দেশব্যাপী ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। সারাদেশের সাথে পাল্লা দিয়ে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায়ও দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে ডেঙ্গু রোগী। ইতিমধ্যে ডেঙ্গুর হটস্পটে পরিনত হয়েছে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা। গেল একমাসে এখানে কমপক্ষে ২২জন ডেঙ্গু রোগী চিহ্নিত হয়েছে।
বুধবার (১২ জুন) সকালের দিকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডেঙ্গু রোগ বিষয়ক জনসচেতনতা মূলক প্রচারণা সভা মাটিরাঙ্গা বলিটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়। মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ সভার আয়োজন করে।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. খায়রুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজি চক্রবর্তী, মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো: শামসুল হক, মাটিরাঙ্গা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এমএম জাহাঙ্গীর আলম, মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মিল্টন চাকমা, মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: আলাউদ্দিন লিটন, মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: এমরান হোসেন প্রমুখ।
শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি হওয়ার পাশাপাশি কিছু লক্ষণ দেখা দিলে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার আহবান জানিয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজি চক্রবর্তী বলেন, ঘরের বা অফিসের বা কর্মস্থলের জানালা সবসময় বন্ধ রাখতে হবে। মশার কামড় থেকে বাঁচতে যতটা সম্ভব শরীর ঢেকে রাখতে হবে।
মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো: শামসুল হক বলেন, পরিবার, প্রতিবেশী ও কমিউনিটির মধ্যে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে হবে। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে সবাইকে সরাসরি যুক্ত হওয়ার আহবান জানান তিনি।
মাটিরাঙ্গা হাসপাতালেই ময়লা-আবর্জনায় মশা বংশ বিস্তার করছে অভিযোগ করে মাটিরাঙ্গা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এমএম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঘরে ও আশেপাশের যেকোনো পাত্রে, মাঠ অথবা রাস্তায় পানি জমতে দেওয়া যাবে না। ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, বালতি বা নারিকেলের মালা ইত্যাদিতে এডিস মশা ডিম পাড়ে বিধায় এগুলো পরিষ্কার রাখতে হবে।
ডেঙ্গুর লক্ষন দেখা দিলে জরুরী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করার আহবান জানিয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. খায়রুল আলম বলেন, মাটিরাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। সকলকে অবশ্যই মশারি ব্যাবহার করার পরামর্শ দেন তিনি।