মাত্র ৪০টায় সংসার চলে সাইকেল মেকানিক বিনদের সংসার
- আপডেট সময় : ০৫:১৯:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭৯ বার পঠিত
জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী সাইকেল মেকানিক বিনদ।দারিদ্র্যতার কষাঘাতে জর্জরিত তার সংসার জীবন। তবু ও হার না মানা জীবন-যুদ্ধে নিজেকে ঠিকিয়ে রাখতে করে যাচ্ছেন হারভাঙা পরিশ্রম। প্রতিদিন কাজ করে পান মাত্র ৪০/৫০ টাকা,তা দিয়েই চলে অভাব-অনটনের সংসার।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের ঘগোয়া গ্ৰামে দুই সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে একটি জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস প্রতিবন্ধী বিনদের।বিনদের বয়স ৩৬। সাইকেল মেরামতের কাজ করে তিনি প্রতিদিন যে টাকা আয় করেন। সেই সামান্য আয় দিয়েই ৪ সদস্যের পরিবারের খরচ জোগান।
বিনদ বলেন,একদিকে দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি, অন্য দিকে তেমন কাজ কর্ম না থাকায় মাত্র ৪০/৫০ টাকা আয় করে কোন দিন দু-বেলা, দু-মুঠো খাবার জোটে, আবার কোন দিন জোটানো বড় দায় হয়ে পড়ে। কথাটি বলতে বলতেই কেঁদে ফেললেন বিনদ।বিনদের চোখের পানি বলে দিচ্ছে তিনি কতটা কষ্টে আছেন। কাঁদতে কাঁদতে তিনি আরো বলেন, নিজের কোন স্থায়ী জায়গা নেই, মানুষের দোকানের সামনে বসেই করেন সাইকেল মেরামতের কাজ।আজ এক দোকানের সামনে কাল অন্য দোকানের সামনে। এভাবেই চলছে জীবন সংগ্রাম।
তিনি আরো বলেন,চাল-ডাল থেকে তেল-নুনসহ এমন কোনো পণ্য নেই যার দাম বাড়েনি। যা আয় করি তা দিয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে, তাই কাজ শেষে বাসায় যাওয়ার সময় রাস্তায় কম দামে যে সবজি পাই তা-ই কিনে নিয়ে যাই।
এখন আর কোনোভাবেই সংসার চলছে না ৷
সচেতন মহল বলেন, বিনদের মতো নিম্নআয়ের অনেক মানুষ এখন দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে পিষ্ট। জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন এসব শ্রমজীবী মানুষ, আয় কম খরচ বেশি হওয়ায় আয়-ব্যয়ের হিসাব কষতে এখন দিন পার করছেন তারা, সুধি জনদের দাবি সমাজের বিত্তবান ও হৃদয়বান ব্যক্তিগণ যদি এই সব মানুষের জন্য একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন তাহলেই একটু ভালভাবে জীবন যাপন করতে পারবেন তারা ৷
তারাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লেবু বলেন,বিনদ একজন দরিদ্র মানুষ। সাইকেল মেরামতের আয় আর প্রতিবন্ধী ভাতা থেকে মাসে যে টাকা পাচ্ছে তা দিয়েই অতিকষ্টে চলছে তার সংসার। পরবর্তীতে কোন সুযোগ সুবিধা আসলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।