বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে কুষ্টিয়ার খোকসায় চলছে নৌকা তৈরি ও পুরোনো নৌকা মেরামতের ধুম। প্রতিবছর বর্ষা আসার আগেই শুরু হয় নৌকা তৈরির কাজ।
এ সময়টাতে বেড়ে যায় নৌকার কারিগরদের ব্যস্ততা। পদ্মা ও গড়াইয়ের তীরবর্তী হওয়ায় বর্ষাকালে এ উপজেলার অধিকাংশ জনপদ পানিতে থই থই করে। নৌকা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।
মৎস্যজীবীরাও মাছ ধরার কাজে ব্যবহার করেন ছোটবড় নৌকা। তাই বর্ষা মৌসুম আসলেই এ অঞ্চলে বেড়ে যায় নৌকার কদর।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খোকসা পৌর এলাকার কালিবাড়ি, পাতিলডাঙিসহ মানিকাট এলাকায় প্রায় ৩০-৪০টি কাঠমিস্ত্রি রয়েছে।
এ সকল কাঠমিস্ত্রিরা বর্ষা মৌসুম শুরুর মাসখানেক আগে থেকেই নৌকা তৈরির কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বছরের বাকি সময়টা তাঁরা চেয়ার-টেবিল, দরজা-জানালাসহ অন্যান্য আসবাবপত্র তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
নৌকা তৈরির কারিগর প্রবীণ কাঠমিস্ত্রি প্রদীপ সূত্রধর জানান, কাঠের কাজ তাঁর পেশা। বর্ষাকাল শুরুর ১-২ মাস আগে থেকেই তিনি নৌকা তৈরির কাজ শুরু করেন। বর্ষায় নৌকা আর বছরের বাকি সময়টা চেয়ার-টেবিল, দরজা-জানালা তৈরি করে চলে তার সংসার।
গড়াই নদীর তীরবর্তী খোকসা খেয়াঘাট এলাকার এক জেলে বর্ষা মৌসুমে নদীতে মাছ শিকারের জন্য ১২ হাত লম্বা একটি নতুন নৌকা তৈরি করছেন। এতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ১০ হাজার টাকা।
তবে স্থানীয় কয়েকজন নৌকা তৈরির করিগর জানান, যদি কোনো নৌকায় গাব, আলকাতরা ও আলপনার কারুকাজ থাকে তাহলে নৌকার দাম অনেক বেড়ে যায়।
জানা যায়, কাঠ সঙ্কট, কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি ও গ্রামাঞ্চলে নৌকার ব্যবহার কমে যাওয়ায় ভালো ব্যবসা করতে পারছে না নৌকা তৈরির কারিগররা।