বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা
- আপডেট সময় : ০৩:১০:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩ ৮৮ বার পঠিত
কামরুজ্জামান কামরুল,বালিয়াকান্দি ( রাজবাড়ী):
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলাতে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠাভ্যাস ও পাঠদক্ষতার উন্নয়ন করার লক্ষ্য নিয়ে সারাদেশে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) দিনব্যাপী বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বাস্তবায়নে বালিয়াকান্দি উপজেলা অডিটোরিয়াম হলরুমে এই উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় উপজেলার ৪৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও গ্রন্থাগারের দায়িত্ব পালনকারি সহকারি শিক্ষকেরা অংশগ্রহণ করেন।
বালিয়াকান্দি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পারমিস সুলতানার সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বালিয়াকান্দি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অমরেশ রায়(ভারপ্রাপ্ত) ও উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো: মিয়াদ হোসেন।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির টিম ম্যানেজার আবু বক্কার লিটন এবং বার্ষিক কর্ম পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির বালিয়াকান্দি উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার সালমা ইয়ারব।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, সভ্য ও শিক্ষিত সমাজে বই পড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমান প্রগতিশীল বিশ্বে সর্বত্রই চলছে প্রতিযোগিতা। আর এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে না পারলে জীবন হবে সম্পূর্ণ নিরানন্দময় ও অর্থহীন। এ প্রতিযোগিতাপূর্ণ বিশ্বে মানুষকে অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে হয়। আর জানার সর্বোত্তম পন্থা হচ্ছে বেশি বেশি বই পড়া। মানুষকে ভালোভাবে বাঁচার জন্য, জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তোলার জন্য বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই।
আমাদের আগামি প্রজন্মের কথা ভেবে আমাদের প্রিয় শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র পাঠাভ্যাস উন্নয়নের যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন তা নি:সন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে আমাদের সার্বিক সহযোগিতা থাকবে।
উল্লেখ্য, আলোকিত মানুষ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ৪৪ বছর ধরে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে ৬৪ জেলার ৩০০টি উপজেলার ১৫ হাজার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই স্কীম বাস্তবায়ন হচ্ছে।