরিদপুর সাব- রেজিস্ট্রার অফিসে ১৯৯৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তল্লাশী দিয়ে কোন জমির দলিল পাইনি। আমি গত ১৫/০৫/২০১৩ ইং তারিখে নগরকান্দা থানার রসুলপুরের তহসিলদার অফিসে আমার মৃত মায়ের বিগত ০২/০৮/১৯৮০ ইং তারিখে ৭০২৭নং জমির দলিলের খাজনা দিতে গেলে আমাকে জানে মেরে ফেলে দিবে, লাশের কোন অস্বিত্ব থাকবেনা বলে হুমকি দেয়।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন- ‘তাদের নাকি অনেক ক্ষমতা আছে। কেউ কিছুই করিতে পারবেনা বলে আমাদেরকে ভয় দেখায়। ৪নং বিবাদী সাদী আমার নানার সৈয়দ মোকাররম হোসেনর কবরের জায়গার উপর গরু রাখার জন্য গোয়ালঘর নির্মাণ করে জঘন্য অমানুষের পরিচয় দিয়েছে। ১ এবং ২নং বিবাদী সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এবং সৈয়দ আহম্মদ হোসেন,(ভুয়া নাম বসিয়ে) উভয় পিতা: মোতাহার হোসেন নাম বসিয়ে ৬৬০নং খতিয়ানে ভুয়া বিএস পর্চা সৃষ্টি করে অতিরিক্ত সম্পত্তি পাবার আশায় চেষ্টা করিতেছে। উক্ত ভুয়া বিএস পর্চার আইনগত ভাবে কোন মূল্য নেই বা ভিত্তি নেই। বিবাদীগণেরা সবকিছুতেই আপোষ হব আপোষ হব করে তালবাহানা করে আর গোপনে গোপনে আমাদের জমিগুলো বিভিন্ন লোকের নিকটে বিক্রি করে দিয়ে আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি করার চেষ্টা করিতেছে। আমার নানা মরহুম সৈয়দ মোকারম হোসেন মৃত্যুকালে এক পুত্র ও এক কন্যা রেখে যান। পুত্রের নাম সৈয়দ মুজিবর রহমান, কন্যার নাম শিরিন বেগম। আমার মাতা শিরিন বেগম থেকে পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে অর্থাৎ নানার কাছ থেকেও আমরা ওয়ারিশ সম্পত্তি পাব। এমতাবস্থায় আমি আপনার নিকট ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য প্রত্যাশা করিতেছি।’

মায়ের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত সন্তানেরা

আপডেট সময় : ১১:১০:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০২৩

ফরিদপুরের সালথায় মায়ের রেখে যাওয়া ৬৯ শতাংশ জমি জাল দলিলে বিক্রি ও দখলের অভিযোগ করেছেন ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকার বাসিন্দা শাহ মোঃ মিজান। তিনি ঐ এলাকার মরহুম এস.এম.এ জিন্নাহ ওরফে মাহফুজ এবং মরহুমা শিরিন বেগম দম্পত্তির বড় সন্তান।

তার মায়ের বাবার বাড়ি সালথা উপজেলার হাবেলীগট্টি গ্রামে। ঐ এলাকায় তার মা শিরিন বেগম ১০৯নং মৌজার অন্তর্গত হাবেলীগট্টি আরএস-৪৮১ নং খতিয়ানের, এসএ-৫৭৬ নং খতিয়ানের ৬৬১ নং দাগের ১১৬ শতাংশ বাগান জমির মধ্য হতে ৩৩ শতাংশ জমি, ৬৬২ নং দাগের ৩৩ শতাংশ নাল জমির মধ্য হতে ৮ শতাংশ জমি, আরএস ৮৭৫ নং খতিয়ান ও এসএ-১০৬৭ নং খতিয়ানের ৬৭০ নং দাগের বাড়ীর ৬৯ শতাংশ জমির মধ্যে ২৮ শতাংশ, মোট ৬৯ শতাংশ ক্রয় করেন। তার মায়ের মৃত্যুর পরে জমিগুলো বিভিন্নভাবে দখল করে রেখেছেন এবং জাল দলিল তৈরী করে বিক্রি করেছেন হাবেলী গট্টি গ্রামের মৃত মোতাহার হোসেনের দুই পুত্র সৈয়দ বাবুল হোসেন (৫৫) ও সৈয়দ মাসুম হোসেন (৫০), মৃত কুটি মীরের ছেলে হাসান মীর (৬০) এবং রবু মীরের পুত্র সাদী মীর (৪৫)।
শাহ মোঃ মিজান এ প্রতিবেদককে বলেন- ‘১৯৮০ সালের ২ই আগস্টে আমার নানা সৈয়দ মোকারম হোসেনের নিকট থেকে আমার মা শিরিন বেগম বিগত ৬৯ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। যার দলিল নং ৭০২৭। জমির বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক ৬৯ লক্ষ টাকার বেশি হবে। আমার মা ২০২০ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি মারা যান। তিনি মারা যাওয়ার পর ওয়ারিশ সুত্রে ঐ সম্পত্তির মালিক হই আমি ও আমার ভাই শাহ মোঃ মোস্তফা এবং দুই বোন হামিদা আক্তার লাইজু ও ইরানা আক্তার সুরভী। কিন্তু আমার মায়ের মৃত্যুর পর ঐ জমি আমরা দখলে যেতে পারছি না। আমার মাতার মৃত্যুরপর বিবাদীগণেরা জমি আত্মসাতের জন্য গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন এবং জমি আত্মসাতের পরিকল্পনা করতে থাকে। তারা আমাদের জমিতে থাকা মূল্যবান বৃক্ষাদি যেমন: মেহগুনি, আম, কাঠাল, নারিকেল কেটে নিয়ে যায়। তৎকালীন সময়ের নগরকান্দার সাব-রেজিস্ট্রার ও দলিল লেখকদের সহযোগিতায় ছলচাতুরী পন্থায় একাধিক জমির ভুয়া দলিল সৃষ্টি করে তা গোপন করে বিভিন্ন স্থানে প্রদর্শন করে আমাদের অপূরনীয় ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। যা অর্থের দ্বারা পূরণ হওয়া সম্ভব নয়। গোপন করা জমির জাল দলিলগুলো নগরকান্দার সাব-রেজিস্ট্রার অফিস থেকে জমির দলিলের সহি মোহরি নকল তুলতে দিতেছে না।’
তিনি আরো বলেন- ‘বিবাদীদেরকে গত ২৭/০৪/২০১৩ ইং তারিখে আমাদের জমির হিসাব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল এর কার্যালয়ে ডাকা হয়েছিল কিন্তু আমাদের কোন জমির হিসাব বুঝিয়ে দিতে পারে নাই। যেহেতু বিবাদীদের দাবী করা জমির দলিলগুলো জাল জালিয়াতি মাধ্যমে সৃষ্টি হওয়াতে বিবাদীরা জমির দলিলগুলো দেখাতে পারে নাই। আমি আদালতের মাধ্যমে জমি বিষয়ে সম্যসা সমাধান করে নিব বলিয়া জবানবন্দি দেই। তাছাড়া আমার মা শিরিন বেগম জীবদ্দশায় বিবাদীদেরকে দাতা হিসাবে কোন জমির দলিল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে কখনই রেজিস্ট্রি করে দেন নাই। তাহারা নানা প্রকার মিথ্যা কথা বলিতেছে যে, কখনও ১৯৯৫, ১৯৯৬, ১৯৯৭, ১৯৯৮ সালে না কি আমার মা জমি লিখে দিয়েছে। বিবাদীরা বিভিন্ন ধরণের মিথ্যা কথা বলে আমাদেরকে অহেতুক হয়রানী করিতেছে। আমি ফরিদপুর সাব- রেজিস্ট্রার অফিসে ১৯৯৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তল্লাশী দিয়ে কোন জমির দলিল পাইনি। আমি গত ১৫/০৫/২০১৩ ইং তারিখে নগরকান্দা থানার রসুলপুরের তহসিলদার অফিসে আমার মৃত মায়ের বিগত ০২/০৮/১৯৮০ ইং তারিখে ৭০২৭নং জমির দলিলের খাজনা দিতে গেলে আমাকে জানে মেরে ফেলে দিবে, লাশের কোন অস্বিত্ব থাকবেনা বলে হুমকি দেয়।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন- ‘তাদের নাকি অনেক ক্ষমতা আছে। কেউ কিছুই করিতে পারবেনা বলে আমাদেরকে ভয় দেখায়। ৪নং বিবাদী সাদী আমার নানার সৈয়দ মোকাররম হোসেনর কবরের জায়গার উপর গরু রাখার জন্য গোয়ালঘর নির্মাণ করে জঘন্য অমানুষের পরিচয় দিয়েছে। ১ এবং ২নং বিবাদী সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এবং সৈয়দ আহম্মদ হোসেন,(ভুয়া নাম বসিয়ে) উভয় পিতা: মোতাহার হোসেন নাম বসিয়ে ৬৬০নং খতিয়ানে ভুয়া বিএস পর্চা সৃষ্টি করে অতিরিক্ত সম্পত্তি পাবার আশায় চেষ্টা করিতেছে। উক্ত ভুয়া বিএস পর্চার আইনগত ভাবে কোন মূল্য নেই বা ভিত্তি নেই। বিবাদীগণেরা সবকিছুতেই আপোষ হব আপোষ হব করে তালবাহানা করে আর গোপনে গোপনে আমাদের জমিগুলো বিভিন্ন লোকের নিকটে বিক্রি করে দিয়ে আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি করার চেষ্টা করিতেছে। আমার নানা মরহুম সৈয়দ মোকারম হোসেন মৃত্যুকালে এক পুত্র ও এক কন্যা রেখে যান। পুত্রের নাম সৈয়দ মুজিবর রহমান, কন্যার নাম শিরিন বেগম। আমার মাতা শিরিন বেগম থেকে পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে অর্থাৎ নানার কাছ থেকেও আমরা ওয়ারিশ সম্পত্তি পাব। এমতাবস্থায় আমি আপনার নিকট ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য প্রত্যাশা করিতেছি।’