ঢাকা ০৫:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আত্রাইয়ে মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ নাগেশ্বরী উপজেলা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের কমিটি গঠন পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন

ফরিদপুর দুই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল হোসেন মিয়ার সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

মানিক কুমার দাস - ফরিদপুর :
  • আপডেট সময় : ০৪:২৬:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪ ১৬৩ বার পঠিত

ফরিদপুর দুই আসনের ‌ স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়ার ‌ উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলন আজ মঙ্গলবার দুপুর ২ টায় ফরিদপুর প্রেসক্লাবের ক্লাবের মরহুম অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন মোল্লা মিলনায়তন অনুষ্ঠিত হয়।

গত ৭ জনুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‌ কার চুপি, ব্যালট ছিনতাই, ও প্রহসন নির্বাচনের ফলাফল ‌ প্রত্যাখ্যান, পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে উক্ত সংবাদ সম্মেলন ‌ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক অধ্যাপক মোঃ শাহজাহানের সভাপতিত্বে এ সময় লিখিত বক্তব্য পেশ করেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া।
তিনি তার লিখিত বক্তব্য বলেন ০৭ জানুয়ারি ‌ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তাকে জোর করে হারানো হয়েছে। তার নির্বাচনি এলাকার মোট ১১৫টি কেন্দ্রের মধ্যে গট্টি ইউনিয়ন, যদু নন্দী ইউনিয়ন, রামনগর ইউনিয়ন, কাইচাইল ইউনিয়নের ভোট জোর করে নৌকা প্রতীকে টেবিলের উপরে নেহা হয়। কয়েকটি কেন্দ্রের ভোট প্রকাশ্য নৌকার সন্ত্রাসী সমর্থকরা কেটে নেয়। তার মধ্যে বাবুর কাই চাইল কেন্দ্র, বালিয়া গট্টি কেন্দ্র,
জয় ঝাপ কেন্দ্র বড় ঝাড় দিয়া কেন্দ্র, সুতার কান্দা কেন্দ্র, পুরা দিয়া কেন্দ্র কৃষ্ণডাঙ্গা কেন্দ্র আরো কয়েকটি কেন্দ্রের ভোট নৌকা প্রতিকে কে জোর করে নিয়ে নেয়। অধিকাংশ প্রিজাইডিং অফিসার ২০০
-৩০০ ভোট কেটে নৌকার সিল মেরে ব্যালট আগেই রেখে দিয়েছিলেন এবং আমার ঈগলের ভোটের উপর নৌকা লিখে বান্ডিল করেছেন। আমার চোখের সামনে ভোট কেটে নিয়েছে। প্রকাশ্যে নৌকায় ছিল মেরেছে অনবরত জাল ভোট দিয়েছে আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটকে বার বার বলা সত্ত্বেও কোন পদক্ষেপ নেন নাই। তারা বলেন ভিতরে কি হলো আমাদের সেটা দেখার বিষয় না।

প্রিজাইডিং অফিসার কে কমপ্লেইন করতে হবে। আমি বললাম, প্রিজাইডিং অফিসার নিজেই জড়িত তার পরে ও কোন পদক্ষেপ নেন নাই আমি রিটানিং কর্মকর্তাকে বারবার ভোট বন্ধের জন্য লিখিত অভিযোগ দিয়েছি ।

সহকারি রিটার্নিং অফিসারকে দিয়েছি কোন কাজ হয় নাই ভোট গ্রহণে দায়িত্বপ্রাপ্ত পোলিং অফিসার কে মার ধর করেছেন আমার পোলিং এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছেন।

প্রায় ২০টি কেন্দ্র থেকে আমার পোলিং এজেন্ট বের করে দিয়েছেন। প্রহসনের নির্বাচন, কারচুপির নির্বাচন ও ব্যালট ছিনতাই এর নির্বাচন নগরকান্দা, সালথা বাসী, প্রত্যাখ্যান করেছেন, এই ফলাফল আমরা মানিনা ।

আমার ঈগলের অনেক ভোট নষ্ট দেখানো হয়েছে। আমি ভোটে জিতেছি আমাকে জোর পূর্বক ১৯০০ ভোটে পরাজয় দেখানো হয়েছে নির্বাচনের একদিন যেতে না যেতে নগরকান্দা সালথা আমার সমর্থক দের প্রায় ২০০ বাড়ি ঘর দোকান পাট ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ অনেক ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান দখল করে নিয়েছে, আমার নেতাকর্মীর উপরে নির্মম ও নির্যাতন হামলা চালানো হচ্ছে আমি এর তীব্র ‌ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই, এবং সেই সাথে দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য।

অনুরোধ জানাই, এবং যে সকল কেন্দ্রে অনিয়ম ভোট চুরি ব্যালট ছিনতাই জাল ভোট প্রদান প্রকাশ্যে নৌকা প্রতিকে ছিল মারা, মৃত ব্যাক্তি ও প্রবাসিদের ভোট গণনা করা হয়েছে। সেই সব কেন্দ্রের ভোট বাতিল করে পূর্ণ নির্বাচন দেয়ার জন্য জোর দাবি জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সালথা উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক সাবির চৌধুরী, নগরকান্দা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, সালথারসাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ অহিদুজ্জামান, যদূনন্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ মিঠু, মুস্তাক আহমেদ, লিয়াকত হোসেন হোসেন প্রমূখ।

এ সময় ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সদস্য এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ। উপস্থিত ছিলেন

ফরিদপুর দুই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল হোসেন মিয়ার সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় : ০৪:২৬:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪

ফরিদপুর দুই আসনের ‌ স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়ার ‌ উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলন আজ মঙ্গলবার দুপুর ২ টায় ফরিদপুর প্রেসক্লাবের ক্লাবের মরহুম অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন মোল্লা মিলনায়তন অনুষ্ঠিত হয়।

গত ৭ জনুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‌ কার চুপি, ব্যালট ছিনতাই, ও প্রহসন নির্বাচনের ফলাফল ‌ প্রত্যাখ্যান, পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে উক্ত সংবাদ সম্মেলন ‌ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক অধ্যাপক মোঃ শাহজাহানের সভাপতিত্বে এ সময় লিখিত বক্তব্য পেশ করেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া।
তিনি তার লিখিত বক্তব্য বলেন ০৭ জানুয়ারি ‌ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তাকে জোর করে হারানো হয়েছে। তার নির্বাচনি এলাকার মোট ১১৫টি কেন্দ্রের মধ্যে গট্টি ইউনিয়ন, যদু নন্দী ইউনিয়ন, রামনগর ইউনিয়ন, কাইচাইল ইউনিয়নের ভোট জোর করে নৌকা প্রতীকে টেবিলের উপরে নেহা হয়। কয়েকটি কেন্দ্রের ভোট প্রকাশ্য নৌকার সন্ত্রাসী সমর্থকরা কেটে নেয়। তার মধ্যে বাবুর কাই চাইল কেন্দ্র, বালিয়া গট্টি কেন্দ্র,
জয় ঝাপ কেন্দ্র বড় ঝাড় দিয়া কেন্দ্র, সুতার কান্দা কেন্দ্র, পুরা দিয়া কেন্দ্র কৃষ্ণডাঙ্গা কেন্দ্র আরো কয়েকটি কেন্দ্রের ভোট নৌকা প্রতিকে কে জোর করে নিয়ে নেয়। অধিকাংশ প্রিজাইডিং অফিসার ২০০
-৩০০ ভোট কেটে নৌকার সিল মেরে ব্যালট আগেই রেখে দিয়েছিলেন এবং আমার ঈগলের ভোটের উপর নৌকা লিখে বান্ডিল করেছেন। আমার চোখের সামনে ভোট কেটে নিয়েছে। প্রকাশ্যে নৌকায় ছিল মেরেছে অনবরত জাল ভোট দিয়েছে আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটকে বার বার বলা সত্ত্বেও কোন পদক্ষেপ নেন নাই। তারা বলেন ভিতরে কি হলো আমাদের সেটা দেখার বিষয় না।

প্রিজাইডিং অফিসার কে কমপ্লেইন করতে হবে। আমি বললাম, প্রিজাইডিং অফিসার নিজেই জড়িত তার পরে ও কোন পদক্ষেপ নেন নাই আমি রিটানিং কর্মকর্তাকে বারবার ভোট বন্ধের জন্য লিখিত অভিযোগ দিয়েছি ।

সহকারি রিটার্নিং অফিসারকে দিয়েছি কোন কাজ হয় নাই ভোট গ্রহণে দায়িত্বপ্রাপ্ত পোলিং অফিসার কে মার ধর করেছেন আমার পোলিং এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছেন।

প্রায় ২০টি কেন্দ্র থেকে আমার পোলিং এজেন্ট বের করে দিয়েছেন। প্রহসনের নির্বাচন, কারচুপির নির্বাচন ও ব্যালট ছিনতাই এর নির্বাচন নগরকান্দা, সালথা বাসী, প্রত্যাখ্যান করেছেন, এই ফলাফল আমরা মানিনা ।

আমার ঈগলের অনেক ভোট নষ্ট দেখানো হয়েছে। আমি ভোটে জিতেছি আমাকে জোর পূর্বক ১৯০০ ভোটে পরাজয় দেখানো হয়েছে নির্বাচনের একদিন যেতে না যেতে নগরকান্দা সালথা আমার সমর্থক দের প্রায় ২০০ বাড়ি ঘর দোকান পাট ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ অনেক ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান দখল করে নিয়েছে, আমার নেতাকর্মীর উপরে নির্মম ও নির্যাতন হামলা চালানো হচ্ছে আমি এর তীব্র ‌ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই, এবং সেই সাথে দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য।

অনুরোধ জানাই, এবং যে সকল কেন্দ্রে অনিয়ম ভোট চুরি ব্যালট ছিনতাই জাল ভোট প্রদান প্রকাশ্যে নৌকা প্রতিকে ছিল মারা, মৃত ব্যাক্তি ও প্রবাসিদের ভোট গণনা করা হয়েছে। সেই সব কেন্দ্রের ভোট বাতিল করে পূর্ণ নির্বাচন দেয়ার জন্য জোর দাবি জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সালথা উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক সাবির চৌধুরী, নগরকান্দা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, সালথারসাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ অহিদুজ্জামান, যদূনন্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ মিঠু, মুস্তাক আহমেদ, লিয়াকত হোসেন হোসেন প্রমূখ।

এ সময় ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সদস্য এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ। উপস্থিত ছিলেন