ঢাকা ০৮:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিরামপুরে ভুয়া এনজিওর মাধ্যমে ও ভুয়া টিসিবির কার্ড বিতরণের দায়ে অর্থদণ্ড পাইকগাছায় মটরসাইকেল-বাইসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নি-হ-ত-১  ডুমুরিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেঝ ভাইকে কু‌পি‌য়ে হত্যা ক‌রে‌ছে ছোট ভাই জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে বিএনপির সমাবেশে হামলা ডুমুরিয়ায় পাওনা টাকা  চাওয়ায়  এক মৎস্য ঘের ব্যবসায়ীকে জীবন নাশের হুমকি আশুলিয়ায় বিদেশি মদসহ দুই কারবারি আটক কুড়িগ্রামের রাজারহাটে জোর পূর্বক পাকা ধান কেটে নিয়ে গেছে প্রতিপক্ষ রংপুরে বিএনপি ও ড্যাব এর সহযোগিতায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত বাগেরহাট জেলাকে মাদকমুক্ত রাখতে জেলা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও লিফলেট বিতরণ দীর্ঘ দেড় বছর পর হিলি স্থলবন্দরে চাল আমদানি শুরু

বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি মনরম হলেও নেই সীমানা প্রাচীর

রফিকুল ইসলাম রনজু-কুড়িগ্রাম:
  • আপডেট সময় : ০৪:৫১:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪ ৩৭ বার পঠিত

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সুন্দর ও মনোরম পরিবেশ হলেও, নেই কোন সীমানা প্রাচীর।

গত ৮ অক্টোবর ২০২৪ মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নে, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে অত্যন্ত সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। দ্বিতল ভবনটিতে সুন্দর ভাবে ক্লাস চললেও, বাউন্ডারি ওয়াল না থাকায়, শিশু শিক্ষার্থীরা আছে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে। কারণ স্কুলটি একেবারে রাস্তা সংলগ্ন, এলাকার সকল যানবাহন একটি রাস্তা দিয়েই চলাচল করে থাকে।পাশাপাশি ওয়াশ ব্লকটিও নষ্ট হওয়ার পথে। কাজের মান খারাপ হওয়ায়,পলেস্তর খসে ওয়াল ফেটে যাওয়ার উপক্রম। দ্বিতল ভবনের মধ্যেও একটি রুম সংকট দেখা দিয়েছে বলেও উপস্থিত শিক্ষকরা জানান।

প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের মান উন্নয়ন ও বিকাশ প্রসারে পাঠদান করে আসছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে,শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮০ জন, শিক্ষক চারজন। উপস্থিতির হার প্রায় ৭৫%।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহবুবার রহমান বলেন, আমাদের স্কুলটির সুন্দর মনোরম পরিবেশের পাশাপাশি সঠিক সময়ে সঠিক নিয়মে পাঠদান করা হয়। স্কুল উন্নয়নে বরাদ্দকৃত টাকা সহকারী শিক্ষকদের নিয়ে স্কুলের কাজে ব্যয় করা হয়। তবে দুঃখজনক হলো- বাউন্ডারি ওয়াল তথা সীমানা প্রাচীর স্কুলটির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধান শিক্ষক আরো বলেন, ওয়াশ ব্লক সংস্কারের পাশাপাশি আরেকটি রুম বরাদ্দ হলে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে আরো সুবিধা হবে। বাউন্ডারি ওয়াল হলে, স্কুলটিতে আরও সুন্দর পরিবেশ ফিরে আসবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন। বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।

এলাকার অভিভাবকরা মনে করেন, স্কুলটিতে সীমানা প্রাচীর হলে, শিশু শিক্ষার্থীরা আর ঝুঁকিতে থাকবে না।দ্রুত বাউন্ডারি ওয়াল এবং আরেকটি রুম হলে,বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে আরও সুন্দর ও মনোরম পরিবেশ ফিরে আসবে বলে সবার প্রত্যাশা।

ট্যাগস :

বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি মনরম হলেও নেই সীমানা প্রাচীর

আপডেট সময় : ০৪:৫১:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সুন্দর ও মনোরম পরিবেশ হলেও, নেই কোন সীমানা প্রাচীর।

গত ৮ অক্টোবর ২০২৪ মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নে, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে অত্যন্ত সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। দ্বিতল ভবনটিতে সুন্দর ভাবে ক্লাস চললেও, বাউন্ডারি ওয়াল না থাকায়, শিশু শিক্ষার্থীরা আছে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে। কারণ স্কুলটি একেবারে রাস্তা সংলগ্ন, এলাকার সকল যানবাহন একটি রাস্তা দিয়েই চলাচল করে থাকে।পাশাপাশি ওয়াশ ব্লকটিও নষ্ট হওয়ার পথে। কাজের মান খারাপ হওয়ায়,পলেস্তর খসে ওয়াল ফেটে যাওয়ার উপক্রম। দ্বিতল ভবনের মধ্যেও একটি রুম সংকট দেখা দিয়েছে বলেও উপস্থিত শিক্ষকরা জানান।

প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের মান উন্নয়ন ও বিকাশ প্রসারে পাঠদান করে আসছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে,শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮০ জন, শিক্ষক চারজন। উপস্থিতির হার প্রায় ৭৫%।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহবুবার রহমান বলেন, আমাদের স্কুলটির সুন্দর মনোরম পরিবেশের পাশাপাশি সঠিক সময়ে সঠিক নিয়মে পাঠদান করা হয়। স্কুল উন্নয়নে বরাদ্দকৃত টাকা সহকারী শিক্ষকদের নিয়ে স্কুলের কাজে ব্যয় করা হয়। তবে দুঃখজনক হলো- বাউন্ডারি ওয়াল তথা সীমানা প্রাচীর স্কুলটির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধান শিক্ষক আরো বলেন, ওয়াশ ব্লক সংস্কারের পাশাপাশি আরেকটি রুম বরাদ্দ হলে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে আরো সুবিধা হবে। বাউন্ডারি ওয়াল হলে, স্কুলটিতে আরও সুন্দর পরিবেশ ফিরে আসবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন। বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।

এলাকার অভিভাবকরা মনে করেন, স্কুলটিতে সীমানা প্রাচীর হলে, শিশু শিক্ষার্থীরা আর ঝুঁকিতে থাকবে না।দ্রুত বাউন্ডারি ওয়াল এবং আরেকটি রুম হলে,বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে আরও সুন্দর ও মনোরম পরিবেশ ফিরে আসবে বলে সবার প্রত্যাশা।