ভূরুঙ্গামারী উপজেলার চর ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের নতুন হাট বাজার সংলগ্ন লুৎফর রহমানের বসতভিটা অবৈধ ভাবে জোর পূর্বক দখল করার অভিযোগ উঠেছে আমিনুর রহমান গং এর বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, নিম্ন তফশীল বর্ণিত ভুক্তভোগীর ক্রয়কৃত সম্পত্তি। ক্রয় সুত্রে দীর্ঘ দিন হতে ৩২ শতাংশ জমির মধ্যে বসত বাড়ি ও সুপারির বাগান লাগিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগদখল করে আসছে।
অপর দিকে অন্য একটি দলিলে থাকা ১২ শতাংশ জমিতে দোকান ঘর করে নন জুটিশিয়াল স্ট্যাম্পে ডিট করে সাইদুল নামের এক ব্যবসায়ীকে ভাড়া দেয়।
এমতাবস্থায় গত ০২/০৭/২৪ ইং তারিখে দুপুর আনুমানিক ১২.০০ ঘটিকার সময় বেআইনী জনতায় দলবদ্ধ হয়ে হাতে দা, কুড়াল, লোহার রড, গাছের ডাল ইত্যাদি নিয়ে ভুক্তভোগীর জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে ভুক্তভোগীর ৪২ শতাংশ জমি জোর পূর্বক দখল করে।
এসময় ঐ জমিতে সুপারীর বাগানে থাকা ১৫ টি সুপারী গাছ কেটে ফেলে। এরপর জমিতে থাকা বসত বাড়ির ঘর ভাংচুর করে। এক পর্যায়ে আমিনুর ইসলাম, শফিকুল ইসলামসহ এক যোগে বেধড়ক মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিলা ফুলা জখম করে। মারপিট করার এক পর্যায়ে আমিনুর ইসলাম শফিকুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে দুই হাত দ্বারা শফিকুল ইসলামকে গলা চাপ দিয়ে ধরলে শ্বাস রোধ হওয়ার উপক্রম হয়।
এরপর হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা শফিকুল ইসলাম এর ডান হাতের কুনইতে ডাং মেরে ফাটা জখম করে। এসময় আমিনুর ইসলাম গং ভুক্তভোগী লুৎফর রহমানের বাড়ির চতুর দিকে টিনের বেড়া দিয়ে বাড়ির চলাচল করার রাস্তা বন্ধ করে দেয়।
এবং ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের প্রান নাশের হুমকি তাদের বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলে অসহায় ভুক্তভোগী পরিবার তাদের ভয়ে ৮ দিন হতে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। অবশেষে ভুক্তভোগী পরিবার ন্যায় বিচারের আশায় ভূরুঙ্গামারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অবৈধ ভাবে জোর পূর্বক বসতভিটা দখলের বিষয়ে আনছার আলী বানিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি দখল করার কথা শিকার করেন।
এবিষয়ে সাব ইন্সপেক্টর মিতু আহমেদ এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, খবর পেয়ে আমি ও আমার সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনা স্হলে গেলে দখলকারীরা দৌড়ে দূরে সরে যায়। পরে আমরা ঘটনা স্হল হতে দখলের কাজে ব্যবহার করা একটি খোন্তা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি।