ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের গাজিরচরের আদর্শ গুচ্ছগ্রামের পুকুরের মাছ চুরি করা অবস্থায় গুচ্ছগ্রাম পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবুল মেকারকে হাতেনাতে ধরে উল্টো বিপাকে পড়েছেন এলাকার যুবকরা। মাছ চুরি করা অবস্থায় বাবুল বেকারকে যারা হাতেনাতে ধরেছেন উল্টো তিনি তাদেরকে মারধর ও মামলা দিয়ে একের পর এক হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।
গুচ্ছগ্রামে বসবাসরত সকল পরিবার থেকে টাকা তুলে গুচ্ছগ্রামের পুকুর গুলোতে মাছ চাষ করা হয়। কিন্তু সেই মাছ রাতের আধারে বসছি, জাল ও ঔষধ দিয়ে বিভিন্ন সময় নানা ভাবে ধরে নিয়ে যাওয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে গুচ্ছগ্রাম পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবুল মেকারের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে তাকে একাধিক বার সতর্ক করা হলেও তিনি কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে বারবার একই ধরনের কাজ করে যাচ্ছেন। এতে অত্র গুচ্ছগ্রামবাসী অতিষ্ঠ হয়ে রাতে পাহারা বসান মাছ চোর ধরার জন্য। শুক্রবার দিবাগত রাত ১ টা ৪৫ মিনিটের সময় গুচ্ছগ্রামের ৮ থেকে ১০ জন্য যুবক বসছি দিয়ে মাছ ধরা অবস্থায় বাবুল মেকারকে হাতেনাতে ধরে। সেখানে যুবকদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন সকালবেলা এর বিচার করবে বলে বাবুল মেকারকে তার ঘরে পাঠিয়ে দেন এবং যুবকদেরকে যার যার মত চলে যেতে বলেন। সকাল গিয়ে দুপুর, দুপুর গিয়ে রাত হলেও এই বিষয়ে আর কোনো বিচার না হওয়ায় স্থানীয় যুবকরা বিচারের দাবিতে গুচ্ছগ্রামের ভিতরে বিক্ষোভ মিছিল করে। বিক্ষোভ মিছিল করার অপরাধে বাবুল মেকারের ছেলে বিপ্লব ও আকাশ মিলে যুবকদের মারধর করেন। যুবকদের মারধর করে উল্টো বাবুল মেকার তাদের বিরুদ্ধে ভেলুমিয়া ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, বাবুল মেকার পুকুরের মাছ চুরি করেই ক্ষ্যান্ত থাকেন না। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তিনি রাতের আঁধারে মহিলারা যখন বাথরুমে যায়, তখন তিনি লাইট মেরে বাথরুমে ধরে রাখেন। রাতের আঁধারে তার কারণে অত্র গুচ্ছগ্রামের কোন নারী বাথরুমে যেতে পারে না ও বাহিরে চলাচল করতে পারে না।
অভিযুক্ত বাবুল মেকার এর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ঘটনা পুরোপুরি অস্বীকার বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে আমি এর সাথে কোনভাবে যুক্ত নেই।