আপনারা জানেন, মামলার অনেক জট। বাংলাদেশের অধস্তন আদালত গুলোতে প্রায় ৩৫ লক্ষ মামলা পেন্ডিং আছে। আমরা চেষ্টা করছি মামলাগুলোকে একটা সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে আসার। যাতে করে মানুষ দিনের পর দিন আদালতের বারান্দায় না ঘুরে।
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলার মধ্যে ৩৪ টিরও বেশি জেলায় যতগুলো মামলা ফাইল হয়েছে নিষ্পত্তির রেট তার চেয়ে বেশি। যদি ১২৫% মামলা মানে যা ফাইল হয় তার চেয়ে বেশি নিষ্পত্তি করতে পারি, দেখা যাবে আগামী ৫ বছরে মোটামুটি একটি সহনশীল পর্যায় নিয়ে এসেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭এপ্রিল) বিকালে জামালপুর জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচার প্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপণ শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা অধস্তন জুডিসিয়ালিতে এবছরও ১০২ জন নতুন বিচারক নিয়োগ দেওয়ার জন্য প্রসেস ফাইনাল করেছি। এ বছর কিংবা আগামী বছরের প্রথম দিকে নতুন করে আরও ১০০ জন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হবে। এসব বিচারকের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হলে মামলা নিষ্পত্তির হারও বৃদ্ধি পাবে। আমরা আশাবাদী, আমরা পরিশ্রম করতে চাই এবং পরিশ্রম করেই এই মামলার জট খুলতে চাই। আমার বিশ্বাস, আমরা সাকসেসফুল হবো।
বিচারপতি বলেন, সবাইকে ধর্য্য ধারণ করতে হবে, আর বিজ্ঞ আইনজীবীদের ও আইনজীবী সহকারীদের এবং সাধারণ জনগনকে অনুরোধ করবো আমাদের আদালত গুলোতে আপনারা সহায়তা করবেন। অপ্রয়োজনীয় কোন মোকাদ্দমা নিবেন না।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আপীল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মির্জা হোসাইন হায়দার, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. এহসানুল হক, সিনিয়র জেলা জজ মো. শহিদুল ইসলাম, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ পারভেজ ।
পরে আদালত প্রাঙ্গণে বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ রোপণ করেন প্রধান বিচারক। সবশেষে আইন পেশায় ৫০ বছর অতিক্রমকারী ৪ জন বিজ্ঞ আইনজীবী’র সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।