বাগেরহাটের চিতলমারীতে আরিয়ান শেখ নামে ৩ বছরের এক শিশুর হাত- পা ও মুখ বেঁধে বিশেষ অঙ্গ কর্তনের পর পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ এক কিশোরকে আটক করেছে। এ হত্যাকান্ডকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসির সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার চরলাটিমা গ্রামের ফরহাদ শেখের ৩ বছর বয়সী শিশুপুত্র আরিয়ান শেখ গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকাল ৪ টার দিকে বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হয়।
বাড়ির আশ-পাশ ও প্রতিবেশিদের বাড়িতে শিশুটিকে খুঁজে না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। এদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে প্রতিবেশিরা শিশু আরিয়ানের ক্ষত-বিক্ষত লাশ একটি বাতরুমের পাশে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধর করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ চরলাটিমা গ্রামের রমজান শেখের ছেলে হামিম শেখ (১৫) কে আটক করেছে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের মা সুমি আক্তার বাদি হয়ে হামিম শেখকে আসামি করে ২৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে চিতলমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নাং-১৪।
নিহতের পিতা ফরহাদ শেখ বিলাপ করে জানান, হামিম শেখ আমার প্রতিবেশি। তাদের সাথে আমার কোন বিরোধ নেই। সে এভাবে আমার সন্তানকে হত্যা করবে এটা কল্পনা করতে পারিনি। তিনি অপরাধীর দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি করেন।
এ বিষয়ে চিতলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকরাম হোসেন জানান, ঘটনাস্থল থেকে শিশু আরিয়ানকে হত্যার বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রতিবেশি রমজান শেখের ছেলে হামিম শেখ (১৫) কে আটক করা হয়েছে। এ হত্যার পেছনে কি কারণ থাকতে পারে সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যাইনি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।