ঢাকা ০১:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

বৃষ্টিতে বাজারে ডাবের সংকট, দাম ডাবল সেঞ্চুরি

মাসুদুর রহমান রুবেল, ঢাকা:
  • আপডেট সময় : ১১:২৫:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩ ১৭৬ বার পঠিত

দেশে প্রতিদিনই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত অনেক মানুষ, চিকিৎসা নিতে ভর্তি হতে হচ্ছে হাসপাতালে। ডেঙ্গু আক্রান্ত অনেকেই সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরলেও বেশ কয়েজনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এই পর্যন্ত ৩১৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার পাশাপাশি তরল খাবার বা বিভিন্ন ফলের জুস, ডাবের পানি পান করার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসকেরা । আবার রোগীকে দেখতে তার আত্মীয়স্বজনেরা হাসপাতালে আসলে ফলমূলের সাথে অবশ্যই ডাব নিচ্ছে। এই ডাব কিনতে গিয়ে হতে হচ্ছে ভোগান্তির স্বীকার। ডেঙ্গু সাথে টানা বৃষ্টি যার ফলে দেখা দিয়েছে ডাবের সংকট বেড়ে গেছে দাম। বৃষ্টির কারনে গাছ থেকে ডাব পাড়তে না পারায় বাজারে চলছে ডাবের সংকট। যাও আছে তার দামও নাগালের বাইরে। সব মিলিয়ে অন্তত ডাবের কাছে অসহসায় ডেঙ্গু রোগির পরিবার।

আশুলিয়ায় বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায় একেক এলাকায় একেক দামে বিক্রয় করা হচ্ছে ডাব । কোন এলাকায় প্রতি পিস বড় আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। আর ছোট ও মাঝারি আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত।

আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকার ক্রেতাদের সাথে কথা বললে তারা দাবি করেন, ডাবের বাজারে সিন্ডিকেট চলছে। ডেঙ্গুর প্রভাব থাকায় চড়া দাম নিচ্ছেন বিক্রেতারা। তবে বিক্রেতারা বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আড়তেই ডাবের দাম বেশি। অন্যদিকে আড়তদাররা বলছেন, টানা বৃষ্টি থাকায় গাছ থেকে ডাব পারা সম্ভব হচ্ছে না, তাই বাজারে ডাব কম। তবে দামের ব্যাপারে পরিবহন খরচকেই দোষারোপ করছেন তারা।

মঙ্গলবার (৭ আগষ্ট) দুপুরে আশুলিয়ার , বাইপাইল, সরকার মার্কেট, নরসিংহপুর, জিরাবো ও পল্লিবিদ্যুৎ এলাকার অন্তত ১০/১২জন খুচরা ও পাইকারি ডাব বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায় এমন তথ্য।

মোঃ লিটন নামের এক ভ্রাম্যমাণ ডাব বিক্রেতা বলেন, আজকে বাজারে মাল (ডাব) নাই। যা আছে দাম অনেক দেশি। এছাড়াও যা আছে তা নারিকেল হয়ে গেছে। যার ফলে আজ নারিকেলসহ ডাব নিয়ে আসছি।

দামের ব্যাপারে এ বিক্রেতা জানান, আজকে প্রতি পিস ডাব (নারিকেল) আড়ত খরচসহ কেনা পরেছে ৮৫ টাকা করে। আজকের ভ্যান ভাড়া ৭০ টাকা। তার পরে আমার খরচতো আছেই। তাই বিক্রি করছি ১২০ টাকা দরে। যেটা খুশি বেছে নিতে পারবে।

অন্য ডাব বিক্রেতা শাহিন জানান, আড়ত থেকে ডাব কেনার পরে আড়ত খরচ দিতে হয়। তার পরে ভ্যান ভাড়া দিয়ে দোকানে আনতে হয়। সব মিলিয়ে এক পিস ডাব আমার কেনা পরেছে ১৩৩ টাকা। তাই বাধ্য হয়ে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি করছি। আড়তেই ডাবের দাম বেশি সুতরাং আমরা কি করবো।

আশুলিয়ার বাইপাইল ফল আড়তের পাইকারি বিক্রেতা মা ট্রেডার্সের প্রোপাইটর মোঃ সানোয়ার হোসেন বাবু বলেন, ডেঙ্গুর জন্য দাম বেড়েছে এটা সত্য, তবে সেটা আমাদের এখানে না। যারা গাছ থেকে বিক্রি করছে তারাও দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন আগের চেয়ে বাড়তি দামে গাছ থেকে ডাব কিনতে হচ্ছে। আগে যে ডাব কিনতাম ৩০ থেকে ৪০ টাকায় সেই ডাব এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। তাও এই দাম হচ্ছে খুলনার দিকে, বরিশালের দিকে আরও বেশি।

তিনি আরও বলেন, ডাব কেনার পরে তার পিছনে পারার জন্য ৫ টাকা লেবার খরচ আছে। এক একটা ডাব ঢাকায় আনতে ১০টার বেশি ভাড়া পরে। যার ফলে আমার এখানে আসতে আসতেে বর্তমানে ৭০ টাকা পরে যায়। তবে যদি এই ডাব বরিশাল থেকে আনতে যাই তাহলে ৮০ থেকে ৯০ টাকা পরবে। এর পরে আমাদের লেবার খরচ আছে, আড়তের খরচ আছে, তার পরে আমাদের বিক্রির দাম। বর্তমান বাজার অনুসারে আমরা ১০০ থেকে ১১০ টাকায় প্রাইকারি বিক্রি করছি।

ডাব কিনতে আসা মোঃ গোলাম নবী নামে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত এক রোগীর আত্মীয় বলেন আমার ছোট ভাই ডেঙ্গু আক্রান্ত তাকে আশুলিয়া নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করাই, ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে তাকে তরল খাবার খাওয়ানো হচ্ছে, ডাক্তার রোগীকে ডাবের পানি খাওয়ানোর পরামর্শ দিলে তার জন্য ডাব কিনতে আসলাম, এসে দেখি ডাব প্রতি পিস নিচ্ছে ১৬০ টাকা করে।

আশুলিয়ার মোজারমিল এলাকার ব্রিটিশ অ্যামেরিক্যান টোব্যাকো কোম্পানীর মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ নিশাদ আলমগীর বলেন, প্রথম কথা হচ্ছে, ডেঙ্গু রোগীদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে, যখন তাদের প্লাটিলেট কমে যায়, তখন তাদের ইন্টারনাল ব্লিডিং হয়। মানুষের শরীরে কিন্তু প্রতি নিয়ত প্লাটিলেট তৈরী হয়, কিন্তু যখন ডেঙ্গু হয় তখন কিন্তু প্লাটিলেট তৈরী হওয়ার চেয়ে কমে যায় বেশি। তখন হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের রসালো খাবার, পানি বা ফলমূল খেতে হয়। যাতে শরীরে পানি শূন্যতা না হয়।

তিনি আরও বলেন, ডাবের পানিতে কিছু ইলেক্ট্রোলাইট আছে, তার মধ্যে একটা আছে পটাশিয়াম। ডাব খেলে শরীরের ইলেক্ট্রোলাইটটা ব্যালেন্স থাকে। যার কারণে ডাব খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ শরীরে যদি ইলেক্ট্রোলাইট কমে যায় যেমন পটাশিয়াম কমে গেলে রোগী মারাও যেতে পারে। তাই শরীরের অন্যান্য ইলেক্ট্রোলাইটের সাথে পটাশিয়াম লেভেল টা যেন ঠিক থাকে তাই ডাবের কথা বলা হয়। ডাবের আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে প্লাটিলেট তৈরী হওয়াটাকে আরও একটু বেশি তরান্বিত করে।

ট্যাগস :

বৃষ্টিতে বাজারে ডাবের সংকট, দাম ডাবল সেঞ্চুরি

আপডেট সময় : ১১:২৫:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩

দেশে প্রতিদিনই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত অনেক মানুষ, চিকিৎসা নিতে ভর্তি হতে হচ্ছে হাসপাতালে। ডেঙ্গু আক্রান্ত অনেকেই সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরলেও বেশ কয়েজনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এই পর্যন্ত ৩১৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার পাশাপাশি তরল খাবার বা বিভিন্ন ফলের জুস, ডাবের পানি পান করার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসকেরা । আবার রোগীকে দেখতে তার আত্মীয়স্বজনেরা হাসপাতালে আসলে ফলমূলের সাথে অবশ্যই ডাব নিচ্ছে। এই ডাব কিনতে গিয়ে হতে হচ্ছে ভোগান্তির স্বীকার। ডেঙ্গু সাথে টানা বৃষ্টি যার ফলে দেখা দিয়েছে ডাবের সংকট বেড়ে গেছে দাম। বৃষ্টির কারনে গাছ থেকে ডাব পাড়তে না পারায় বাজারে চলছে ডাবের সংকট। যাও আছে তার দামও নাগালের বাইরে। সব মিলিয়ে অন্তত ডাবের কাছে অসহসায় ডেঙ্গু রোগির পরিবার।

আশুলিয়ায় বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায় একেক এলাকায় একেক দামে বিক্রয় করা হচ্ছে ডাব । কোন এলাকায় প্রতি পিস বড় আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। আর ছোট ও মাঝারি আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত।

আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকার ক্রেতাদের সাথে কথা বললে তারা দাবি করেন, ডাবের বাজারে সিন্ডিকেট চলছে। ডেঙ্গুর প্রভাব থাকায় চড়া দাম নিচ্ছেন বিক্রেতারা। তবে বিক্রেতারা বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আড়তেই ডাবের দাম বেশি। অন্যদিকে আড়তদাররা বলছেন, টানা বৃষ্টি থাকায় গাছ থেকে ডাব পারা সম্ভব হচ্ছে না, তাই বাজারে ডাব কম। তবে দামের ব্যাপারে পরিবহন খরচকেই দোষারোপ করছেন তারা।

মঙ্গলবার (৭ আগষ্ট) দুপুরে আশুলিয়ার , বাইপাইল, সরকার মার্কেট, নরসিংহপুর, জিরাবো ও পল্লিবিদ্যুৎ এলাকার অন্তত ১০/১২জন খুচরা ও পাইকারি ডাব বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায় এমন তথ্য।

মোঃ লিটন নামের এক ভ্রাম্যমাণ ডাব বিক্রেতা বলেন, আজকে বাজারে মাল (ডাব) নাই। যা আছে দাম অনেক দেশি। এছাড়াও যা আছে তা নারিকেল হয়ে গেছে। যার ফলে আজ নারিকেলসহ ডাব নিয়ে আসছি।

দামের ব্যাপারে এ বিক্রেতা জানান, আজকে প্রতি পিস ডাব (নারিকেল) আড়ত খরচসহ কেনা পরেছে ৮৫ টাকা করে। আজকের ভ্যান ভাড়া ৭০ টাকা। তার পরে আমার খরচতো আছেই। তাই বিক্রি করছি ১২০ টাকা দরে। যেটা খুশি বেছে নিতে পারবে।

অন্য ডাব বিক্রেতা শাহিন জানান, আড়ত থেকে ডাব কেনার পরে আড়ত খরচ দিতে হয়। তার পরে ভ্যান ভাড়া দিয়ে দোকানে আনতে হয়। সব মিলিয়ে এক পিস ডাব আমার কেনা পরেছে ১৩৩ টাকা। তাই বাধ্য হয়ে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি করছি। আড়তেই ডাবের দাম বেশি সুতরাং আমরা কি করবো।

আশুলিয়ার বাইপাইল ফল আড়তের পাইকারি বিক্রেতা মা ট্রেডার্সের প্রোপাইটর মোঃ সানোয়ার হোসেন বাবু বলেন, ডেঙ্গুর জন্য দাম বেড়েছে এটা সত্য, তবে সেটা আমাদের এখানে না। যারা গাছ থেকে বিক্রি করছে তারাও দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন আগের চেয়ে বাড়তি দামে গাছ থেকে ডাব কিনতে হচ্ছে। আগে যে ডাব কিনতাম ৩০ থেকে ৪০ টাকায় সেই ডাব এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। তাও এই দাম হচ্ছে খুলনার দিকে, বরিশালের দিকে আরও বেশি।

তিনি আরও বলেন, ডাব কেনার পরে তার পিছনে পারার জন্য ৫ টাকা লেবার খরচ আছে। এক একটা ডাব ঢাকায় আনতে ১০টার বেশি ভাড়া পরে। যার ফলে আমার এখানে আসতে আসতেে বর্তমানে ৭০ টাকা পরে যায়। তবে যদি এই ডাব বরিশাল থেকে আনতে যাই তাহলে ৮০ থেকে ৯০ টাকা পরবে। এর পরে আমাদের লেবার খরচ আছে, আড়তের খরচ আছে, তার পরে আমাদের বিক্রির দাম। বর্তমান বাজার অনুসারে আমরা ১০০ থেকে ১১০ টাকায় প্রাইকারি বিক্রি করছি।

ডাব কিনতে আসা মোঃ গোলাম নবী নামে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত এক রোগীর আত্মীয় বলেন আমার ছোট ভাই ডেঙ্গু আক্রান্ত তাকে আশুলিয়া নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করাই, ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে তাকে তরল খাবার খাওয়ানো হচ্ছে, ডাক্তার রোগীকে ডাবের পানি খাওয়ানোর পরামর্শ দিলে তার জন্য ডাব কিনতে আসলাম, এসে দেখি ডাব প্রতি পিস নিচ্ছে ১৬০ টাকা করে।

আশুলিয়ার মোজারমিল এলাকার ব্রিটিশ অ্যামেরিক্যান টোব্যাকো কোম্পানীর মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ নিশাদ আলমগীর বলেন, প্রথম কথা হচ্ছে, ডেঙ্গু রোগীদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে, যখন তাদের প্লাটিলেট কমে যায়, তখন তাদের ইন্টারনাল ব্লিডিং হয়। মানুষের শরীরে কিন্তু প্রতি নিয়ত প্লাটিলেট তৈরী হয়, কিন্তু যখন ডেঙ্গু হয় তখন কিন্তু প্লাটিলেট তৈরী হওয়ার চেয়ে কমে যায় বেশি। তখন হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের রসালো খাবার, পানি বা ফলমূল খেতে হয়। যাতে শরীরে পানি শূন্যতা না হয়।

তিনি আরও বলেন, ডাবের পানিতে কিছু ইলেক্ট্রোলাইট আছে, তার মধ্যে একটা আছে পটাশিয়াম। ডাব খেলে শরীরের ইলেক্ট্রোলাইটটা ব্যালেন্স থাকে। যার কারণে ডাব খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ শরীরে যদি ইলেক্ট্রোলাইট কমে যায় যেমন পটাশিয়াম কমে গেলে রোগী মারাও যেতে পারে। তাই শরীরের অন্যান্য ইলেক্ট্রোলাইটের সাথে পটাশিয়াম লেভেল টা যেন ঠিক থাকে তাই ডাবের কথা বলা হয়। ডাবের আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে প্লাটিলেট তৈরী হওয়াটাকে আরও একটু বেশি তরান্বিত করে।