ঢাকা ১২:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

ভিক্ষা নয় রোজগার করে বাঁচতে চায় প্রতিবন্ধী অমরেশ

পুলক সরকার- বিশেষ প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৭:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৩ ৭১ বার পঠিত

দুই পা অকেজো। তারপরও সংসারের ভার কাঁধে নিয়ে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করছেন পঙ্গুত্বের কাছে হার না মানা কুষ্টিয়ার খোকসার অমরেশ অধিকারী। শয্যাশায়ী মা আর দুই সন্তান স্ত্রীর জীবনে একমাত্র অবলম্বন তিনি। হাটে-ঘাটে ও ধর্মীয় উৎসব আঙ্গিনায় বাদাম-চানাচুর বিক্রি করে তাদের ৫ জনের জীবন সংসার চলে অনাহারে-অর্ধাহারে। কিন্তু ভিক্ষা করতে রাজি নন তিনি।

দুই বছর বয়সে জ্বর। এরপর চলে গ্রাম্য চিকিৎসকদের ভুল চিকিৎসা। শুরুতে শরীরের নিচের অংশ এর পর দুই পা পুরোপুরি অকেজো হয়ে যায় অমরেশের। সেই থেকে পঙ্গুত্বের জীবন তার। এখন ৪০ বছর বয়সে এসে তারই কাঁধে সংসারের ভার।

তবুও হার মানেননি অমরেশ। সংসারের কাজ সামলানো শয্যাশায়ী মায়ের দেখাশোনা। আর হাটে-ঘাটে ও ধর্মীয় উৎসব আঙ্গিনায় বাদাম-চানাচুর বিক্রি করে পার করছেন এক একটি দিন।

বছর দুই আগে তার বাবার মৃত্যুর পর সংসারের দায়িত্ব এসে পরে তার কাঁধে। সংসারের চাহিদা মেটাতে পঙ্গুত্বের অভিশাপ নিয়ে জীবন যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরে বাদাম-চানাচুর বিক্রির পেশাকে বেছে নেন তিনি।

অমরেশের মা সবিতা রাণী জানান, অভাবের সংসারে অমরেশের চিকিৎসা করাতে কলকাতা পর্যন্ত গিয়েছেন। সেখানে চিকিৎসা দিয়ে মাজা থেকে হাত পর্যন্ত উন্নতি হয়েছিল। পরে আর টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেননি।

অমরেশের অধিকারী বলেন, বাবার তৈরি ঘরটির চালা দিয়ে পানি পড়ে। একটা ঘরের ইচ্ছা রয়েছে তার। যেখানে রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারেন তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাস, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।

ভিক্ষা নয় রোজগার করে বাঁচতে চায় প্রতিবন্ধী অমরেশ

আপডেট সময় : ০৪:৪৭:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৩

দুই পা অকেজো। তারপরও সংসারের ভার কাঁধে নিয়ে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করছেন পঙ্গুত্বের কাছে হার না মানা কুষ্টিয়ার খোকসার অমরেশ অধিকারী। শয্যাশায়ী মা আর দুই সন্তান স্ত্রীর জীবনে একমাত্র অবলম্বন তিনি। হাটে-ঘাটে ও ধর্মীয় উৎসব আঙ্গিনায় বাদাম-চানাচুর বিক্রি করে তাদের ৫ জনের জীবন সংসার চলে অনাহারে-অর্ধাহারে। কিন্তু ভিক্ষা করতে রাজি নন তিনি।

দুই বছর বয়সে জ্বর। এরপর চলে গ্রাম্য চিকিৎসকদের ভুল চিকিৎসা। শুরুতে শরীরের নিচের অংশ এর পর দুই পা পুরোপুরি অকেজো হয়ে যায় অমরেশের। সেই থেকে পঙ্গুত্বের জীবন তার। এখন ৪০ বছর বয়সে এসে তারই কাঁধে সংসারের ভার।

তবুও হার মানেননি অমরেশ। সংসারের কাজ সামলানো শয্যাশায়ী মায়ের দেখাশোনা। আর হাটে-ঘাটে ও ধর্মীয় উৎসব আঙ্গিনায় বাদাম-চানাচুর বিক্রি করে পার করছেন এক একটি দিন।

বছর দুই আগে তার বাবার মৃত্যুর পর সংসারের দায়িত্ব এসে পরে তার কাঁধে। সংসারের চাহিদা মেটাতে পঙ্গুত্বের অভিশাপ নিয়ে জীবন যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরে বাদাম-চানাচুর বিক্রির পেশাকে বেছে নেন তিনি।

অমরেশের মা সবিতা রাণী জানান, অভাবের সংসারে অমরেশের চিকিৎসা করাতে কলকাতা পর্যন্ত গিয়েছেন। সেখানে চিকিৎসা দিয়ে মাজা থেকে হাত পর্যন্ত উন্নতি হয়েছিল। পরে আর টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেননি।

অমরেশের অধিকারী বলেন, বাবার তৈরি ঘরটির চালা দিয়ে পানি পড়ে। একটা ঘরের ইচ্ছা রয়েছে তার। যেখানে রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারেন তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাস, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।